সম্পাদকের কলমে ~


সম্পাদকের কলমে


“It is a terrible calamity when human beings come near to one another and yet do not recognize the deeper bond of human relationship; when a strong people exploits the weaker and when some baser passion of men awaken at the meeting of races, obscuring the truth that unites them. This is a shame and should not be allowed to continue. I have felt deeply the pain of this unnatural situation.” (Talks In China: The English Writings of Rabindranath Tagore: Edited By Sisir Kumar Das. P-648)

আসামে ব্রাত্য বাঙালি ~ শ্রীশুভ্র


আসামে ব্রাত্য বাঙালি
শ্রীশুভ্র

উপক্রমনিকা

কি হচ্ছে আসামে? যা হচ্ছে হতে দাও। ঠিকই তো হচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গেও হোক। ভারতবর্ষ কেবল মাত্র ভারতীয়দের জন্য। সেখানে বাংলাদেশী অনুপ্রবেশ বন্ধ হোক। সমস্ত বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারীদের খেদিয়ে দাও এমনটাই মনে করেন অধিকাংশ বাঙালি। বিশেষত তথাকথিত উচ্চশিক্ষিত উচ্চবিত্ত শ্রেণীর বাঙালিএবং অবশ্যই বর্ণহিন্দু বাঙালি সম্প্রদায়। বাঙালি অর্থাৎ বাংলাভাষী ভৌগলিক ও ঐতিহাসিক ভাবে যে ভুখণ্ডে এই ভাষাভাষী জনগ‌োষ্ঠীর উদ্ভব, সেই জনগোষ্ঠী কোনদিনও এক ও অভিন্ন বাঙালি জাতিসত্ত্বাকে স্বীকার করে নি।

বাংলা নাটকে মাইকেল মধুসূদন দত্তর অবদান ~ ফাল্গুনী মুখোপাধ্যায়




বাংলা নাটকে
মাইকেল মধুসূদন দত্তর অবদান
ফাল্গুনী মুখোপাধ্যায়


বাংলা নাট্যসাহিত্যের পিতৃপুরুষ বলে কাউকে যদি চিহ্নিত করতে হয় তবে নিশ্চিত ভাবেই তিনি মাইকেল মধুসূদন দত্ত অথচ মধুসূদন কখনও বাংলা সাহিত্যের জন্য কলম ধরবেন তা তাঁর অতিবড় বন্ধুও ভাবনায় আনেন নি সেই আদিযুগের বাংলা ভাষার প্রতি মধুসূদনের বিন্দুমাত্র আগ্রহ ছিল না প্যারিচাঁদ মিত্রর (টেকচাঁদ ঠাকুর) চলিত ভাষায় লেখা প্রথম বাংলা উপন্যাস পড়ে মধুসূদন বলেছিলেন এ রকম ভাষায় জেলেরা কথা বলে, যদি না তুমি সংস্কৃত থেকে ভাষা গ্রহণ করো  (It is the language of the fishermen, unless you import largely from Sangskrit) প্রবল আত্মবিশ্বাসে মধুসূদন বলেছিলেন, ‘দেখবেন আমি যে ভাষা সৃষ্টি করবো তাইই চিরস্থায়ী হবে

ব্যক্তিত্ব ও প্রজ্ঞায় স্বতন্ত্র দুই ভূবন ~ রীনা তালুকদার



ব্যক্তিত্ব ও প্রজ্ঞায় স্বতন্ত্র দুই ভূবন
রীনা তালুকদার


রবীন্দ্র-নজরুল একজন বিশ্বকবি অন্যজন বিদ্রোহী কবি। দুইজনকে কেউ বড় বানায় কেউ ছোট বানায়। অদ্ভূত বাঙালী জাতির সন্তান আমরা। অথচ দুইজনই যুগের কাছে শ্রেষ্ঠ। যে বিষয়গুলো নজরুল-রবীন্দ্র পৃথক সেটি বিস্তর আলোচনার প্রয়াস রয়েছে। একই সাথে রবীন্দ্র যুগে জন্মগ্রহণ করেও রবীন্দ্র থেকে যেমন পৃথক তেমনটি অন্যদের চেয়েও নজরুল লেখনীর বৈশিষ্ট্যে পৃথক। ভাষা ব্যবহারের তীব্রতায় নজরুল নিজেকেই ছাড়িয়ে গেছেন। রৌদ্ররস ও বীররসের দারুণ অভিব্যক্তিতে নজরুলের সাহসী ও বীরত্বের ভাষা সহজেই বোঝা যায়। তিনি একই অর্থ প্রকাশক সমার্থক শব্দ বাক্যের গুণাবলী ঠিক রেখে অত্যন্ত সাবলিল ভাবে ব্যবহার করেছেন। এটি একজন দক্ষ শিল্পীর পক্ষেই কেবল সম্ভব। তিনিই প্রথম কবিতায় রঙীন চিত্রকল্প ব্যবহার করে কবিতার আঙ্গিক বদলে দিয়েছেন যা তাকে রবীন্দ্র ও তার যুগের সবার থেকে পৃথক বৈশিষ্ট্য দান করেছে। তিনিই প্রথম সংবাদপত্রের সম্পাদকীয় কবিতায় লিখেছেন যা আর কেউ করেনি। বিশেষ করে হিন্দু-মুসলিম সংস্কৃতির পুরাণ, ঐতিহ্য ও ইতিহাসকে কাব্যের বৈশিষ্ট্যে উন্নীত করেছেন। তিনি বলেছেন :

মৃত্যুদণ্ড ~ অনির্বাণ বন্দ্যোপাধ্যায়



মৃত্যুদণ্ড
শাসনের ছলনায় রাষ্ট্র কর্তৃক নরমেধ যজ্ঞ
অনির্বাণ বন্দ্যোপাধ্যায়

মৃত্যুদণ্ড বা প্রাণদণ্ড (Capital Punishment) হল আইনি পদ্ধতিতে কোনো ব্যক্তিকে শাস্তিস্বরূপ হত্যা করা। যেসব অপরাধের শাস্তি হিসাবে সাধারণত মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়ে থাকে, সেগুলিকে বলা হয় মৃত্যুদণ্ডার্হ অপরাধ। অতীতে প্রায় সকল দেশেই মৃত্যুদণ্ড প্রথা প্রচলিত ছিল। বর্তমানে মাত্র ৫৮টি দেশ প্রত্যক্ষভাবে মৃত্যুদণ্ড দিয়ে থাকে। ৯৫টি দেশ এই প্রথা অবলুপ্ত করে দিচ্ছে। অবশিষ্ট দেশগুলি দশ বছর এই দণ্ড ব্যবহার করছে না বা যুদ্ধ ইত্যাদি ব্যতিক্রমী ঘটনা ছাড়া মৃত্যুদণ্ড প্রয়োগ করছে না। অনেক দেশেই মৃত্যুদণ্ড একটি বিতর্কের বিষয়। তবে একই রাজনৈতিক আদর্শ ও সাংস্কৃতিক অঞ্চলে মৃত্যুদণ্ড নিয়ে মতান্তর রয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের মৌলিক অধিকার সনদের ২ নং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ভুক্ত দেশগুলির উপর মৃত্যুদণ্ড প্রয়োগে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

কেন পড়ব কবিতা? ~ অলভ্য ঘোষ



কেন পড়ব কবিতা?
অলভ্য ঘোষ

ইদানীং প্রায় শোনা যায়; কবিতার পাঠক কমছে স্ট্যান্ডার্ড অফ লিভিং না বাড়ালে কাউকে ইমপ্রেসড করা যায় না বাস্তবে নেমে না এলে জীবন প্রতি-পদক্ষেপে বিশ্বাস ঘাতকতা করবে কবিরা কাজকর্ম করবে না ভেক ধরে দিস্তা দিস্তা কবিতা লিখে মানুষকে এক্সপ্লয়েড করে খেটে খা দেখবি কবিতা উবে যাবে যা ব্যবহারিক জীবনে একটুও কাজে আসবেনা পড়ে কী লাভ কবিতার বই পড়ার চাইতে বেনী মাধব শীলের পাঁজি পড়া ভাল

সমকামিতার চতুষ্কোণ ~ পারমিতা চক্রবর্ত্তী



সমকামিতার চতুষ্কোণ
পারমিতা চক্রবর্ত্তী

বাংলায় সমকামিতা শব্দটির গঠন সংস্কৃত-সঞ্জাত। সংস্কৃত শব্দ সম’-যার অর্থ সমান অথবা অনুরূপ এবং কামশব্দের অন্যতম অর্থ যৌন চাহিদা, রতিক্রিয়া তথা যৌন তৃপ্তি। অতঃপর এই দুই শব্দের সংযোগে উৎপন্ন সমকামিতা শব্দ বলতে আমরা বুঝি অনুরূপ বা সমান বা একই লিঙ্গের মানুষের (বা প্রাণীর ক্ষেত্রে অন্য প্রাণীর) প্রতি যৌন আকর্ষণ ৷'সমকামিতা' ইংরেজি প্রতিশব্দ হোমোসেক্সুয়ালিটি৷ যা এসেছে গ্রিক শব্দ হোমোএবং ল্যাটিন শব্দ  সেক্সাসগ্রিক ভাষায় হোমোবলতে বোঝায় সমধর্মী বা একই ধরণের।

প্রকৃত কবিতা নাথিংনেস্ প্রজ্ঞারই ভিন্নরূপ যাত্রা ~ তৈমুর খান



প্রকৃত কবিতা নাথিংনেস্ প্রজ্ঞারই ভিন্নরূপ যাত্রা

তৈমুর খান

সভ্যতার বৈশিষ্ট্য কী হবে তা আমরা জানি না।

মানুষের কেমন হওয়া উচিত তাও আমরা জানি না।

আধুনিকতা কাকে বলে সে সম্পর্কে আমাদের ধারণা যদিও স্পষ্ট করি, কিন্তু সম্পূর্ণরূপে আধুনিকও হতে পারি না। কারণ আধুনিকতার মধ্যেই আদিমতার প্রাগৈতিহাসিক বৈশিষ্ট্যকে আমরা বিসর্জন দিতে পারি না। পুনরাধুনিক কথাটির বহুল ব্যবহার আমাদের মধ্যে বাড়ছে। কিন্তু পুনরাধুনিক ব্যাপারটি আমরা শুধু শিল্পের কৌশলগত প্রকাশেই প্রয়োগ করে থাকি। শব্দ, আঙ্গিক, ক্রিয়ায় ও চিহ্ন ব্যবহারে পরিবর্তন আসে। বিশেষ করে কবিতার ক্ষেত্রেই এই প্রয়োগ দেখতে পাই। কিন্তু অন্তরালে সভ্যতা, মানবিকতা এবং অস্তিত্বের জাগরণ ব্যাপারগুলি কিছুতেই এড়ানো যায় না। জীবন কিছুই নয়, অথবা, জীবনের কোনও অর্থ নেই।

লিটিল ম্যাগ ~ নাসির ওয়াদেন



লিটিল ম্যাগ
নাসির ওয়াদেন

লিটল ম্যাগ আঙ্গিকে ছোট হলেও, এর অন্তর্নিহিত রূপ ও দর্শন সুতীব্র গভীরে প্রোথিতবাঙালি কবি, সাহিত্যিকদের আঁতুড় ঘর এই লিটিল ম্যাগ বিশ্ব সাহিত্যের ক্ষেত্রেও বড় বড় কবি, প্রথিতযশা সাহিত্যিক বা প্রাবন্ধিকগণ এই আঁতুড় ঘরে জন্মলাভ করে লালিত পালিত হয়ে আসছেন লিটল ম্যাগের মাধ্যমে এ বিষয়ে অনেকের মনে এই ধারণা পোষণ হয়ে থাকে যে, লিটল ম্যাগ ব্রাত্য থেকে গেল, এর বিশেষ উন্নতি ঘটল না

মেঘমল্লার ~ রিয়া চক্রবর্তী



মেঘমল্লার
রিয়া চক্রবর্তী

"কাগজ আবিষ্কারের পূর্বে মানুষ প্রেমের কবিতা
লিখে রেখেছে আকাশে
সেই ভালোবাসার কবিতা এই বৃষ্টি,
এই ভরা বর্ষা।"
 মহাদেব সাহা

বাংলা কাব্যজগতে যে দুটি ঋতুর আনাগোনা বেশি তা হল বসন্ত ও বর্ষা। বসন্তে কোকিল ডাকে!  ফুল ফোটে। প্রকৃতি সাজে হরেক প্রসাধনে। তার একটাই ইচ্ছা, নিজেকে আকর্ষণীয় করে তোলা, অপরদিকে বর্ষার আবেদন চতুর্মুখী। বর্ষার স্বরূপ যেমন মনে কুহক জাগায় ঠিক তেমনি বিষাদও এনে দেয়।বর্ষার এই চতুর্মুখী আবেদনের কারণেই হয়তো বাংলা কবিতায় এর আতিথেয়তা অন্য ঋতুর তুলনায় বেশি।

খাজাঞ্চির একদিন ~ আইভি চট্টোপাধ্যায়


                                                     

খাজাঞ্চির একদিন
আইভি চট্টোপাধ্যায়

~এক~

কুড়িজনের নামের তালিকা নাম এবং ঠিকানা শনিবার বিশেষ লোক-আদালতে যাতে অবশ্যই উপস্থিত থাকতে পারে, সেটা দেখা বিশেষ কাজ খাজাঞ্চি আজ মহাজনের ভূমিকায় মিমি সকালে মজা করছিল, ‘সো বাবা... অল সেট ফর ব্যাঙ্কারস ডে-আউট?’
ব্যাঙ্কারস ডে-আউট! এক্সেলেন্ট কয়েনেজমজা করেছে সুহাসও

সন্তান ~ কোয়েলী ঘোষ



সন্তান
কোয়েলী ঘোষ

খুব ভোরে উঠতে হয় কাবেরীকে এই সময় না উঠলে দুটো মেয়েকে তৈরি করে স্কুল বাসে তুলে দিয়ে আসা, দুটো করে টিফিন বক্স তৈরি করা, পর পর যন্ত্রের মতন কাজ জি টি রোডে বাস আসে ঠিক সকাল সাড়ে সাতটায় হুড়মুড় চলে সেই সকাল থেকেই প্রবাল ঘুম থেকে তোলে,ব্রাশ ধরিয়ে দেয় স্নান করে খেয়ে ওরা চলে যায়

ধনপতি সদাগর এক প্রতিবাদ ~ জয়তী রায়



ধনপতি সদাগর এক প্রতিবাদ
জয়তী রায়

       মঙ্গল কাব্য এই কাহিনীর সূত্র  হলেও আমি দেখাতে চেয়েছি এক শ্রেণীর সুবিধাবাদী ধর্মের বিরুদ্ধে ধনপতির প্রতিবাদের জায়গাকে। সাধারণ মানুষের ভয় থেকে কিছু দেবদেবীর উৎপত্তি হয়েছিল। তার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিলেন সমাজ সচেতন মানুষ। যদিও জিতে যায় ঐ ভুঁইফোড় দেবীরাই। নিচু স্তরের মানুষের কাছে আগেই অনেক আদর পেত এই  তুকতাক সাপখোপের দেবীরা। কিন্তু লক্ষ্য ছিলো  উঁচু মহলে ঢোকার ছাড় পত্র। তার জন্য অভিজাত সমাজের পূজো চাই। সে সময়ে বণিক সম্প্রদায় ছিলো বাংলার প্রধান। তাঁদের বশ করতে পারলে উঁচু সমাজের ছাড়পত্র জুটে যাবে অনায়াসে! বণিক সমাজও রুখে দাঁড়ালো এই অন্যায় ভাবে পূজো নেবার বিপক্ষে। কি হলো শেষ পর্যন্ত? সেই নিয়ে আজকের কাহিনী,,,,,

তরঙ্গের আয়না ~ বিপ্লব গঙ্গোপাধ্যায়




তরঙ্গের আয়না
বিপ্লব গঙ্গোপাধ্যায়


কোনদিকে যাব? সাইকেলের প্যাডেলে পা রেখে সুবিমল   দেখে চারদিকে  চারটে রাস্তা চলে গেছে অনেক হিসেব নিকেশ করে ভেবেচিন্তেও অনাবশ্যক এক অন্ধতার মধ্যেই তলিয়ে যায় সে মাথার ভেতর অনিবার্য বিশৃঙ্খলা আসলে নিজের  ইচ্ছে অনিচ্ছেগুলোও স্পষ্টত অনুমান করতে পারছে না সে আজ তার কোন কাজ নেই একা চুপচাপ ছুটির বিকাল বার্ষিক  পরীক্ষা শেষ হয়ে যাওয়ার পর  এক স্তব্ধতা অভ্যস্ত প্রাত্যহিকতার চিরচেনা  ছবিটা আজ নেই ব্যস্ততা নেই, কেউ আসার নেই বাড়িতে  কেউ ডাকার নেই তার অপেক্ষায় বসে নেই কেউ কোথাও ইলেকট্রিক তারে আটকে যাওয়া ঘুড়ির মত থমকে আছে  তার অফুরন্ত  সময়

ঘুমাও ক্লডিয়াস ~ মহুয়া মল্লিক



ঘুমাও ক্লডিয়াস
মহুয়া মল্লিক

 (এক)

 হাম্বালো ম্যাঘা রানী
তোর পোলাডা কতখানি
হাত চারি লম্বা, গলায় একটা কম্ফা
কম্ফা লইয়া হাটে যায়
ধাপুড় ধুপুড় আছাড় খায়
চিনা খ্যাতে চিন চিনানি
ধান খ্যাতে হাঁটু পানি
হাম্বালো ম্যাঘা রানী

মেয়েটি পায়ে নূপুর নেই, আলতায় রাঙানো টুকটুকে পা ও নেই,

মা ~ মৈত্রেয়ী চক্রবর্তী



মা
মৈত্রেয়ী চক্রবর্তী

চৌধুরী হোম স্টে-তে আজ সাড়া পড়ে গেছে। বড় খোকা ছোটো খোকা তাদের কথা রেখেছে, ফিরে এসেছে তারা। সব দায়িত্ব তাদের হাতে তুলে দিয়ে নিশ্চিন্ত চিত্রলেখা। এখন থেকে তার অবসর জীবনের শুরু। হোম স্টে-র আয়তন বাড়ানো দরকার, আরোও উন্নয়ন দরকার। হোম স্টে-র তো বটেই, গ্রামেরও রাস্তা ইত্যাদি ভালো করার দরকার। কাজের মানুষ তাদের অনেক আছে, কারণ তাদের হোম স্টে-র সুনাম ছড়িয়ে পড়ায় প্রায় সারা বছর ভীড় লেগেই থাকে। এখন থেকে হোম স্টে পরিবারের মাথা হিসেবেই শুধু থাকবে চিত্রলেখা; বাকি সব কাজ, চিন্তা ছেলেদের। বছর কয়েক আগেও কি চিত্রলেখা ভাবতে পেরেছিলো আজকের দিনটার কথা? যেবারের আলোচনায় উঠে এসেছিলো চৌধুরী হোম স্টে-র পরিকল্পনা। দোতলার ঘর লাগোয়া খোলা ছাদে বসে বড় খোকা, ছোটো খোকা, কাজের মানুষ, অচেনা অতিথিদের হাঁক ডাকে, চিত্রলেখার মনেপড়ে সেই দিনটার কথা।

তিনটি গল্প ~ সৈয়দ ওয়ালী



তিনটি গল্প
সৈয়দ ওয়ালী

সেয়ানে সেয়ানে

নানা লোকের নানান কথা আর মাগনা উপদেশ শোনা শেষে সোলেমান সাহেব একেবারে হাঁক দেবার ভঙ্গিতে বললেন, ‘ওই মিয়া এলান জোয়ান মর্দ হইয়া ভিক্ষা কর ক্যালা? কাম কইরা খাইবার পার না’?

কামালদা ~ পার্থ বসু



কামালদা
পার্থ বসু

                                             ( ১ )
  (নামের বানান ইংরেজিতে kamal. কমল পড়া যায়। কামালও। কমল থেকে কামাল হয়ে ওঠার একটি কষ্টের ইতিহাস আছে। পূর্ব পাকিস্তানের ভাষা আন্দোলনের অন্যতম সৈনিক। কারাবাস এড়াতে ভাষা মতিনের নির্দেশে এক কাপড়ে দেশ ছাড়েন। রোমহর্ষক তাঁর জীবন। পাঠক শুনলে সহমত হবেন এঁর কাহিনী ছাড়া পূব বাংলার ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস অসম্পূর্ণ থেকে যায়।)

আলোছায়ার বেদনাকীর্ণ জোৎস্না রাতের কবি তৈমুর খান ~ নাসির ওয়াদেন



আলোছায়ার বেদনাকীর্ণ জোৎস্না রাতের কবি তৈমুর খান
নাসির ওয়াদেন

       কবি অভাবী নৌকায় চড়ে কষ্টের জলে বিতৃষ্ণার পাল তুলে যখন মনোজগতের কল্পিত জোৎস্নার ভেতর দিয়ে দুঃখ সাগরে পাড়ি দিতে থাকেন, তখন তাঁর বোধের জগতে নাড়া দেয় বিশ্বাসের ভগ্নচূড়া চর। যে চরের উপর প্রপতিত সূর্যরশ্মি সদ্য ধুয়ে যাওয়া বালির চিকচিক সৌন্দর্যকে প্রস্ফুটিত করে মনের মধ্যে ফোঁটা ফুলের মতো, তখন চারিদিকের হতাশা আর বেদনাগুলো মিলেমিশে, জোটবেঁধে,অহংকারী স্রোতের দ্বারা ধুয়ে মুছে পরিষ্কার হয়ে যায়।

ওয়েবজিনের প্রাসঙ্গিকতা ~ নাসির ওয়াদেন



ওয়েবজিনের প্রাসঙ্গিকতা
নাসির ওয়াদেন

অন্তর্জাল সাহিত্য প্রসঙ্গে বলার অপেক্ষা রাখেনা যে, আজকাল হু হু করে এর বিস্তার ঘটছেএর ভালমন্দ আলোচনা করার আগে আমাদের সাহিত্য প্রকাশের মাধ্যমগুলো জানতে হবে। ম্যাগাজিন সাহিত্য সৃষ্টির অন্যতম হাতিয়ার এবং নিজের সাহিত্য সৃষ্টিকে অপরের কাছে পৌঁছানোর এক মাধ্যমআমরা দেখেছি যে,

আসুন ঘাস খাই ~ পার্থ বসু



আসুন ঘাস খাই
পার্থ বসু

অনুকূলবাবু ঠিক করেছিলেন ঘাস খাবেনগরু ঘোড়া অশ্ব দিব্যি ঘাস খেয়ে বেঁচে আছেরবি ঠাকুরের সেই ছড়াটি মনে আছে তো?

পরিণতিতে দুদিন না যেতে যেতে বিজ্ঞানে একটি মহা শোকবার্তা লিপিবদ্ধ হয়েছিল

জীবাত্মা ~ মৈ মৈত্রেয়ী


জীবাত্মা
মৈ মৈত্রেয়ী

ওলো মেয়ে, আদ্রা এসে পড়বে যে মা। উঠে পড়ো। ক্লান্তির সাগরে মুক্তো খুঁজলে গুগুলিই উঠবে মা। একরাশ বন্ধনী তোমার জন্য রাখা আছে যে। তেল চকচকে কলা পাতায় দই চিড়ে মেখে এনেছি সোনা খেয়ে নাও।

কেন্দ্রীয় ফিন্যান্স কমিশন: এক নির্লজ্জ শোষনের ধারাবাহিকতা ~ সিদ্ধব্রত দাস


কেন্দ্রীয় ফিন্যান্স কমিশন:
এক নির্লজ্জ শোষনের ধারাবাহিকতা
সিদ্ধব্রত দাস

যেকোনো সরকারের মূলে হলো রাজস্ব আদায় এবং তার দ্বারা রাষ্ট্রের উন্নয়ন। এই নিরিখে সরকার বাজেট পেশ করে এবং প্রতি বছর নির্ণয় করে কোন খাতে কত ব্যায় করবে এবং সেই অর্থ কোথা থেকে আসবে। ব্রিটিশ সাম্রাজ্যে ভারত যেহেতু একটি উপনিবেশ ছিল মাত্র তার অর্থনৈতিক স্বাধীনতা ছিলোনা। ব্রিটিশ সরকারের মূল লক্ষ্য ভারতের উন্নয়ন ছিল না, ছিল তাদের নিজেদের উন্নয়ন। যতটুকু না দিলেই নয়, ততটাই আমরা পেতাম।

সিবিএসইর উত্থানে রাজ্যের আর্থ-সামাজিক সর্বনাশ ~ সিদ্ধাব্রত দাস



সিবিএসইর উত্থানে
রাজ্যের আর্থ-সামাজিক সর্বনাশ
সিদ্ধাব্রত দাস

ভারত যখন স্বাধীন ভাবে পথ চলা শুরু করে তখন শিক্ষাকে রাজ্য তালিকায় রাখা হয়েছিল। পরে ১৯৭৫ এর জরুরি অবস্থার সময়ে ইন্দিরা গান্ধী সরকার সংবিধানের ৪২ম সংশোধনের দ্বারা শিক্ষাকে রাজ্য তালিকা থেকে যৌথ তালিকায় নিয়ে আসে শিক্ষার প্রসার ঘটানোর অজুহাত দিয়ে। ১৯৭৬ এর আগে শিক্ষার নীতি নির্দ্ধারণ করত রাজ্য। কিন্তু ১৯৭৬ থেকে শিক্ষার নীতি নির্দ্ধারণ করতে শুরু করে কেন্দ্র, রাজ্য উভয়

ভাওয়াইয়াঃ হাটে মাঠে ঘাটে ~ সুবীর সরকার



ভাওয়াইয়াঃ হাটে মাঠে ঘাটে
সুবীর সরকার

ও জীবন রে/জীবন ছাড়িয়া না যাইস মোকে
১।
উত্তরবাংলার প্রাণবন্ত লোকসংগীত ভাওয়াইয়া। উত্তরবাংলার শ্রেষ্ঠতম লোকসংগীত ভাওয়াইয়া। আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষিতের জায়মানতায় যুগ যুগ ধরে লোকপরম্পরায় নির্মিত হয়েছে ভাওয়াইয়া। উত্তরবাংলার আদি বাসিন্দা ভূমিপুত্র রাজবংশী জনগোষ্ঠী লালন পালন করেছে কৌম সংস্কৃতির পরিচয়বাহী এই গান।