মুখোমুখি রবিন
বণিক
সম্পাদক রংরুট: সকলের আগে
ত্রৈমাসিক রংরুটের পক্ষ থেকে আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ। রংরুটের
এই বিশেষ সংখ্যায় আপনাকে স্বাগতম। প্রথমেই যে বিষয়টি জানতে চাইবো সেটি হলো, সাহিত্যই
বা কেন?
অর্থাৎ সাহিত্য ছাড়া আরও তো অনেক বিষয় রয়েছে। সেখানে সাহিত্য
নিয়ে আপনার
আগ্রহের উৎস কি?
এবং মোটামুটি ভাবে জীবনের কোন পর্যায় থেকে সাহিত্য বিষয়ে এই আগ্রহের
সূত্রপাত। এবং এই বিষয়ে বিশেষ কারুর প্রভাব যদি থেকে থাকে আপনার জীবনে।
রবিন
বণিক: সাহিত্যই কেন সেভাবে বলা কঠিন, তবে
বলতে পারি সাহিত্যই সুন্দরকে অনুভব করতে শেখায়। মানুষ
যখন সুন্দরকে অনুভব করতে পারে তখন সে আনন্দ পায়। আমি
জানিনা সাহিত্যের উদ্দেশ্য কী। তবে আমার
মনে হয় অনেকগুলো উদ্দেশ্যর মধ্যে সাহিত্যের একটি বিশেষ উদ্দেশ্য হচ্ছে চিন্তা
শক্তি ও মানসিক দৃষ্টি প্রসারণের মাধ্যমে সুন্দরকে চেনানো এবং তা অনুভব করানো।
সৌন্দর্যের মত স্বর্গীয় জিনিস খুব সহযেই মানুষকে আনন্দ দান
করে। দৃষ্টি প্রসারণের মাধ্যমে সাহিত্য
মানুষকে ভাবতে শেখায়। ইংরেজিতে Dylan Thomas–এর একটি উক্তি আছে- The world is never the same once a good poem has been
added to it. একটি ভালো কবিতা মানুষকে পরিবর্তন
করে দিতে পারে। সাহিত্য শুধু মানব চিন্তাধারাতেই
প্রভাব ফেলে না, সমস্তকে সুন্দর করতে সাহিত্যের
প্রয়োজন।
সম্পাদক রংরুট: এবারে আসি
প্রথম লেখার বিষয়ে। লেখালেখির ভিতরে যে অপার আনন্দ, সেই
আনন্দের প্রথম অভিজ্ঞতা কেমন ছিল আপনার? একটু বিস্তারিত ভাবে বলেন যদি।
রবিন
বণিক: ছোটোবেলা
থেকেই লিখতে ভালবাসতাম। সেটা ১৯৮৭, একটি
ক্লাবে রবীন্দ্রজয়ন্তী উপলক্ষে স্বরচিত কবিতা প্রতিযোগিতা ছিল, সেখানে এই প্রতিযোগিতায় কবিতা দেবার পর প্রথম হই।
এক সূর্য ওঠার মত আনন্দ জেগে উঠেছিল মনে।
সেখান থেকেই লেখার
যাত্রা শুরু। সেসময় তো সাংস্কৃতিক পরিমন্ডল
লেখালেখির পক্ষে থাকার কারণে সুবিধে হয়। তবে
স্কুলে দেয়াল পত্রিকার চল থাকায় লেখালেখি এগিয়ে যেতে সাহায্য করে।
তবে ছাপা অক্ষরে প্রকাশ পায় হাওড়া থেকে একটি প্রকাশিত
পত্রিকায়।এ মুহূর্তে পত্রিকাটির ঠিক নাম মনে পড়ছে না।
সালটা ১৯৮৮–১৯৯০ এর
মধ্যে। সেটাও ছিল এক আশ্চর্যের মত আনন্দ।
সম্পাদক রংরুট: ব্যক্তিগত
জীবনে আপনার বড়ো হয়ে ওঠা, লেখাপড়ার সাথে সাহিত্যের
প্রতি ভালোবাসা কখনো কি কোন সমস্যার সৃষ্টি করেছিল? বিশেষ করে
পেশাগত জীবনে
প্রবেশের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করার পর্যায়ে?
রবিন
বণিক: মা–র
কিছুটা প্রশ্রয় ছিল লেখালেখিতে কিন্তু বাবা ততটা পছন্দ করতেন না।
এসব লিখে কিচ্ছু হবে না, বাবা
মাঝে মধ্যেই বলতেন। তাই কিছুটা লুকিয়েই লেখালেখি।
পেশাগত কারণে অনেকগুলো বছর লিখতেই পারিনি।
“সকাল” নামক একটি
পত্রিকা শুরু করেছিলাম, সেটাও
কিছুবছর চালানোর পর ব্যক্তিগত সমস্যার কারনে বন্ধ হয়ে যায়। যদিও
পত্রিকাটি আমরা দু'তিনজন মিলে সম্পাদনা করতাম।
তবে এখন বুঝি লেখালেখির ভেতরে প্রবেশের কারণে পেশার ক্ষতি
হয়। তবে পেশার ক্ষতি হলেও লেখাকেই
গুরুত্ব দিয়ে যাচ্ছি বেশি। সাহিত্যই
চরমতম সুন্দর। যেমন প্রকৃতি।
সম্পাদক রংরুট: সাহিত্যের
প্রতি আপনার এই ভালোবাসার প্রথম দিকে কোন ধরণের সাহিত্যের প্রতি আপনার
অধিকতর আগ্রহ ছিল? অর্থাৎ গল্প কবিতা উপন্যাস। নাটক প্রবন্ধ ইত্যাদি।
এবং এই প্রথম পর্যায়ে কোন কোন লেখকের লেখা আপনাকে বেশি করে টানতো?
রবিন
বণিক: প্রথম
থেকেই কাব্যের শরণাপন্ন আমি। তবে গল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ
বা নাটক সবকিছুর মধ্যে ডুবে কবিতাকেই দেখার প্রবণতা বেশি। আমার
প্রথম পছন্দ কবি শঙখ ঘোষ। এছাড়া শ্যামল কান্তি দাশ, কবি রণজিৎ দাশ, মনীন্দ্র
গুপ্ত, অমিতাভ মৈত্র, ভাষ্কর চক্রবর্তী, আলোক
সরকার, জয় গোস্বামী। এছাড়া
বুদ্ধদেব গুহ,সমরেশ বসু,সমরেশ
মজুমদার, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়, তিলোত্তমা মজুমদার।
সম্পাদক রংরুট: আপনার
নিজের লেখার বিষয়ে, কোন বিশেষ লেখকের প্রভাব সম্বন্ধে
আপনি কি সচেতন?
যেমন, অনেকেই আমরা আমাদের খুব প্রিয়
লেখকের দ্বারা মনের অজান্তেই প্রভাবিত হয়ে পড়তে পারি। আবার
অত্যন্ত সচেতন ভাবে প্রিয়তম লেখকের প্রভাব থেকে নিজেকে মুক্ত
রাখার প্রয়াসও করতে পারি। আপনার নিজের লেখালেখির
ক্ষেত্রে বিষয়টি ঠিক কি রকম?
রবিন
বণিক: তেমনভাবে
তো বুঝি না। আমি মনে করি আমার লেখার একটা
নিজস্বতা আছে, স্বতন্ত্রতা আছে। যেহেতু
কবিতা অনেকটাই এখন মুক্ত তাই আমি মনে করি প্রত্যেকেরই স্বতন্ত্রতা আছে এখন।
সকলেই খুব ভালো লিখছে। অনেক
কাল আগে এই প্রভাবিত হওয়ার বিষয়টি ছিল। যেমন
রবীন্দ্র প্রভাব, কিন্তু বর্তমানের লেখালেখিতে
প্রভাবের বিষয়টি নেই বললেই চলে।
সম্পাদক রংরুট: লেখালেখির
সাথে নিরন্তর বই পড়ার একটা গভীর সংযোগ রয়েছে। বর্তমানের
গতিময় জীবনে হয়তো সবসময় সেই সম্পর্ক অটুট রাখা সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়। তবুও এই সময়ে
দাঁড়িয়ে আপনি কোন ধরণের বই পড়তে বেশি আগ্রহী। এবং কোন কোন লেখক আপনাকে এই সময়ে বেশি করে
কাছে টানেন তাঁদের লেখার গুণে।
রবিন
বণিক: সমস্ত
ধরণের বইই পড়ি। শুধু কবিতার বই পড়ে তো আর কবিতা
লেখা যায় না। কবিতা হল যন্ত্রনার শিখা।
দেশ, বিদেশের
লেখকের যতটা সম্ভব বই সংগ্রহ করা বা লাইব্রেরীতে গিয়ে
পড়া, বিভিন্নভাবে এই অভিজ্ঞতা সংগ্রহ
করা দরকার। জ্ঞানই হল দর্শনের শ্রেষ্ঠ পথ।
আর এই দর্শন থেকেই সাহিত্যের সৃষ্টি। যেহেতু
আমি বিজ্ঞানের ছাত্র সেহেতু বিজ্ঞানের বিষয়গুলোও আমাকে টানে। সকলের
লেখাই পড়ি। তবে আলোচক হিসেবে আমাকে টানে আবু
সৈয়দ আয়ুব, সরোজ বন্দ্যোপাধ্যায়, বুদ্ধদেব বসু, জ্যোর্তিময়
দত্ত–র আলোচনা। তবে কমলকুমার মজুমদারের “সুহাসিনীর পটেটম” গল্পটি
পড়তে গিয়ে হিমসিম খেয়েছি। যেটা ১৯৬৫
সালে কৃত্তিবাসের একবিংশ সংকলনে প্রকাশ পায়। বর্তমান
সময়ে সকলের লেখাই ভালো লাগে। তবে
শ্রীজাত–র উপন্যাস নিয়ে নতুন ভাবনাটি ভালো লেগেছে। যাহা
গত ২০১৯ পুজো সংখ্যার “কবিসম্মেলন” পত্রিকাতে প্রকাশিত হয়। এছাড়া
এখন নবীনদের মধ্যে গৌরাঙ্গ মন্ডল, মলয়
পাহাড়ি, অভিনন্দন মুখোপাধ্যায় এমন অনেকেই
আছেন যাদের কবিতা আমাকে টানে।
সম্পাদক রংরুট: আপনার
নিজের লেখা কয়টি ও কি কি বই প্রকাশিত হয়েছে যদি বলেন। এবং বইগুলির বিষয়বস্তু ও
সেই সম্বন্ধে আপনার ভালোলাগা তৃপ্তির দিকগুলিকে আমাদের
পাঠকের সামনে একটি যদি বিস্তারিত ভাবে তুলে ধরেণ।
রবিন
বণিক: ২০১৮
সালে একটি, “শহরে মাছির কোলাহল” এবং ২০১৯ সালে একটি “ এক
চিলতে গ্রীবায় ঝুলিয়ে রেখেছি কথা” এই দুটো
বই প্রকাশিত হয়েছে ২০১৮ সাল এবং ২০১৯ সালে কলকাতা বইমেলায়। প্রথম
কাব্যগ্রন্থটি আধুনিক শহুরে জীবনের সামাজিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট থেকে লেখা। যেখানে
জীবন মানে আত্মীয়হীনতা বস্তু ও মানুষের। যেখানে
জীবন মানে এক অসচ্ছ কাচের দৃষ্টি। আর
দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থটি আমাদের না বলা কথার বন্ধনী। যেন
সব কথা ঝুলে আছে এক চিলতে গ্রীবায়। আর লেখা
নিয়ে তৃপ্তির কথা যদি বলেন তবে মনে হয় এখনো লিখতে পারিনি সেই আকাঙ্ক্ষিত লেখাটি।
সেই মুক্তির দিকেই যেন হেঁটে যাচ্ছি কালের পর কাল। ফ্লোবেয়ার
দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে একই উপন্যাসকে বারে বারে পরিস্রাবণ করেছিলেন নিখাদ সাহিত্য রচনার
আশায়।
সম্পাদক রংরুট: বর্তমান
সময়ে একটি বই প্রকাশ করতে গিয়ে একজন লেখককে সাধারণত কি কি ধরণের সমস্যায় পড়তে
হয়। আপনার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে এই বিষয়ে যদি আলোকপাত
করেন।
রবিন
বণিক: এখানে
দুটি বিষয়ের উল্লেখ অবশ্যই করতে হবে। প্রথমটি
হল সৃষ্টি এবং দ্বিতীয় সৃষ্টির বহিঃপ্রকাশ। এই
বহিঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে যাদের দ্বারস্থ হতে হয় অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় তাদের সাথে
সাহিত্যের যোগাযোগ নিবিড় নয়। এমতাবস্থায়
তারা ব্যবসায়িক দৃষ্টিভঙ্গিতে বিষয়টি দেখেন। সেক্ষেত্রে
অসুবিধের সম্মুখীন হতে হয়।তবে
সবক্ষেত্রে সব অসুবিধা প্রকাশ্যে না আনাই শ্রেয়।
সম্পাদক রংরুট: আপনার
নিজের লেখার বিষয়ে কখনো কি মনে হয়েছে, একটি গণ্ডীর
ভিতরেই আটকিয়ে যাচ্ছে আপনার যাবতীয় লেখালেখি। সাধারণত আমাদের অধিকাংশই কিন্তু একটা
পর্যায়ে এসে আত্মনির্মিত নিজস্ব গন্ডীর ভিতরেই আটকিয়ে যাই। অনেকেই হয়তো খেয়াল করি না।
আবার অনেকেই হয়তো সচেতন ভাবে সেই গণ্ডীর ভিতর থেকে নিজেকে মুক্ত করতে প্রয়াসী হন। আপনার
লেখালেখি ও আপনার ব্যক্তিগত উপলব্ধি থেকে এই বিষয়ে বিস্তারিত
আলোকপাত যদি
করেন।
রবিন
বণিক: জন্ম
থেকে মৃত্যু এর বাইরে কী আর আছে। আমি মনে
করি এই বৃত্ত যা মহাশূন্যের মত। দৃশ্যের
ভেতর দৃশ্য থেকেই শিল্পের সৃষ্টি। শিল্পীরা
অন্তরের চোখ দিয়ে দেখেন। সে অন্তরের কোনো গন্ডী থাকতে পারে
না। তবে এর জন্য প্রচুর পাঠের প্রয়োজন।
প্রকৃত শিল্পীর কোনো গন্ডী থাকতে পারে না।
তবে এখানে আপনি গন্ডী বলতে কোন বিষয়টাকে বোঝাতে চেয়েছেন তা
বোঝা গেল না। যদি গন্ডী বলতে নির্দিষ্ট কোনো
বিষয়ের কথা বলে থাকেন যেমন কবিতা বা গল্প বা উপন্যাস ইত্যাদি, সেক্ষেত্রে আমি আপাতত কবিতাতেই আছি। গল্প
বা উপন্যাসের দিকে যাবার মন এখনো টানেনি। জোর করে
তো আর হয় না।
সম্পাদক রংরুট: সবশেষে
জানতে চাইবো,
বর্তমান সমাজ সভ্যতায় দাঁড়িয়ে আজকের
বাংলা সাহিত্যের বিষয়ে আপনার মূল্যায়ন। এবং বাংলা সাহিত্যের ভবিষ্যৎ সম্বন্ধে আপনি কতটা
আশাবাদী ও কেন?
রবিন
বণিক: কবি
জীবনানন্দ দাশ একটি প্রবন্ধে (সালটা
সম্ভবত ১৯৫১) বাংলা সাহিত্যের ভবিষ্যৎ নিয়ে
আশঙ্কা করেছিলেন। তিনি প্রথমত একটি কারণের কথা
উল্লেখ করেছিলেন তা হলো বাঙালির সংখ্যা ক্রমশ কমে যাওয়া। এবং
দ্বিতীয় বিষয় যেটা বলেছিলেন তা হলো উন্নত মানের সাহিত্যের ঘাটতি।
রবীন্দ্রনাথ কিংবা স্বয়ং জীবনানন্দ দাশের মত প্রতিভাধর কবির
দেখা বাংলা সাহিত্য হয়তো পায়নি, সাহিত্য
প্রতিদিন মনের নতুন নতুন যে অভাবগুলো পূরণ করে, তার
পুরোটা মোচনও হয়তো হয়নি।কিন্তু বাংলা সাহিত্য দূর্বলতর
হয়েছে এমনটাও বোধহয় বলা যাবে না। শঙখ ঘোষ, শামসুর রহমানের মত কবি কিংবা সমরেশ বসু বা ইলিয়াসের মত
উপন্যাসিকরা এসেছেন।জনপ্রিয় ধারাতেও সুনীল কিংবা
হুমায়ূনের মত সফলদের অভাব ঘটেনি। জনপ্রিয়
সাহিত্য বাজারে টিকে থাকার লক্ষ্মণ, লক্ষ্মণ
চাহিদা অক্ষুণ্ণ থাকার। ভবিষ্যতেও এরা যে আসবেন নিয়মিত
বিরতিতে, সেই ভরসায় ঘাটতির কারণ দেখি না। সুতরাং
বাংলা সাহিত্য চিরকালই অক্ষুণ্ণ থাকবে।
রবিন বণিক: জন্ম ২১ এপ্রিল ১৯৭২ সালে আলিপুরদুয়ার জেলার
হ্যামিল্টনগঞ্জে। শিক্ষাঃ বিজ্ঞানে স্নাতক। মায়ের কাছ থেকেই সাহিত্যের
প্রেরণা। প্রথম কবিতা ছাপা হয় কোলকাতার এক
পত্রিকাতে ১৯৮৭ সালে। এছাড়া বিভিন্ন পত্রিকাতে লিখে চলছেন। মাঝে কিছু বছর লেখা অনিয়মিত ছিল। পেশাঃ সরকারি চাকরি। প্রথম কাব্যগ্রন্থের নাম
“শহরে মাছির কোলাহল”। প্রকাশ ২০১৮ এবং দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থ "এক চিলতে গ্রীবায়
ঝুলিয়ে রেখেছি কথা "। প্রকাশ ২০১৯ কলকাতা
বইমেলা। প্রিয় কবি শঙখ ঘোষ।
কপিরাইট রংরুট
কর্তৃক সংরক্ষিত
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন