রবিশঙ্কর মৈত্রী
রংরুট: কখনো কি মনে হয়েছে ৭১-এর স্বাধীনতা রংরুট ধরেই এগিয়ে চলেছে? অন্তত
বিগত চার দশকের নিরিখে। বিশেষ করে এই প্রশ্নটি দিয়েই আপনার সাথে আলাপটুকু শুরু
করার কারণ আর কিছুই নয়, বিগত চার দশকের স্বাধীনতার প্রাপ্তি
আর অভিজ্ঞতার বাটখারায় বাঙালির সার্বিক উন্নতির রেখাচিত্রটি কি অনেকটাই বেঢপ দেখায়
না?
আপনার মতামত।
রবিশঙ্কর::: ভুল পথে চলে যাওয়া মানেই তো ভুল
গন্তব্যের দিকে এগিয়ে যাওয়া। সমুদ্রের জলও জোয়ারের বেলায় বেভুল জায়গায়ও যায় বটে, ভুল জায়গা থেকে বেশিরভাগ জলই সমুদ্রেই ফিরে আসে, কিছু জল খানাখন্দেও থেকে যায়। একাত্তরের স্বাধীনতাকে আমি শুধু বাংলাদেশের বাঙালির স্বাধীনতা, কিংবা বাঙালি মুসলমানের স্বাধীনতা বলে জানিনি চিনিনি
বুঝিনি। সমগ্র বাঙালির একটি দেশ আছে—এই
দেশটা হাজার বছর ধরেই ছিল। সেই দেশটার একটা অংশ স্বাধীন সার্বভৌম ভূখণ্ড পেয়েছে ১৯৭১
সালে। দেশ মানে তো কেবলই মানচিত্র সীমানা পতাকা রাষ্ট্র আর সরকার নয়। দেশ হল ভাব
ভাবনা এবং চেতনার পরিণত রূপ এবং অবশ্যই সামগ্রিক লাবণ্য। অস্তিত্ববিশ্বাসীদের যেমন একেকটি তীর্থ আছে, তেমনি বাঙালি চেতনায় বিশ্বাসীদেরও একটি রাষ্ট্র আছে। তীর্থের বাইরে ঘরে ঘরে যেমন
প্রার্থনার জায়গাটুকু থাকে, বাঙালি-রাষ্ট্রের বাইরেও তেমনি বাঙালির চেতনা ও প্রেমস্থান
আছে। গোরু ছাগল মুরগির মাংসগত-উন্নয়নটুকু বাটখারায় মাপা যায়। দেশ ও মানুষের উন্নয়ন
মাপতে হলে শিক্ষা আর সংস্কৃতির নিক্তি লাগে। আমাদের বাংলাদেশ হালট থেকে সড়কে
উন্নীত হয়েছে, আমাদের বাংলাদেশ সাঁকো থেকে সেতুতে
উন্নীত হয়েছে, কিন্তু আমরা আজও সড়ক ও সেতু পার
হবার শিক্ষালাভ করতে পারিনি। মানুষ ও পশু মোটাতাজা
হওয়া মানেই উন্নত স্বাস্থ্যের অধিকারী হওয়া নয়। বেঢপ মানুষকে যেমন সুন্দর মানুষ
বলা যায় না, একপেশে বেঢপ উন্নয়নকেও তেমনি
সমুন্নত বলা যায় না।
রংরুট: একটি দেশের সমাজ ও রাজনীতিতে
ধর্মনিরপেক্ষতার বাতাবরণ কতটা জরুরী বলে মনে করেন আপনি?
বাংলাদেশের সংবিধানে মুক্তিযুদ্ধের এই চেতনাটিকে আবার ফিরিয়ে নিয়ে আসতে গেলে
কিভাবে এগনো দরকার? না
কি জনমানসের মূল আবেগ যদি ধর্মনিরপেক্ষতার বিরুদ্ধেই থাকে তবে সেই আবেগকেই সম্মান
জানানো জরুরী?
আজকের বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে আপনার মতামত।
রবিশঙ্কর: কোনো কালেই কোনোখানেই সাধারণ বাঙালি ধর্মনিরপেক্ষ ছিল না। বাঙালির ছিল
সম্প্রদায় সম্প্রীতি। পশ্চিমবঙ্গেও অগ্রসর বাঙালি ধর্মনিরপেক্ষ নন, তাঁরা স্বধর্ম বিদ্বেষী এবং তাঁরা সংখ্যালঘুর প্রতি
করুণাপ্রবণ। বাংলাদেশেও ধর্মনিরপেক্ষ বাঙালি নেই বললেই চলে। বাংলাদেশের যে-কজন বাঙালি ধর্মনিরপেক্ষতার কথা বলেন, তাঁরা স্বধর্মমূক আপোষকামী, এবং তাঁরা সংখ্যালঘুর প্রতি করুণাপ্রবণ। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের প্রায় শতভাগ বাঙালি পাকিস্তান থেকে মুক্তি চেয়েছিল। সেই
মুক্তির সংগ্রামে স্বপ্নে বাঙালির আবেগ ঘন হয়েছিল মাত্র, সেই আবেগকে চেতনা বলে মানা যায় না। আবেগ মূলত জল ও বায়ুনির্ভর। বায়ু ও জল ঘুরে
যেতেও সময় লাগেনি।
রংরুট: মাতৃভাষা আন্দোলনের সূত্র ধরে
স্বাধীনতা আন্দোলনের ঐতিহ্য বাঙালির আত্মপরিচয়কে কতটা বিশেষত্ব দিতে পেরেছে বলে
আপনার ধারণা। এবং একই সাথে ক্ষমতা কেন্দ্রিক মানুষের ভোট কুক্ষিগত করে রাখার যে
রাজনীতি তা কিভাবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে ধুলিসাৎ
করল শেষমেষ?
রবিশঙ্কর: মাতৃভাষা
আন্দোলনের সূত্র ধরেই বাঙালির একক রাষ্ট্রের স্বপ্ন বাস্তবতার দিকে এগিয়েছিল।
মাতৃভাষার আবেগকেও বাঙালি ভোটের কাজে লাগিয়েছে। যে বাঙালি মাতৃভাষা ও আত্মপরিচয়কে
বড়ো করে না দেখে ধর্মপরিচয়কেই পুঁজি করেই যদি হাজার মাইল দূরের রাষ্ট্রের সঙ্গে
যুক্ত হতে পারে, সেই বাঙালির আর সকল চেতনাকেও
তখন বানানো অস্ত্র ও কৌশল বলেই মনে হয়। মুক্তিযুদ্ধই প্রমাণ করে ধর্মের চেয়ে
বাঙালির আত্ম ও ভাষাত্মীয় পরিচয়সূত্রই বড়ো। মুক্তিযুদ্ধের ফলে বাংলাদেশ স্বাধীন
সার্বভৌম রাষ্ট্রলাভ করেছে, কিন্তু
মুক্তিযুদ্ধের ক্ষেত্র তখন শুধু পূর্ব পাকিস্তান ছিল না—সমস্যা হল আমরা ওপারে পৌঁছে গেলেই ঘাট নৌকা মাঝি সব ভুলে যাই।
আশার
কথা বিশ্বের নতুন বাঙালি প্রজন্মের একটি বড়ো অংশ মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে শাণিত করে
চলেছে। সকল সীমানার বাঁধ ও বাধাকে না মেনে একটি প্রজন্ম এক ও একক বাঙালি চেতনায় আজ
উজ্জীবিত হয়ে উঠছে।
রংরুট: সোভিয়েত ইউনিয়নের পতন ও
পূর্বইউরোপের পটপরিবর্তনের হাত ধরে বর্তমানের একমেরু বিশ্ব মানুষের মৌলিক
অধিকারগুলির পক্ষে কতটা বিপদসংকুল বলে আপনি মনে করেন? নাকি
সমাজতন্ত্রের লৌহযবনিকার আড়াল উঠে যাওয়াতেই মানুষের মৌলিক অধিকার অধিকতর সুরক্ষিত
এখন?
আপানার অভিমত।
রবিশঙ্কর: রাষ্ট্র ও রাষ্ট্রনায়কের পতন মানেই চেতনার পতন নয়। মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠার
লক্ষ্যে সকল দেশের সকল মানুষ এক ও অভিন্ন। মানুষকে ভুল বুঝিয়ে কোনো তন্ত্রের পতন
ঘটানো যায় না। আমি ফরাসি দেশে আশ্রিতজন। এ দেশে মানুষের মৌলিক অধিকার সুরক্ষিত
হবার পর ব্যক্তির বাণিজ্য, ব্যক্তির স্বার্থ।
মানুষের মৌলিক অধিকার হরণকারী রাষ্ট্রগুলোই ক্রমাগত অরক্ষিত হয়ে পড়ছে। মানুষই
রাষ্ট্রের সুরক্ষা তৈরি করে, অস্ত্র ও কূটকৌশল তা
পারে না। মানুষের মৌলিক অধিকার কেড়ে নিলে রাষ্ট্রও দুর্বল হয়ে পড়ে।
রংরুট: সারা বিশ্বের রাজনৈতিক
গতিপ্রকৃতির মধ্যে দিয়েই অনেকেই ক্ষমতাকেন্দ্রিক রাজনীতি চর্চার মধ্যে সুকৌশলী
স্বৈরতন্ত্রের ক্রমবিকাশের অশনি সংকেত দেখছেন। এর পিছনে কি ধনতান্ত্রিক
পুঁজিবাদেরই বলিষ্ঠ হাত রয়েছে? এই প্রসঙ্গে মুসোলিনির একটি
উক্তি মনে পড়ছে,
“Fascism should more appropriately be called corporatism because it is a merger
of state and corporate power.’ -- Benito Mussolini” আপনার
অভিমত।
রবিশঙ্কর: গণতন্ত্রের মোড়কে যে সকল রাষ্ট্র উন্নত বেশ ধারণ করে আছে, সে সকল রাষ্ট্র থেকেই মূলত তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোতে
স্বৈরতন্ত্র কায়েম করা হচ্ছে নানান কৌশলে।
রংরুট: আজকে একদিকে বিশ্বায়ন ও আর
একদিকে ইনটারনেট বিপ্লবে মানুষের সাথে মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থার যুগান্তকারী
উন্নতিতে আপনার কি মনে হয়, দেশীয় ঐতিহ্য ও উত্তরাধিকার যে
গণ্ডীবদ্ধতা তৈরী করে- যাতে মানুষে মানুষে অন্তত সাংস্কৃতিক ও
মানসিক একটি বিভাজন রেখার দূরত্ব রয়েই যায়; অদূর
ভবিষ্যতে মানুষ সেই দূরত্বের বিভাজন রেখা মুছে ফেলে বিশ্বমানবতায় পৌঁছাতে পারবে কি
অনেক সহজেই?
রবিশঙ্কর: বিশ্বায়নের পথ ধরে দরিদ্র রাষ্ট্র
থেকে মেধাপাচার হচ্ছে উন্নত বিশ্বে। তৃতীয় বিশ্বের মানুষের সামগ্রিক কোনো উন্নতি
হচ্ছে না, তাদের কেবল ক্রয়ক্ষমতা বাড়ছে।
তৃতীয় বিশ্বের দরিদ্র মানুষের অস্থায়ী ক্রয়ক্ষমতা বাড়া মানে উন্নত বিশ্বের
পুঁজিবাদী বলিষ্ঠ হাতের প্রসার—সোজাসাপটা হিসেবে এটাই
ধরা পড়ে। যোগাযোগের
দূরত্ব কমে আসা মানেই কোনো বিভাজন মুছে ফেলা নয়। বাগানবাড়ির গোয়ালঘরে কিছু গোরু
ছাগল পালিত হওয়া মানেই কি পশুপ্রীতি?
রংরুট: আধুনিক জীবনে ভোগবাদ মানবিক
মূল্যবোধের ভিত্তিভুমিকেই টলিয়ে দিয়েছে –এমানটাই যদি কেউ ভাবেন, সেই ভাবনাকে আপনি কি ভাবে দেখেন? ভোগবাদের বিস্তারের সাথে
অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির যে সমানুপাতিক সম্পর্ক সেকথা মাথায় রেখেও মানবিক মূল্যবোধের
অবক্ষয়ে ভোগবাদের ভুমিকাকে কি কোন ভাবে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব বলে মনে করেন আপনি?
রবিশঙ্কর: ভোগবাদের সঙ্গে আধুনিকতার কোনো সম্পর্ক নেই। ভোগবাদী চোখ
বুঁজে অভুক্তকে সামনে রেখেই ভোগ করে। চক্ষুলজ্জা মানবিকতা সংবেদনশীলতা সহ সামগ্রিক
মূল্যবোধই মানুষকে সুসভ্য ও আধুনিক করে তোলে। একলা
একা বাঁচতে চাওয়াটাই অনাধুনিকতা। সকল মানুষের অংশগ্রহণমূলক অবদানের প্রেক্ষিতেই
আমরা আধুনিক মানুষ হতে পারি। খাবারের থালাটির উপর-নিচটুকু চিন্তা করাই আধুনিকতা। আমার সকল
স্বস্তি সুখ ও আনন্দের মধ্যেই অসংখ্য শ্রমিক ও বুদ্ধিজীবীর অংশগ্রহণ আছে—এমনটা না ভাবতে পারলেই মানুষ আর
ভোগবাদী এবং স্বার্থান্ধবাদী হতে পারে না।
রংরুট: আধুনিক বিশ্বব্যবস্থায় নাগরিকের
মৌলিক অধিকার,
তার স্বাধীনতার পরিসর ও নাগরিক জীবনে রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণ
এই দুইয়ের মধ্যে ফারাকই বা কতটা ও সামঞ্জস্য বিধানই বা কি ভাবে সম্ভব? অবশ্যই এই ফারাক ও সামঞ্জস্য বিধান এক এক অঞ্চলে এক এক সমাজ ও রাষ্ট্রে এক এক
রকম হওয়ারই কথা। কিন্তু বিশ্বায়ন কি এই বিষয়ে সঠিক কোন দিশা দিতে পারবে বলে মনে হয়?
রবিশঙ্কর: কেবল
খাদ্য বস্ত্র বাসস্থান আর চিকিৎসায় মানুষের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয় না, মানুষের মৌলিক অধিকার থেকে শিক্ষা সংস্কৃতিকে বাদ দিলে সুষম বণ্টন নিশ্চিত হয়
না। নাগরিক যদি সুবোধ সৎ রুচিবান হয়—তবে
রাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণ, লাঠিবাজি লাগে না। আমি
ফরাসি দেশের খামারগুলোতে দেখেছি—মেষেরা
দলবেঁধে চলে, কোনো কোনো মেষ দলছুট হয়ে বিপথে
যেতে চাইলে পাহারাদার কুকুর তাকে দলে ফিরিয়ে আনে।
রংরুট: সাহিত্য দর্শন বিজ্ঞান
প্রযুক্তির বিবর্তনের পথে আমরা যে অনেক দূর এগিয়ে এসেছি, সে কথা
হয়তো বলাই যায়। কিন্তু সমাজ সংসার বিবর্তনের পথে বিগত দুই হাজার বছরের হিসাবটুকুই
যদি ধরি খৃষ্টাব্দের সূত্রে- তাহলে সত্যই কতটুকু এগোলো
মানুষের সমাজ সংসার সভ্যতা? আপনার মূল্যায়ন।
রবিশঙ্কর: যাঁরা চিন্তা করেন, যাঁরা নিজেদেরকে প্রজ্ঞাবান বলে জারি করেন, যাঁরা সাহিত্যিক, দার্শনিক, যাঁরা রাজনীতিক—তাঁরা আগাগোড়াই ভেবেছেন মানুষের
সমাজে তাঁরা উচ্চ এক আসনে থাকবেন। মাথা
উঁচু করে তাঁদেরকে সাধারণ মানুষ দেখবেন, এবং মাথা নিচু করে তাঁদেরকে সাধারণ মানুষগুলো প্রণাম
জানাবেন। মানুষের সমাজ সংসার সভ্যতা নিয়ে কম মানুষ চিন্তা করেননি। চিন্তা করে
তাঁরা চিন্তাবিদ হয়ে আমাদের প্রণম্য হয়েছেন। কিন্তু সকল মানুষকে চিন্তা করতে
শিখিয়েছেন গুটিকয় মনীষী। মানুষকে মানুষ করার কর্মী কোথায়? মানুষ এযাবত কেবল ভক্ত হতে শিখেছে এবং এখনও
মানুষ ভয় ও ভক্তিকেই সবচেয়ে বেশি উপভোগ করতে জানে। সভ্যতা এগোয়নি, আমরা বড়োজোর
সভামুখী হতে পেরেছি।
রংরুট: সবশেষে এসে শুরুর সেই
সূত্রটুকুর স্মরণে জানতে চাইবো; রংরুটই বলুন আর অগ্রগতিই বলুন
সাধারণ মানুষের জন্যে এই বিশ্ব কতটা নিরাপদ আজ, কারণ
সেইখানেই বিশ্বমানবতার নোঙরটি ফেলতে হবে না কি আমাদের?
রবিশঙ্কর: বেশিরভাগ রাষ্ট্রই খোঁয়াড় এখন।
খোঁয়াড়গুলো যতোটুকু নিরাপদ ততোটুকুই আছে ভিন্ন ভিন্ন রাষ্ট্রমানে। এক খোঁয়াড় থেকে
আরেক খোঁয়াড়ে উন্নীত হওয়াটাই স্বপ্ন এখন, মুক্ত মানুষ হবার স্বপ্ন দেখতে আমরা ভুলে
গেছি। তবু স্বপ্নঘোর ভেঙে মানুষের ভালোবাসার বীজক্ষেত্রে লাঙল ও নোঙর ফেলতেই হবে।
আবাদই সবচেয়ে বড়ো মতবাদ। মতবাদগুলো থাক না কিতাবে মহলে বচনে—আসুন আমরা জমি ও
আবাদের জায়গাটুকু ধরে রাখি, আসুন আমরা আবাদজমিনে সকলে মিলে অংশগ্রহণ করি।
রবিশঙ্কর: মৈত্রী। ১৯৬৯ সালের ১৬ই
ডিসেম্বরে ফরিদপুরে জন্ম। পিতা কুমুদরঞ্জন, মাতা জয়ন্তী দেবী। তাঁর কথায়, ঘুমের বাইরেও স্বপ্নপথে
হেঁটেছিলেন বলে আজ তানি রাষ্ট্রহীন মানুষ। ফরাসি দেশে আশ্রিত, নির্বাসিত।
রবিশঙ্কর: মৈত্রী
রংরুট
সম্পাদকমণ্ডলীর পক্ষে থেকে আপনার সহযোগিতার জন্যে আন্তরিক ধন্যবাদ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন