বহুমাত্রিক
রবীন্দ্রনাথ
ও আমরা
বাংলা
ভাষায় অনেক কবি সাহিত্যিক আছেন। এদের মধ্যে অনেকেই বিখ্যাত। যাঁরা বিখ্যাত তাঁদের নিয়ে অনেক
লেখালেখি হয়।
এক্ষেত্রে
বলার হচ্ছে রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে আজ পর্যন্ত যতো লেখালেখি হয়েছে, বাকিদের তার
সিকিভাগও হয় নি।
রবীন্দ্রনাথকে
নিয়ে যাঁরা লিখছেন তাঁরা তো শিক্ষিত মানু।l কিন্তু এর বাইরেও রবীন্দ্রনাথের
একটা গুণগ্রাহী ভক্তদল আছে। তাঁরা রবীন্দ্রনাথ সম্বন্ধে বিশেষ জানেন না, রবীন্দ্রসাহিত্য
তেমন পড়েন নি,
কিন্তু
রবীন্দ্রনাথের নাম উঠলেই তাঁদের মধ্যে সম্ভ্রমবোধ কাজ করে যায়। এই গুণগ্রাহীর দল
কারা? আছেন আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধব, ছাত্রছাত্রী, সংগীতজগতের লোক ও
আপামর জনসাধারণ। ব্যক্তিগতভাবে রবীন্দ্রনাথের প্রভাবে আমরা অনেকেই দোল খাই। নানা দিকে। গীতিনাট্য, পূজা, প্রেম ও প্রকৃতি
পর্যায়ের অনেক গান, তাঁর প্রবন্ধের কিছু লাইন, শেষের কবিতার কিছু লাইন ও ডাকঘর, রক্তকরবী ইত্যাদি
নাটক বাঙালির ভেতরে অহরহ খেলে যায়।
আমরা
আধুনিক এটা প্রমাণ করতে চাই। কিভাবে প্রমাণ করবো? রবীন্দ্রনাথকে অস্বীকার করে। এই অস্বীকারের
প্রবণতা থেকেই আসলো রবীন্দ্রোত্তর যুগ। রবীন্দ্রনাথকে মেনে নেয়া এবং রবীন্দ্রনাথকে অস্বীকার
করা, দুই বাংলায় এই দুয়ের
মধ্যেই রবীন্দ্রপ্রভাব স্পষ্ট।
রবীন্দ্রনাথকে
আমরা দুভাবে পাই। এক, তাঁর লেখালেখির মধ্যে দিয়ে। দুই, সমাজসংস্কার, পল্লী উন্নয়ন, শিক্ষা বিস্তার
প্রভৃতি কাজের মধ্যে দিয়ে। লেখালেখির মধ্যে দিয়ে তিনি বাংলার নানা প্রান্তকে এক
সুতোয় জুড়ে দিয়েছেন। বিশ্ববাসীর কাছেও বাংলাকে উপস্থাপন করেছেন। আর কাজের মধ্যে দিয়ে তিনি
সমাজের মধ্যে মিশে গেছেন। সাতচল্লিশে দেশ স্বাধীন হবার পর রবীন্দ্রনাথের কবিতা
জাতীয় সঙ্গীতের মর্যাদা পেলো ভারতে l চব্বিশ বছর পর নানা সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক সংগ্রামের
শেষে পাকিস্তান টুকরো হয়ে যখন বাংলাদেশের জন্ম হলো, তখনও রবীন্দ্রনাথ সেখানে
প্রাসঙ্গিক।
তাঁর
লেখা "আমার সোনার বাংলা" গানটি জাতীয় সঙ্গীতের মর্যাদা পেলো। দুই বাংলায় চলমান
রবীন্দ্রপ্রভাবের এ এক জ্বলন্ত উদাহরণ।
১৮৬১
সালে জন্ম রবীন্দ্রনাথের। ১৫০ বছর পালিত হলো অল্প কিছুদিন আগে। ২০১১ সালে। নানা আয়োজনে তা
পালিত হলো l
আজ
থেকে নব্বই বছর আগে, গত শতকের তিরিশের দশকে যাকে টপকে সাহিত্যের পথে হাঁটতে চেয়েছেন
বুদ্ধদেব বসু প্রমুখ কবিরা, তাঁর সার্ধ্বশতবর্ষে শুরু হলো দুই বাংলার কবিদের
রবীন্দ্র বন্দনা l এর দ্বারাই প্রমাণ হয়, সচেতনভানে যতো আমরা রবীন্দ্রনাথকে অস্বীকার করার প্রয়াস
করি, আমরা এখনো রবীন্দ্রপ্রভাবমুক্ত হতে পারি নি। রবীন্দ্রনাথ কিভাবে
এখনও দুই বাংলায় প্রভাব বিস্তার করে আছেন, বাঙালির জীবনের সব প্রান্তকে
ছুঁয়ে আছেন সেটাই এই প্রবন্ধের প্রতিপাদ্য বিষয়।
বহুমাত্রিক
রবীন্দ্রনাথ যতটা কবি তার চেয়েও বেশি পন্ডিত ও দার্শনিক। শিক্ষিত বাঙালির ভাবমানসই
তিনি কেবল নির্মাণ করেননি, তাদের সত্যিকার অর্থে বাঙালি করেছেন। শুদ্ধ ও পরিশীলিত
বাংলায় কথা বলতে শিখিয়েছেন। বাংলা গদ্যরীতিতে তিনি অসামান্য পরিবর্তন এনেছেন এবং
অবদান রেখেছেন। তিনি বহু নতুন বাংলা শব্দ নির্মাণ করেছেন। রবীন্দ্র পরবর্তী অনেক
লেখকই রবীন্দ্রনাথের দ্বারা প্রভাবিত হয়েছিলেন। সামগ্রিক অর্থে তার ভাষাকে অনুসরণ
করে বাংলা সাহিত্য এগিয়ে চলেছে। অবশ্য অনেক লেখকই নিজস্ব ভাষারীতি তৈরিতে সক্ষম ও
সফল হয়েছেন। তারপরেও আমাদের জাতীয় জীবনে রবীন্দ্রনাথের প্রভাব অনেক গভীরে। বিশেষ
করে তার গান ও কবিতা বাঙালির নিত্যদিনের চর্চার বিষয়। জীবনকে গভীরভাবে উপলব্ধি
করার জন্য তাঁর লেখা আমাদের অনুপ্রাণিত করে, সামনে এগিয়ে যাওয়ার শক্তি জোগায়। রবীন্দ্রনাথ যখন
লিখতে শুরু করলেন তখন বাংলা ভাষা সাহিত্যরচনার জন্য সম্পূর্ণরূপে প্রস্তুত ছিলো না। বিদ্যাসাগর, বঙ্কিম, মাইকেল প্রমুখের হাত
ধরে বাংলাভাষা শক্তি সঞ্চয় করেছিল বটে, কিন্তু রবীন্দ্রনাথের হাতে এসে সে ভাষা পূর্ণতা
পেয়েছে।
রবীন্দ্রসঙ্গীত
এখনও বাংলা গানের জগতে একাধিপত্য বজায় রেখেছে। রবীন্দ্রনাথেরও তাঁর গানের
প্রতি অগাধ আস্থা ছিলো। তিনি বিশ্বাস করতেন বাঙালি তাঁর সব ভুলতে পারে, কিন্তু তাঁর গান গাইতেই হবে বাঙালিকে। আমাদের লোকউৎসব (যেমন
পয়লা বৈশাখ,
বসন্ত
উৎসব) রবীন্দ্রসঙ্গীত ছাড়া জমে না। যে কোনো অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী সঙ্গীত হিসাবে এখনো প্রধানত
রবীন্দ্রসঙ্গীত গাইবার চল আছে।
প্রবন্ধে
আমরা পাই এক ভিন্ন রবীন্দ্রনাথকে। যে সাহস এবং উদ্দীপনা তাঁর লেখনীর মাধ্যমে পাঠকের কাছে তিনি পৌঁছে দেন তার প্রয়োজনীয়তা
এখনো ফুরোয়নি। প্রমথ চৌধুরী তার ‘বর্তমান বঙ্গসাহিত্য’ লেখায় সাহিত্যের যে
‘আবিষ্কার’ ও ‘নির্মাণ’র প্রসঙ্গ নির্দেশ করেছেন সেই আবিস্কারের জন্য তো অবশ্যই, নির্মাণের
জন্যও রবীন্দ্রনাথের চিন্তা এখনো আমাদের
কাছে বিরাট ঋণ।
‘গীতাঞ্জলি’র জন্য
তিনি প্রথম ভারতীয় হিসেবে বাংলা সাহিত্যে নোবেল পেয়েছেন। এখনো তিনি এই বিষয়ে বাংলা
ভাষায় একমাত্র।
রবীন্দ্রনাথকে
পাঠ করবার আগেই তার প্রতি আমাদের এক ধরনের বিশ্বস্ততা ও শ্রদ্ধাবোধ জন্মায়। ফলে
‘রবীন্দ্রনাথ’ নামটি আমাদের মনোজগতে এক
আধিপত্য বিস্তার করে আছে চিরকাল, সেই শিশুকাল থেকে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় বা জীবনের যে
কোনো পর্যায়ে।
সাহিত্যে
‘নতুন’ কিছু করার মূলমন্ত্র হচ্ছে রবীন্দ্রবলয় ভাঙ্গা। ৩০’ এর দশকে বাংলা সাহিত্যে
যখন বুদ্ধদেব বসুদের আগমন ঘটলো, এই সময়কে বলা হলো রবীন্দ্রবলয় ভাঙার কাল। অর্থাৎ গড়ছি বা
ভাঙছি দুটোই রবীন্দ্রনাথকে সামনে রেখে।
রবীন্দ্রনাথের
লেখা থেকে নানা বিষয় খুঁজে বের করে নিত্য নতুন গবেষণা হচ্ছে। একটা প্রবণতা
দাঁড়িয়েছে রবীন্দ্রনাথের উদ্ধৃতি ব্যতীত গবেষণা অসম্পূর্ণ থেকে যায়, এমনই প্রভাব
তাঁর যার যেমন প্রয়োজন রবীন্দ্র সাহিত্য
থেকে নিচ্ছেন। এতে চিন্তা সমৃদ্ধ হচ্ছে। অর্থাৎ রবীন্দ্রভিত্তির উপর দাঁড়াচ্ছে
আমাদের চিন্তা-চেতনা।
রবীন্দ্রনাথকে
আমরা সব বয়সের,
সব
কালের উপযোগী করে গড়ে নিয়ে গ্রহণ করছি।
যেমন,
‘ছোটদের
রবীন্দ্রনাথ’,
কিশোরদের
রবীন্দ্রনাথ,
প্রেমিক
রবীন্দ্রনাথ,
শিক্ষাবিদ
রবীন্দ্রনাথ,
দার্শনিক
রবীন্দ্রনাথ প্রভৃতি।
রবীন্দ্রনাথ
নিজের সাহিত্য কর্মকে ছাড়িয়ে অনেক অনেক বেশি মানুষের মধ্যে ব্যাপ্ত হয়ে আছেন তাঁর
সামাজিক নানা কর্মকান্ডের মধ্যে দিয়ে। ‘গীতাঞ্জলি’, ‘চোখের বালি’ ‘ডাকঘর’ এর নাম না জানলেও অনেক প্রান্তিক মানুষ
শুধু রবীন্দ্রনাথের নামের সঙ্গে পরিচিত।
বাঙালি
শিক্ষিত সমাজে এমন একটা প্রবণতা আছে যে রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে কিছু লিখতেই হবে।
আলোচনার কোনো বিষয় না থাকলে সেখানে অবশ্যই রবীন্দ্রনাথ।
বর্তমান
প্রজন্ম রবীন্দ্রনাথকে সরাসরি পাঠ না করে অন্যভাবে পেতে আগ্রহী। ‘চোখের বালি’
উপন্যাসটি না পড়ে সেটির অবলম্বনে যে সিনেমাটি নির্মিত হয়েছে তা দেখতে বেশি আগ্রহী।
একই ঘটনা ঘটছে গল্প ও উপন্যাসের ক্ষেত্রে।
আমাদের
সাহিত্য দিন দিন যেন জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে। বিশেষ করে এই শতকের ‘শূন্যের দশক’র যে
কবিতা,
তার
সঙ্গে একেবারেই পরিচয় নেই আমজনতার। এখানেই আরেকবারের জন্য ‘আমাদের’ হয়ে উঠছেন
রবীন্দ্রনাথ। রবীন্দ্রনাথের ‘মানসী’ পরবর্তী কাব্যধারা এক নতুন যুগের সূচনা করল।
তৈরি হল নতুন কবির পাঠক সমাজ। তারপর ‘সোনারতরী’, ‘চিত্রা’,‘কল্পনা’, ‘কথা’
কাব্যগ্রন্থগুলো পাঠক মহলে বেশ সাড়া ফেলেছেl সেই সঙ্গে রবীন্দ্রকবিতার একটি সংকলন ‘চয়নিকা’
পাঠক মহলে বেশ সমাদৃত হয়েছে।
বিশ্বভারতী
গ্রন্থবিভাগ (১৯২৩) প্রতিষ্ঠিত হবার পর ‘প্রবাসী’ পত্রিকার ‘বিশ্বভারতী
গ্রন্থালয়ের পুরস্কার’ শিরোনামে একটা সংবাদ বেরুল। এর বিষয় ছিলো রবীন্দ্রনাথের কাব্যগ্রন্থাবলী হতে দুই’শ
শ্রেষ্ঠ কবিতা নির্বাচন করে দিলে বিশ্বভারতী গ্রন্থালয় পাঁচটি পুরস্কার দেবেন।
যারা রবীন্দ্রনাথের কবিতা পড়েন বা সব কবিতাই পড়েছেন তাদের উপরই নির্বাচনের ভার
পড়ল। কোন কোন কবিতা ভালো লাগে তা পাঠককে জানাতে হবে। পুরস্কারের পাশাপাশি বিজয়ীরা
রবীন্দ্রনাথের সঙ্গ লাভ করতে পারবেন।
এই সংবাদ
ও বিজ্ঞাপনে আশাতীত সাড়া মিলল। পাঠকদের নির্বাচিত কবিতা নিয়ে বেরুল ‘চয়নিকা’র নতুন
সংস্করণ। এবং বইটির বিক্রি দেড়গুণ বেড়ে গেল। জনপ্রিয়তা অনুযায়ী সংকলনের পাশাপাশি
কবির প্রত্যেক কবিতার পাশে প্রাপ্ত ভোটসংখ্যা উল্লেখ করা হল। উল্লেখ্য, সেদিন পাঠকের
নির্বাচনে সর্বোচ্চ ৩০০ ভোট পেয়েছিল ‘সোনার তরী’ কবিতাটি। ২৯৭ ভোট পেয়েছে
‘চিত্রা’র ‘উর্বশী’। আর কাহিনী প্রধান কবিতা ‘পুরাতন ভৃত্য’ ও ‘দুই’ বিঘা জমি’
যথাক্রমে ২৭৬ ও ২৭৩ ভোট পেয়েছিল। পাঠকের শক্তি কতখানি তা আজ প্রমাণিত। সেই কত বছর
আগের সাধারণ পাঠকের নির্বাচিত কবিতাগুলো বাংলা সাহিত্যে আজো জনপ্রিয়।
পল্লী
উন্নয়নে রবীন্দ্রনাথের চিন্তা-ভাবনা কতটা সুগভীর ছিল, পরিষ্কার বোঝাপড়া ছিল তা নিচের
উদ্বৃতিটি দেখলেই ধারণা করা সম্ভব। ‘তোমরা যে পারো এবং যেখানে আরো এক-একটি গ্রামের
ভার গ্রহণ করিয়া সেখানে গিয়া আশ্রয় লও। গ্রামগুলিকে ব্যবস্থাবদ্ধ করো। শিক্ষা দাও, কৃষিশিল্প ও গ্রামের
ব্যবহার সামগ্রী সম্বন্ধে নূতন চেষ্টা প্রবর্তিত করো, গ্রামবাসীদের বাসস্থান যাহাতে
পরিচ্ছন্ন,
স্বাস্থ্যকর
ও সুন্দর হয় তাহাদের মধ্যে সেই উৎসাহ সঞ্চার করো। এ কর্মে খ্যাতির আশা করিয়ো না।
এমনকি,
গ্রামবাসীদের
নিকট হইতে কৃতজ্ঞতার পরিবর্তে বাধা ও অবিশ্বাস স্বীকার করিতে হইবে। ইহাতে কোনো
উত্তেজনা নাই,
কোনো
বিরোধ নাই,
কোনো
ঘোষণা নাই,
কেবল
ধৈর্য এবং প্রেম, নিভৃতে তপস্বা- মনের মধ্যে কেবল এই একটিমাত্র পণ, দেশের মধ্যে সকলের
চেয়ে যাহারা দুখী তাহাদের দুঃখের ভাগ লইয়া সেই দুঃখের মূলগত প্রতিকার সাধন করিতে
সমস্ত সমর্পণ করিব। (বিশ্বভারতী গ্রন্থমালা: রবীন্দ্র শতবর্ষপূর্তি
গ্রন্থমালা-রবীন্দ্র সাহিত্য)
রবীন্দ্রনাথ
বোঝাতে চেয়েছেন,
বাঙালির
চেতনা জাতীয় কলেবরের সর্বত্র গিয়ে না পৌছানোর কারনে, বাঙালির সব চেষ্টা এক জায়গায়
পুষ্ট ও অন্য জায়গায় ক্ষীণ হয়ে যাচ্ছে। জনসমাজের সঙ্গে শিক্ষিত সমাজের বিচ্ছেদকে
জাতির ঐক্যবোধের ভাঙনের জন্য তিনি দায়ী করছেন।
দুইজন
বাঙালি মহান পুরুষ বাঙালিকে বিশ্ব দরবারে উচ্চাসনে নিয়ে গিয়েছেন। একজন জাতির জনক
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অন্য জন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। এই দুজনই বাঙালি জাতির
অহঙ্কার,
বাঙালির
কাছে নমস্য। কয়েক বছর আগে বিবিসির জরিপে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি নির্বাচিত
হয়েছেন বঙ্গবন্ধু। বাঙলা ভাষা বাঙলা সাহিত্য আর রবীন্দ্রনাথ একই সূত্রেগাথা। যতদিন
বাংলা বাঙালি বাংলাভাষা থাকবে ততদিন রবীন্দ্রনাথও থাকবেন। তার অমর সৃষ্টির মাধ্যমে
উপকৃত হবে বাঙালি। বাঙালি চেতনায় সুর ঝংকৃত হতে থাকবে।
কপিরাইট যাদব চৌধুরী কর্তৃক সংরক্ষিত
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন