নির্ভুল
অলভ্য ঘোষ
পর্ব-১
কুয়াশায় মোড়া হিমশীতল সকালে চার্চে যাবার
পথে;যখন প্রার্থনা গানটা আমি ভুল গাইতাম। সেই আধা কলি ফোঁটা
মেয়ে বেলায়;তবুও তুমি আমাকে দেখা দিয়েছিলে জেসাস। বেহুশ বেঘোর। জ্বরে পুড়ে ছাই
হয়ে যাওয়া ছোট্ট মেয়েটির মাথায় জলপট্টির মতো তোমার ঠাণ্ডা শীতল হাত রেখেছিলে
যখন আমার ঠাকুরমা গিয়েছিল হার্বাট বৈদ্য কে ডাকতে।
বাবা অমাদের মা কে ফেলে আয়ারল্যান্ড না
স্কটল্যান্ড কোথায় যেন চোলে গেছিল। মা তার সহকর্মী গাড়ির এক মেকানিক কে বিয়ে করলো। মিস্টার বের্গ
বাক্কের। মদ্যপ কামুক। তবে আমাদের নতুন বাবা টি মারামারি ঝগড়া করলেও
পরক্ষণে আমার মা কে খুব আদর করতো। এই আদর এমন পর্যায়ে চলে যেত রান্না ঘরে কিংবা
খাবার টেবিলেই তারা শুরু হয়ে যেতো।
নেদের-পপ এক প্রকার টিপিকাল ডাচ পপ সঙ্গীত
হেঁড়ে গলায় বেসুরো গাইতে গাইতে পেছন থেকে মায়ের স্কার্ট টা হাঁটুর নিচে থেকে কোমরের
ওপরে তুলে দিত। হাত বুলিয়ে হাতরাতো যেন ঝোলার ভিতর টোকেন খুঁজছে।
সেই গানের কথা গুলো এরকম গাড়ির যেসব যন্ত্রাংশ
আপনি সহজেই পরিবর্তন করতে পারেন।
মেয়েদের বুক, পেট, পাছা,
ভোদা সব এক একটা গাড়ির পার্টস। শিরা ফুটে ওঠা লোহার
মত হাত দুটো দিয়ে বার কয়েক প্যাক প্যাক করে হর্ন টেপার মত লোকটা মায়ের বিগ
অ্যাসে হেড টাইট বলে হাত বুলাতে লাগতো। আমি কিছুতেই বুঝে উঠতাম না ওটা হেডলাইট হবে কি
করে। হেড লাইট তো সামনে
থাকে। ড্যাশবোর্ড।
মা বলতো;- Naughty দিনের বেলা কেউ হেডলাইট
জ্বালে।
লোকটা মায়ের সেই থল থলে চর্বিযুক্ত বড় পাছা
টিকে ভাঙ্গা হেডলাইট বলতো। রাতে
দিনে কোন সময়েই জ্বলে না। সে মেকানিক
তাই হাল ছাড়ছে না। জ্বালিয়েই
ছাড়বে।
মা অভিমানের ভঙ্গিতে কিছুটা সরে যেত।
বাক্কের রাস্তার কুকুরের মত যেন গন্ধ শুকতে
শুকতে তার পিছনে আবার গিয়ে দাঁড়াত।
মা যখন বুঝত মাল না পড়া পর্যন্ত এই ক্ষ্যাপা
ষাঁড় কে শান্ত করা সম্ভব নয়। টোস্টে মাখন লাগাতে লাগাতে টেবিলের ওপর ভারি
বুক ঝুঁকিয়ে পাছাটা নতুন বাবার দিকে এগিয়ে দিতো। আর একদিন বাক্কের তা
নিয়ে তবলা বাজাতে বাজাতে এমন ভাবে জাপটে ধরে ছিল আমার ভাই হেসে গড়িয়ে পড়লো।
-লাইক যা মনকেই!
হাসির চোটে দুধ গ্লাস থেকে ছলকে পড়েছিল তার
গায়ে।
বাঁদর বলায় রাগে ক্ষোভে লোকটা থেমে গিয়ে
চেঁচিয়ে উঠেছিল।
-শুয়োরের বাচ্চা। বেরো এখান থেকে।
মা বাক্কের কে বোঝানোর চেষ্টা করেছিল ছোট ছেলে। ও সব কিছু বোঝে না।
এমন অবস্থায় জলখাবার ফেলে পাশের ড্রয়িং রুমে
আমাদের আশ্রয় হতো। ডাইনিং টাই তখন বেডরুম হয়ে উঠত। কিছুক্ষণের মধ্যেই
আঃ উঃ গোঙ্গানির আওয়াজে টের পেয়ে যেতাম;ইঞ্জিন চালু হয়েছে। আর যখন তা দ্রুত লয়ে
পিচ্ছিল ফচ ফচ সঙ্গতের সাথে পরিবেশিত হতো পাশের ঘরে বসে আমারা তিন ভাই বোনে বুঝতাম
আর অল্প ক্ষণের মধ্যেই স্টার্ট বন্ধ হবে। আমরা ডাইনিং রুমে ঢোকার সুযোগ পাবো। অবশিষ্ট ব্রেকফাস্ট খেয়ে নাস্তা সম্পূর্ণ করবো।
পর্ব-২
লেখকেরা টুকে লেখেন। আর এই টুকে লিখতে
লিখতে মানুষের জীবন টোকা তাদের অভ্যাসে দাঁড়িয়ে যায়। ভাল ভাল কথা গুলো
ঝারাই মারাই করে শব্দ বেছে বেছে ডিকশনারি মিলিয়ে ;অন্ত্যমিল খুঁজে সুন্দর সুন্দর
কথার পরে কথা সাজিয়ে গল্প,উপন্যাস, কবিতা,নাটক,সিনেমার স্ক্রিপ্ট লিখে চলেন। আমরা যেমন সন্ধ্যে
হলেই রং চং মেখে সাজি ঠিক তেমন উদ্দেশ্য তাদের একটাই আমাদের মত গ্রাহক ধরা। বিক্রি হওয়া টা খুব জরুরী। তবে এই যে পোড়া
পেটের জন্য কথার বেশ্যা হওয়া বেস্ট সেলার হয়ে ওঠা সেটা কখনো তারা স্বীকার করে না। কি মহৎ আদর্শ কি যেন
জ্ঞানের কথা বলতে যাচ্ছে। সর্বদা এই ভাব। অথচ সবটাই ফাঁকি প্রকৃত জীবন তারা কিছুই দেখেন
নি। কিছুই জানেন না। যে টুকু বলেন তা তো
জীবনের ট্রেইলার ও নয়;
মহা সমুদ্রের এক বিন্দু জলকণা দেখলে যেমন সমুদ্র দেখা হয়না ;তিন ঘণ্টার সিনেমায় কি তিনশো পৃষ্ঠার নভেলে একটা জীবনের কত টুকুই বা ধরা
পরে। এক বিন্দুও নয়। ভিলেন যে তার কোন ভাল গুণ নেই। আর নায়কের গুণের শেষ
নেই। কোন বদ গুণ নেই। ফাঁক থেকে যায় । বড় ফাঁক। সমস্ত টাই ফাঁকি। যেমন আমরা অতৃপ্ত
কামনা বাসনা নিয়ে আসা মানুষ গুলকে শরীর দিয়ে তার জীবনের সব অতৃপ্ততা ,অপ্রাপ্তি,
ভালবাসা-হীনতা মাত্র পাঁচ থেকে মিনিট কুড়ি ভুলিয়ে রাখি। পুরোপুরি কখনো পারি
না। এও ঠিক তেমন টি। ফাঁকি; ছেলে ভুলানো। তবে এ ভুলানোও কঠিন
কাজ যেমন কঠিন কাজ একটা গোটা সংসার কে চেপে চুপে দেশলাইয়ের খোলে পুড়ে পকেটে নিয়ে
ঘোরা। খুবি কঠিন। যারা পারেন সত্যিই
প্রতিভাবান। কিন্তু আমি
অশিক্ষিত স্কুলে গেছিলাম কিন্তু তা দীর্ঘস্থায়ী হয় নি। ভাষা নিয়ে ছেনালি
করার ক্ষমতা আমার নেই। সোজা কথা বলতে পারি স্ট্রেইটফরওয়ার্ড। আকাশ, বাতাস, মেঘ এসব
কে পরীটরি অন্যরকম কিছুই লাগেনা। নানা
রকম উপমা দিয়ে কাব্য করা আমার সাজে না। সোজা ভাবে বলতে পারি খানকি কেউ শখ করে হয় না। তবে এখন বেশ উপভোগ
করি ব্যাপার টা। কে বেশ্যা নয়?যে কোন কিছুর বিনিময়ে সম্ভম বিক্রি
করা মানেইতো বেশ্যা।
পর্ব-৩
সেদিন মা মার্কেট না কোথায় যেন গিয়েছিল;বিকেলবেলা
ভাই বোন সামনের পার্কে গেছে খেলতে। সংসারের সব কাজ আমাকে মেইড সারভেন্টের মত
সামলাতে হত। ঘর মোছা, কাপড় কাচা ভাই বোন দের দেখভাল। সে দিন এসব করতে
করতে লাঞ্চ ও হয়নি। বিকেল হয়ে গেছিল। বাক্কের এক গলা মদ
খেয়ে আমাদের ভাই বোন দের জন্য এক গাদা সুইটস এন্ড ক্যান্ডিজ নিয়ে এলো। মদ খেলেই কিপটা
বাক্কের উদার হয়ে যেত। পকেটের টাকা রাস্তার লোককে টিপস দিতে দিতে বাড়ি ফিরত। মা বলতো একদিন
আমাকেও দান করে বসবি হারামজাদা। নেশা কাটলে বাক্কের তার ক্রুর দৃষ্টিতে চেয়ে;সেয়ানা সুলভ
হাসি হাসার চেষ্টা করতো যাতে অপরিষ্কার পায়খানার প্যানের মত তার পানসে লাল হলুদ
ছোপ পড়া দাঁত গুলো দেখার উপায় ছিল না। গ্রীষ্মের বিকালে
আমার শরীরে পোশাক কম। বাক্কের বড় প্যাকেট টি হাতে লোলুপ দৃষ্টিতে দেখছিল
আমাকে। সেটা যে লোলুপ দৃষ্টি সেটা বোঝার বয়স তখনো আমার হয়নি। সবে চোদ্দ। মা বলতো মেয়েরা বাড়ে
কলা গাছের মত। বয়স তুলনায় বিধাতা আমার শরীর টাকে ডেভেলপ করে
দিয়েছিলেন। এই আমার কাল হয়ে উঠেছে। মাথা ভর্তি কুঁচকানো
সোনালী চুল। হৃষ্টপুষ্ট পরিণত হাত পা দেখে যে কেউ ষোল সতেরোর কমে
ভাবত না। পার্টিতে গেলে ছেলেরা কোম্পানি দিতে চাইতো; ডান্স করতে
চাইতো। কিন্তু মা-র থাকতো কড়া নজর। এই কাঁচা বয়সে অনেক
ভুল ভ্রান্তি ঘটে যায়। দিদিমার মুখে শুনে ছিলাম মা-র নাকি একটা নিগ্রো ছেলের
পাল্লায় পড়ে সেই বয়সে পেট হয়ে গিয়েছিল। তারপর এক হাতুড়ে ধাই এর হাতে গোপনে পেট খসাতে
গিয়ে মরণাপন্ন অবস্থা। আমি ভিজে কাঁটা
ব্রাশটা মেঝেয় ঘষছিলাম। ছোট থেকে আমি খুব খুঁত খুঁতে। কোথাও একটু দাগও
থাকলে খুঁটে খুঁটে তুলে ফেলে দিই। অথচ আজ আমার বুকে পিটে অসংখ্য দাঁত ও নখের দাগ
পুসসি টা যেন পুরুষের বড় বড় ডিকে হামানদিস্তার মত থেঁতলাতে থেঁতলাতে পচা কুমড়োর
মতো হয়ে গিয়েছে। আমার পছন্দের ডিলডো(Sex toys) এ পৃথিবীতে একটিও নেই। ভোদার ভেতরটা কার্বুরেটর এর মত ইঞ্জিনের গতি
অনুযায়ী পরিবর্তিত হয় । কোন ফিলিংস
শূন্য অসার অবশ হয়ে গিয়েছে।
হাতের প্যাকেট টা আমার হাতে দিয়ে কোমর ধরে
টেনে সোফার ওপর নিজের কোলে বসিয়ে বাক্কের মাথায় হাত বুলতে লাগলো। এমন আচরণ আমার সাথে
প্রথম করছিল এমন নয়। মায়ের চোখেও এর আগে দুই একবার পড়েছে। মা য়ে এই আদিখ্যেতা
ভালোভাবে নিচ্ছে না তা প্রকাশ করতেই বাক্কের বলতো;
-আমি যে এদের বাবা এটা ভুলে যেয়ো না।
মা বলতো;
- বাবা বটে; তবে step
father....
সে অনুমান করতে পারতো এই ধরনের বাবারা হুলো
বেড়ালের মত মিনির ছানা গুলো খেয়ে ফেলে। কঠিন বাস্তবে ধনী-গরীব; পুরুষ-নারী ,ক্যাথলিক প্রটেস্টান্ট মানুষের কত ভাগ। এ ভাগ তারা
স্বেচ্ছায় করেছে এ যেন বাস্তুতন্ত্রের খাদ্য খাদক সম্পর্ক। সমাজের কোন এক ugly লেংটা
ব্যালেন্স শিট মিলিয়ে চলেছে মানুষ।
জেবুলড কয়েক,স্পেকুলাস,ওলিয়েবললেন,পানেকেকেন,পোফার্জেস,স্ট্রওপিয়াফেলস,চকলেট লেটারস,হপ্যে,লিকোরিস কি নেই প্যাকেটের মধ্যে। মনে মনে যখন ভাবছি
পার্ক থেকে ফিরে আমার ভাই ও বোনেরা আনন্দ পাবে; আমার সদ বাবা যে কিনা বাবা নামের
কলঙ্ক আমার গালে হাত ঘসতে ঘসতে পিঠে আঙুল দিয়ে আঁকি বুকি কেঁটে Guess the
word খেলা খেলতে খেলতে চুঁচির বৃন্তে চিমটি কেটেছিল। আমি হো হো করে হেসে
উঠতেই আমার নরম আপেলের মত বব্স দুটো শক্ত হাতের মুঠোয় খিমচি কেঁটে ধরে ইচ্ছে মত
চাপ দিতে করেছিল শুরু। ও দুটো কাঁপতে কাঁপতে ইটের মত শক্ত হয়েছে যখন। কোল থেকে সোফাতে
নিয়ে প্যান্টি এক হ্যাঁচকায় হাঁটুর নিচে নামিয়ে দিয়েছিলে। মুখের ভেতরে
ক্যান্ডিটা চুষতে গেছিলাম ভুলে। শিকার কে সম্পূর্ণ নিজের থাবার ভেতর আনতে ;আমার
ভ্যাজিনার ভেতর তার সম্পূর্ণ জিভ টা চালান করে দিয়ে ভগাঙ্কুর ক্রমাগত চাটতে চাটতে
আমায় অবশ করেদিতে অভিজ্ঞ বাক্কের কোন ভুল হল না। হাতের প্যাকেট টা
স্যাঁতস্যাঁতে জিভ শরীরে প্রবেশের সাথে সাথেই হাত থেকে খসে পড়েছিল। সুইটস আর ক্যান্ডিজ
গুলো তখন মেঝেয় মাদার-ফাকার টার পায়ের তলায়। দড়ি দিয়ে চার পা শক্ত করে বেঁধে তপ্ত লোহার
রড চড়চড় করে পেছনে গুজে দিয়ে যে ভাবে করুণ ভাবে অবৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে কসাইখানায়
শুয়োর জবাই করা হয় ঠিক সেভাবেই As a token of love অর্গাজম এর চূড়ান্ত শিকড়ে আমাকে
পৌঁছে ধর্ষণ করলো চোদনা টা। ভালো লাগা না যন্ত্রণা ঠিক জানিনা সব মিলে
মিশে তারস্বরে কঁকিয়ে উঠলাম। কিন্তু সে বাড়ি ও ঘরে উপস্থিত দ্বিতীয়
প্রাণীটি র একটুও সিম্প্যাথি জাগ্রত হল না। তার পাশবিকতা বিন্দু মাত্র হল না শিথিল। এই ঢ্যামনা দের পৃথিবীতে ঈশ্বরও মনে হয় চোখ কান
বন্ধ করে রেখেছে। উপভোগ করছে সাধারণের দুঃখ কষ্ট। আমাদের মত তারও কোন
আত্মগ্লানি নেই। মানুষের ভাগ্য গুলোকে চুদতে চুদতে একটুও ক্লান্তি বোধ
হয় না;একঘেয়েমি লাগে না।
পর্ব-৪
তার অবর্তমানে অন্য কেউ তার জমিতে হাল চষলে ; চাষা যেমন
ঠিক বুঝে ফেলে। আমার মা ও তেমনি বুঝে ফেলেছিল।
স্বাভাবিক ভাবে আমার হাঁটার উপায় ছিল না। তবু চেষ্টা করছিলাম
হাঁটতে। পা দুটো ছেদরে যাচ্ছিল। হয়ত সেই জন্যই আমার
মায়ের সহজে দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিল স্কার্টের ভেতর থেকে পা বেয়ে গড়িয়ে পড়া এক
বিন্দু রক্ত। তার সেই বাদামী ভুরুর অপলক চোখে আমাকে নিরীক্ষণ করতে
করতে কাছে এসে দাঁড়িয়ে ছিল। মুখ থেকে কোন কথা সড়ছে না। মুহূর্তেই খুলে ফেলল
আমার সব জামা কাপড়। প্যান্টি টা রক্তে ভিজে। এক হেঁচকায় কোমর
থেকে নামিয়ে দিল মা। তার বিবর্ণ মুখখানা দেখে মনে হচ্ছিল আমার নয় তার কপাল
পুড়েছে। পুলি পিঠের মতো রক্তে স্ফীত আমার নিম্নাঙ্গের ঘায়ের
চিহ্নের দিকে দেখিয়ে খুব আস্তে আস্তে বলল;
-কে করল এমন টা।
যেন তার ঠোঁট দুটো নড়ল না এ কথায়। আমি মাথা নিচু
করেনিলাম। চুপ করে মেঝের দিকে চেয়ে দাঁড়িয়ে রইলাম। মা যেন আরও একবার
একই প্রশ্ন করেছিল।
-কে করল এমন টা।
আমি নিরুত্তর। হঠাৎ বোমা পড়ার মত
ফেটে পড়েছিল মা প্রচণ্ড চিৎকারে। আমার দুই গালে চড় মারতে মারতে চিৎকার করতে
লাগল।
আমার ভাইবোন ছুটে এসে মাকে আটকানোর চেষ্টা
করলো। আমার মা হাতের কাছে
যা পেলো ভাঙল। আয়না, চিনামাটির কাপ, প্লেট কিছুই রেহাই পেল না। আমি মুখ না খুললেও মা ঠিক বুঝেছিল এ কাজ
বাক্কের ছাড়া কারো হতে পারে না। বাক্কের কে পুলিশে দেবে বলল। তার চুলের মুঠি ধরে
কিল ঘুসি মারতে লাগলো। বাক্কের তার থেকে বয়সে বেশ অনেকটা ছোট;সবসময় সে
তাকে চোখে চোখে শাসনে রাখত। আমার সদ বাবা বেড়ালের মত গা ঝাড়া দিয়ে এমন
একটা ভাব করলো যেন সব দোষটা আমারই। সে নেশার ঘোরেছিল আর আমিই ঢলে পড়েছিলাম। বিড়ালের মুখে মাছ
এসে পড়লে বিড়াল কি শুঁকে ছেড়ে দেবে?দোষটা বিড়ালের নয় মাছের। পুরুষ বিড়ালের জাত
ছোঁক ছোঁক করে মাছের আঁশটে গন্ধে; ফাঁক পেলে সে যত কাঁটাওয়ালাই মাছ হোকনা কেনো;কাঁটা বেছে খাবেই। মাছকে
বরং সংযত থাকতে হবে ডাঙ্গায় ওঠা তার চলবে না! পর্দার আড়ালে থাকতে হবে;সর্বাঙ্গ
ঢেকে থাকতে হবে। সারা পৃথিবীতেই মেয়েরা মাছ। তাদের ঝাল, ঝোল,অম্বল, কালিয়া, কোপ্তা রেঁধে
খায় পুরুষতান্ত্রিক সমাজ। প্রয়োজনে রোস্ট বানাতেও দ্বিধা করে না।
বেলজিয়াম দেশীয় ও জার্মান দের তুলনায় ডাচেরা
মাসে গড়ে নয় দশ বার সেক্স করে। ইউরোপের অন্যান্যরা আরও হাঘরে। সমগ্র পৃথিবীতে
মানুষ যেখানে বছরে গড়ে একশো তিন বার যৌনতা করে বসে;সপ্তাহে দুইবার;সেখানে কেবল গ্রিসেই মানুষ প্রতি মাসে এগার দশমিক পাঁচ বার সেক্সে
প্রলুব্ধ হয়। এরপর রয়েছে সুইডেন,ফ্রান্স,ইতালি,স্পেন,সুইজারল্যান্ড। Gleeden একটা
ডেটিং সাইড বিবাহিতদের জন্য; যেখানে এক দশমিক পাঁচ মিলিয়ন
সদস্য যারা অ্যা-ফেয়ার চাইছে। প্যারিস শহরের অধিকাংশ মানুষ
অবিশ্বস্ত!ইতালীতে মানুষ বহুগামী হতেই বেশি পছন্দ করে বিপথগামী হলেও।
বেলজিয়াম,সুইজারল্যান্ড,স্পেনে
অর্ধেকের বেশি মানুষ তার পার্টনার এর সাথে প্রতারণা করে। এদের সিকি ভাগ আবার
ফাইনান্স,ব্যাংকিং,ইনস্যুরেন্স কোম্পানির চাকুরে। আর জনগণের প্রতারক
বিশ্বাসঘাতক হয়ে পড়ার সবচেয়ে বড় কারণটা হল a desire to test their powers of seduction.
পর্ব-৫
পরের দিন সকালেই আমার মা আমাকে ঠাকুমার কাছে
রেখে এলো। আমি বড় হচ্ছি। তার নতুন স্বামী সংসারের জন্য আমি নিরাপদ নই। আমার মনে হচ্ছিল
কদিন পরে আমার বোনের অবস্থাও আমার মত হবে। আমার ঠাকুরদা তখন মারা গিয়েছে। ঠাকুরমা শহরের এক
বাবুর গ্রামের খামার হাউস দেখভাল করত। সেখানেই ছিল তার বসবাস।
মা বলল;তার ছেলে মানে আমার বাবার
কন্ট্রিবিউশন মাত্র দুই ফোটা বীর্য। ছেলে মেয়েদের জন্য আর সে কিছুই করেনি।
ওই সিমেন টুকু দেওয়া ছাড়া আর কোনো দায়িত্বই
নেয়নি আমার বাবা। মার কাঁধে
আমাদের ফেলে রেখে অন্য মেয়েছেলের সাথে ভেগেছে।
ঠাকুরমা বলল; সে কি করবে। তারি কোন ক্রমে দিন
চলে। তার ছেলের জন্য তো
সে দায়ি নয়।
-তোমরা ভালোবেসে বিয়ে করেছিলে। ছেলে মেয়ে পয়দা করেছ
......তাদের মানুষ করার দায়িত্ব কি অন্য লোকে নেবে।
মা বলেছিল;
-আমাকে খেটে খেতে হয়। ছেলে মেয়েদের পেছনে
খুব একটা সময় দিতে পারছি না। এই সুযোগে মেয়েটা বকে যাচ্ছে।
ঠাকুরমার ছিল দয়ার শরীর আমাকে সে ফেলে দিতে
পারলো না। মা বলে-গেছিলো নিখরচে সে তার মেয়েকে সঁপে দিয়ে
যাচ্ছে না। আমার জন্য
একটা মাসহারা সে মাসে মাসে পাঠাবে মানি অর্ডার করে; কিন্তু কোনদিনই সে তা
পাঠায়-নি। আর ঠাকুরমা হাজার অনটনে হাজার সমস্যাতেও কখনো কারো
কাছে হাত পাতেনি।
আমাকে বুকে জড়িয়ে ধরতেই ঠাকুরমা দেখেছিল গা
গরম। রাতে গা আরও এতটাই
গরম হল যে যেন মনে হচ্ছিল পুড়ে ছাই হয়ে যাব। জলপট্টিতেও যখন কাজ হল না; ভুল বকছি
তখন টর্চ হাতে নিয়ে ঠাকুমা বৈদ্য ডাকতে গিয়েছিল। আর ঠিক তখনই সেই
আবছা ঘোরের মধ্যে মনে হয়েছিল স্বয়ং যীশু আমার কপালে যেন তার ঠাণ্ডা শীতল হাত খানা
রেখে মাথার কাছে দাঁড়িয়ে। সেই উজ্জ্বল ক্রান্তি ভুবন জোড়া হাসি মুখটা
আমি আজও ভুলতে পারিনি। নৈতিকতা কি? খায় না মাখে; সে
বোধ তখনো আমার হয়নি। আমি প্রার্থনা সঙ্গীত তখনো নির্ভুল নিখুঁত
গাইতে পারিনা। ভার্জিনিটি..... কুমারীত্ব হারিয়ে গিয়েছে!
পৃথিবীতে কিছুই বিশুদ্ধ নেই। স্বচ্ছতা কাকে বলে ? তাকি ঠুনকো
কাঁচের? কেউয়ই তা জানেনা। হয়তো কোনদিন জানবেও
না। খুঁজে মরবে জলে,তেলে,
বায়ুতে, প্রকৃতিতে। তবু তুমি দেখা দিয়ে
ছিলে আমাকে। যেন তুমিই স্বচ্ছতার প্রকাশ। যার মধ্য দিয়ে আলো চলাচল করতে পারে। তোমার মধ্য দিয়ে
তাকালে সমস্ত পৃথিবীটা দেখা যায়। টসে টসে পড়া চোখের জলে আমি দেখেছিলাম তোমাকে। তোমার নির্মেদ ঝড়ঝড়ে
চওড়া বুকটায় যেন জল প্রপাতের মত অনুরণিত হচ্ছিল কতগুলো শব্দ।
-“হে পরিশ্রান্ত ভারাক্রান্ত লোকসকল,
আমার নিকটে এসো, আমি তোমাদের শান্তি দেব। '
তারপরের দিন জ্বর কমে গেছে, গায়ের
ব্যথা ও কম। চোখ খুলে দেখি সোনালী চুল নীল চোখ যেনও একটা দেব-শিশু মেঘেদের অসাবধানতায় আকাশ
থেকে টুপ করে একটা রৌদ্রকরোজ্জল উজ্জ্বল সকাল নিয়ে ঠাকুরমার কুটিরে এসে পড়েছে। যেন রক্ত জমাট বাঁধা
ছেলেটার কালচে মেরুন ঠোঁটটায়! লাজুক হাসি হাসছিল সে। কতগুলো টিউলিপ ফুলের
গোছা আমার দিকে এগিয়ে দিয়ে বলেছিল।
-গুড মর্নিং।
পর্ব-৬
কিছুক্ষণ পরে জেনেছিলাম ছেলেটার নাম প্যট্রিক। প্যট্রিক আইরিশ ছেলে;আমার থেকে
কয়েক বছরের ছোট ও চুপচাপ। খুব কম কথা বলে। কিছু বললে সরল হাসি
হাসে। ঠাকুরমা কে সহযোগিতা
করতে ও নিযুক্ত আছে বেশ কিছুদিন। আসলে ও একটা ভবঘুরে রাখাল। খামখেয়ালী। কোথা থেকে এ গ্রামে
এসে জুটেছিল। ঠাকুরমা তার মনিব কে বলে এই খামারেরই একটা ঘরে
প্যট্রিকের থাকা খাওয়ার বন্দবস্ত করে দিয়েছে। প্যট্রিক থাকায়
ঠাকুরমার যে সুবিধা হয়েছিল তা হলও ভেড়াদের পেছনে তাকে আর ছুটতে হতো না। সেই তাদের মাঠে নিয়ে যেত;আবার ফিরিয়ে
আনতো। অর্থাৎ প্যট্রিক এর কাজটা ছিল একটা রাখালের। সে খুব লাজুক ও
মুখচোরা স্বভাবের। খাবার টেবিলে খেতে বসে মাথা নিচু করে খেতও। আমার সাথে যখন
গার্ডেনে বিকেলে হাঁটতে যেতো তখন একটা বড়ো হোগলা ঘাস ছিঁড়ে সেটার ওপর তার সমস্ত
মনোযোগ নিবিষ্ট করে আমার পেছনে পেছনে হাঁটত। আমার দিকে ঘুরেও তাকাত না। আর ওর এই আমার প্রতি
অবহেলা যে কি ভয়ংকর আমাকে ক্লেশ দিতো তা কেবল চোদ্দ বছরের যুবতী হৃদয় বুঝতে পারবে। একদিন জানতে পেরেছিলাম প্যট্রিক এর অদ্ভুত সব
নেশা আছে!
কি ভাবে জানলাম?
সেও এক মজার ঘটনা। মাঝে মাঝেই কাজের
ফাঁকে প্যট্রিক নিরুদ্দেশ হয়ে যেত। ঠাকুরমা বলেছিল ছেলেটা সৎ, সহজ সরল,
বিশ্বস্ত;চোখ বন্ধ করে ওর ওপর ভরসা রাখাযায়। ঠাকুরমার কাছে এই
নিরপরাধ বালকটির নির্ভরযোগ্যতায় সন্দিহান কিছু না থাকাই যে আমাকে ঈর্ষান্বিত
করেছিল এমনটা বোধয় নয়। আসলে আমার
ভেতরে ভেতরে রাগছিল প্যট্রিক এর ওপরে। রাগের কারণ অবশ্যই আমার প্রতি তার অনাগ্রহ
নিরাসক্তি। আর সেই রাগ থেকেই আমি প্যট্রিক এর পেছনে গোয়েন্দাগিরি
শুরু করলাম। সন্দেহজনক একটা কিছু আমাকে খুঁজে বার করতেই হবে যা
প্যট্রিক এর ভিজে বেড়াল ভালো মানুষের ভাব মূর্তিটা মোটেই আসল নয়;বলে ঠাকুরমার
কাছে প্রমাণ করে দিতে পারে।
কাজের অবসরে কোথায় নিরুদ্দেশ হয় সে?
একদিন দুপুরে প্যট্রিক নিরুদ্দেশ;আমি সেই
প্রথম প্যট্রিকের ঘরে গিয়েছিলাম। খানাতল্লাশির উদ্দেশ্য ছিলনা প্রাথমিক ভাবে
দেখতে গিয়েছিলাম প্যট্রিক কি করছে। ঘরের দরজাটা হাঁকরে খোলা;এখানে চোরের
ভয় নেই যদিও;পরে জেনেছিলাম দরজার শিকল ছিল না। শিকল ছিল না
প্যট্রিকের জীবনেও। তার জীবনটা হাটকরে খোলা বইয়ের মতো ইচ্ছে করলে সহজে
পড়া যায়। যখন দেখলাম ঘর ফাঁকা প্যট্রিক নেই তখন সুযোগের
সদ্ব্যবহার করলাম। তার ঘর না বলে গোডাউনের অংশ বিশেষ বললেই ভালো। বিশাল বাগানের এক
প্রান্তে ঠাকুরমার কুঠিটা থেকে বেশ কিছুটা দূরে ভাঙাচোরা আসবাবপত্রের গোডাউনের
ফাঁকা একটা ঘরে প্যট্রিক এর বাস। এই সব ভাঙা মালের ভেতর থেকেই প্যট্রিক যে
হাতুড়ি পেরেক ঢুকে তার খাট ;বিছানা পত্র ও ঘরের একটা টেবিল চেয়ার ঠিক ঠাক
ব্যবহার যোগ্য করে নিয়েছে তা বেশ বোঝা যাচ্ছে। প্যট্রিক এর খাটের
তলায় দুটো খাঁচা রাখা। একটা খাঁচায় গিজ গিজ করছে সাদা ইঁদুর আর একটা খাঁচায়
রাখা আছে কত গুলো খরগোস। বেশ মজার প্যট্রিক। টেবিলের উপর রাখা কত
গুলো ডায়েরি;বই। সায়েন্স ফিকশন, ফেয়ারিটেল। ডায়রির পাতায় পাতায় বিভিন্ন গাছের পাতা সাঁটা
তলায় তাদের নাম লেখা। কত বিভিন্ন প্রজাতির পাতা যে সে সংগ্রহ করেছে তার ঠিক
নেই। ছেলেটা পাগল কিছু
একটা গবেষণা করছে বুঝলাম । তার টেবিলের শক্ত হয়ে আটকে থাকা ড্রয়ার টা এক
হেঁচকায় টেনে খুলতে গিয়েই। একটা আতস কাঁচ,সুঁই সহ ইনজেকশনের সিরিঞ্জ,কতগুলো হোমিওপ্যাথিক ঔষুধের ফাঁকা শিশি, অনেক গুলো
দেশলাই বাক্স পড়ে গেল মাটিতে। হোমিওপ্যাথিক ঔষধের কয়েকটি শিশি ভেঙ্গে চুরমার। ঠিক সেই সময়
প্যট্রিক এসে দাঁড়ালো দরজায়। আমার লজ্জায় মাথা কাটা যাচ্ছে। কি ভাবল প্যট্রিক!
হাতের আড়বাঁশি বিছানার ওপর ছুঁড়ে রেখে। কোট আর হ্যাট টা
দেয়ালের হ্যাঙ্গারে ঝুলিয়ে। ভাঙা
হোমিওপ্যাথির বোতলের কাঁচের টুকরোগুলো আমার পাশে বসে আমার সাথে কুড়তে লাগলো সে।
আমি বলেছিলাম;- সরি।
প্যট্রিক বলেছিল;-ইট'স ওকে!
আমি বুঝতে পারছিলাম;না মোটেই
কাজটা ঠিক হয়নি। প্যট্রিক বোধ হয় বুঝে গিয়েছিল আমি কৌতূহলী হয়েই ওর
ঘরে এসেছি। সে নিজেই একটা দেশলাই এর বাক্স খুলে দেখালো আমার
কৌতূহল নিরসনের উদ্দেশ্যে। দেশলাইয়ের বাক্সের ভিতর রং বেরঙের পোকা। বিধাতার সৃষ্ট সেই
অপরূপ কীট গুলকে দেশলাইয়ের বাক্স নয় যেন হৃদয়ে বন্দী করে রেখেছে প্যট্রিক।
আমি অস্ফুট স্বরে বলেছিলাম;-অপূর্ব!
প্যট্রিক বলেছিল;- দাঁড়াও
তোমার জন্য গিফট আছে।
বিছানার বালিশের তলা দিয়ে একটা পিচবোর্ড
বাক্স বার করে চেয়ার টা টেনে বসলো টেবিলের কাছে। বইয়ের ফাঁকা থেকে
চকচকে রাংতার কাগজ বের করে ভালো করে মুড়ে ফেলল বাক্সটা। আমি ড্রয়ার টা
গুছিয়ে জায়গায় প্রতিস্থাপন করে;কাঁচের টুকরোগুলো কোথায় ফেলব যখন
ভাবছি;হাতের সেলু টেপ মারা শেষ করে গিফট টা আমার হাতে
দিয়েছিল প্যট্রিক!আর কাঁচের টুকরোগুলো আমার হাত থেকে নিয়ে ফেলেছিল জানালার পাশের
একটা বাস্কেটে। আমি গিফটের বাক্সর মোড়ক উন্মোচন করতে যেতেই প্যট্রিক
বলেছিল;এখানে নয় ঘরে গিয়ে খুলো। তার মতো এতো সুন্দর গিফট আজ পর্যন্ত কেউ আমাকে
দেয়নি। নিজের ঘরে এসে দরজা জানালা বন্ধ করে যখন প্রচণ্ড
কৌতূহলে সেই বাক্স খুললাম বাক্সের ভেতর থেকে বের হতে লাগলো রংবেরংয়ের প্রজাপতি। কতগুলো তার আমার
মাথায় বুকে বসতেও ভুল করলো না। ঠিক
সেই ভাবে প্যট্রিক কখন যে খেলায় খেলায় আমার হৃদয় জুড়ে বসে পড়েছিল বুঝতেই পারিনি। ওর পিচবোর্ডের
বাক্সে কচি সবুজ পাতা আর শুঁয়োপোকা রেখে প্রজাপতি চাষের মত মনের সমস্ত কুৎসিত
কাঁটা বিশিষ্ট শুঁয়োপোকার মত কদর্যতাকে সে প্রজাপতির ঝলমলে ডানায় যেন ম্যাজিক করে
বদলে দিতে পারতো।
পর্ব-৭
প্যট্রিকের সাথে আমার বেজায় ভাবহলো তবে আমিই
বেশি কথা বলি ও চুপচাপ থাকে বেশি। একদিন প্রচণ্ড বৃষ্টিতে একটা রাস্তার কুকুরের
বাচ্চাকে ভিজে চান করে যেতে দেখে আমার খুব মায়া হয়েছিল। কোলে তুলে নিয়ে
ছিলাম। প্যট্রিকের
বাসায় কুকুর টাকে নিয়ে গিয়ে উঠেছিলাম। নিজেরা তখনো ভিজে ব্যস্ত হয়ে পরেছিলাম কুকুর
টাকে তোয়ালে দিয়ে গা মুছে দিতে। প্যট্রিক বলেছিল;- এ রকমই এক
ঝড় জলের সন্ধ্যায়;তোমার ঠাকুর মা আমাকে আশ্রয় দিয়েছিল।
প্যট্রিকের সেই করুণ মুখ খানা দেখে আমার খুব
কষ্ট হয়েছিল। কুকুর মোছা হাতের তোয়ালে টা দিয়ে আমি প্যট্রিকের এক
মাথা ভিজে কুঁচকানো চুলগুলো মুছে দিতে দিতে ওকে চুমু খেয়ে আদর করে ছিলাম আমি। আর আদর খেতে খেতে
প্যট্রিক একটু বেশি সাহসী হয়ে উঠতেই। ঠাস
করে ওকে একটা থাপ্পড় মেরে ছিলাম। পুরুষ মাত্রই শরীর ছাড়া আর কিছুই বোঝে না। মুখ অবনত করে
প্যট্রিক দাঁড়িয়ে ছিল প্যট্রিকের ঘর থেকে ভিজে পোশাকেই আমি বেরিয়ে পরেছিলাম।
প্যট্রিকের ওপর বেশিক্ষণ রাগ করে থাকা অসম্ভব। পরের দিন গিয়ে দেখি
প্যট্রিক কুকুর টার জন্য সুন্দর ছোট্ট একটা ঘর বানিয়েছে; ঠিক ওর ঘরের
সামনে। আমরা দুজনে মিলে কুকুরটার একটা নাম ঠিক করতে বসি। হাজার নাম ঘেঁটে যে
নামটায় দুজনে সহমত হলাম তা হল "এডি"। কয়েক দিনের মধ্যেই
এডি আমাদের ন্যাওটা হয়ে উঠেছিল। আমাদের পেছনে ছুটত এডি আর ওকে নিয়ে কাটতো
আমাদের দিন খেলাধুলায় নদীতে সাঁতারে। তারপর এসে উপস্থিত হয়েছিল সেই দিনটা।
সেও একটা কুকুর। বড় জাতের কুকুর। মিস্টার ব্রাম
স্টোকার!আমাদের খামার হাউসের মালিক। সামার ভ্যাকেশন কাটাতে উপস্থিত হয়েছিল শহর
থেকে। সেই মোটা ধুমসো
বাপের বয়সী লোকটা একদিন দুপুরে গোয়াল ঘর পরিষ্কার করার সময় যখন আমাকে পেছন থেকে
আচমকা জাপটিয়ে ধরেছিল। আমি কিছু বোঝার আগেই খড়ের গাদার উপর তার বড় শরীর টা
দিয়ে যখন আমায় চেপে ধরেছিল। হিপোপটেমাসের মত চাইছিল গিলে খেতে। আমার প্রচণ্ড
চিৎকারে প্যট্রিক ছুটে এসেছিল আর ওই শিকারি হায়না টার হাত থেকে বাঁচাতে গোবর তোলার
বেলচা দিয়ে সজোরে লোকটার মাথার পেছনে কয়েক ঘা আঘাত করতেই মাথা ফেটে বেড়িয়ে এসেছিল
রক্ত। লোকটা গুংয়াতে গুংয়াতে মুখ থুপরে উপুড় হয়ে পড়েছিল
আমার বুকের ওপর। আর আমি শরীরের সবটুকু শক্তি দিয়ে পাথরের মত ভারী লোক
টাকে এক ধাক্কায় সরিয়ে দিতেই লোকটা চিত হয়ে পড়ে নিস্তেজ হয়ে পড়লো। প্যট্রিক ফেলফেল করে
দেখছিল। আমার ভয় হচ্ছিল লোকটা মরে গেল নাকি। নিরীহ প্যট্রিক আমার
জন্য ফেঁসে যাবে তা আমি কিছুতেই মেনে নিতে পারছিলাম না।
-পালাও.... পালাও...
আচমকা প্যট্রিককে আমি পালাতে বললাম। গোবেচারা প্যট্রিক
প্রাণের দায়ে পালাল। লোকটা মরে যায়নি। কিন্তু প্যট্রিক আর
ফেরেনি। কি অপরাধে জানিনা খামার দেখভালের চাকরিটা গেলো
ঠাকুরমার। আমরা শহরে
এসে উঠলাম।
মানুষ মনে করে যে বেশ্যা মানব পাচারের
লক্ষ্যহীন শিকার। আমার ক্ষেত্রে এই রূপক সম্পূর্ণ অনুপযুক্ত। when I started to work as a prostitute I noticed
the feeling of freedom that this job offers. I can’t think of another job which
offers the same amount of freedom.To work at the Red Light District is all
about entertainment and is the most fun when you’re around an age of eighteen. না, সবসময় না। কিছু ক্লায়েন্ট
ডিনারের জন্য বাইরে হোটেলে যেতে পছন্দ করে!কেউবা খোলামেলা বীচে। There are so many clients
with different desires.নেশারু বিস্পরক লোক গুলো গান গাইতে গাইতে
সিটি বাজাতে বাজাতে রাস্তায় ঘোরা ফেরা করে। বেশ্যার ঘরে যাবার
আগে লোক খুব ঘোরা ফেরা করে এখানে। কারণ বিশাল অঞ্চল টা খুব সুন্দর আর প্রত্যেকে
চায় আমাদের বেছে নিতে। দেশ বিদেশ থেকে বেশিরভাগ টুরিস্ট আসে কেবল আমস্টারডাম
এই রেড-লাইট ডিসট্রিক্ট টা ঘুরে দেখতে। জানালায় দাঁড়িয়ে থাকি আমরা। প্রতি জানালায় দুই
শিফটস এ দুইবার করে মেয়ে বদলায়। এক সপ্তাহ সাতদিনের ভাড়া ছয়শ পঞ্চাশ ইউরো
প্রতিদিন বারো ঘণ্টা করে। আমি পার্টটাইম কাজ করি কারণ এত ভাড়া দেবার ক্ষমতা
আমার নেই। এক থেকে দুই দিন ভাড়া নিই। বাকি সপ্তাহ আমার
স্বাধীনতা থাকে আমি যা খুশি করতে পারি। I really loved the freedom this offered.
শহরে এসে একটি পাউরুটির কারখানায় কাজে লেগে
ছিলাম আমি ও ঠাকুমা। যেখানেই যাই না কেন কাজের বাইরে মুফৎ শরীর চায়। শরীরই যখন বেচবো তখন
আর গতরে খাটবো কেনও। পূর্বানুমান মত ভাই বোন মাথার উপর এসে জুটেছিল আর সেই
সময় প্রণয়ী হয়ে ওঠা রুটি কোম্পানির এক কারিগর আমাকে এনে তুলেছিল এখানে;খাটনি কম
পয়সা বেশি। শুরু শুরুতে সে আমার pimp বা দালাল হিসেবে কাজ করতো। এখানে অনেক মেয়েরই
বয়-ফ্রেন্ড এমন দালালি করে। সাথে সাথে তাদের নিরাপত্তা ও সুযোগ সুবিধার
দিকেও খেয়াল রাখে। তবে আমার pimp এর দরকার পড়েনি বেশিদিন। আমাকে নির্যাতন করে
আমাকে পতিতাবৃত্তিতে নিয়োজিত করে আমার ইউরো নেবে!হটিয়ে দিই লোকটাকে!স্বাধীনতার
ইচ্ছে পেয়ে বসে আমাতে। I think that prostitution
should be a legal option for women. When women are having a difficult time
because of a divorce for example, in most cases they have to take care of their
children by themselves. They should have the right to decide to work as a
prostitute while keeping their independence. In this way women can earn their
own living.সে স্বামীর ঘর করো, কি অফিসে বসের
চাকরি, কারখানায় ঠিকাদারের আন্ডারে মজুরি খাটো,যেখানে সমাজ তাকে যৌনতার বিনিময় ছাড়া কোনও সুযোগ সুবিধা দেবে না; তবে মেয়েরাই বা কেনও যৌবনকে পুঁজি করবে না।
পর্ব-৮
কেউ জার্মানির,কেউ বেলজিয়ামের আবার কেউবা
অ্যামেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের হলেও আমার বেশির ভাগ ক্লায়েন্ট নেদারল্যান্ডসের। আমস্টারডামের এই রেড লাইট ডিসট্রিক্টের জানালায়
দাঁড়িয়ে গলির মোড়ে ভগবান আমি রোজ অপেক্ষা করি তোমার জন্য। খদ্দেররা ভিড় করে
আসে পনের মিনিটে ত্রিশ ইউরো oral and intercourse both with a condom। যদি কেউ বেশিক্ষণ
থাকতে চায়, অথবা অতিরিক্ত কিছু করতে চায়, তবে তাকে সাধারণত
অতিরিক্ত খরচ করতে হবে। Most prostitutes refuse to kiss -আমি
করি কেবল যাকে মনে ধরে। ইউরোর
তোড়ায় শুরু করে খেলা আমাকে নিয়ে। আমি
যেন মাঠ,বুকে একটা নয় দু দুটো বল; ডগলাস নামের একটা লুচ্চা
লাফাঙ্গা বলেছিল;আমার এক একটি বুব নাকি এক একটি রাগবি বলের
মতো। Boob
is a word for a woman's breast — it's also a word for an idiot. So if you're
staring at a lady's boobs, you probably look like a boob.ডগলাস
তার ঘোড়ার মত দীর্ঘ ডিক খানা দেখিয়ে বলতো; বেসবলের ব্যাট। অতি ব্যবহারে পচা
কুমড়োর মত আমার উল্কা পাড়া শুকনো গহ্বরে থুতু দিয়ে পিচ্ছিল বানিয়ে সে যখন তার
লাঠি খানা ঠেসে ধরত এই ভেবে যে আমি কাতরে উঠবো সওয়ারির দম্ভের কাছে। বিন্দুমাত্র সন্তুষ্ট করতে পারতাম না আমি। আমার গহ্বরের দেওয়ালগুলোর চিমটি কেটে ধরতে না
পারার অক্ষমতা বলেদিত ওর মজবুত পুরুষাঙ্গ টাও আমার কাছে বড় ক্ষুদ্র সামান্য একটা
দাঁত খোচানি । লোকটা বিরক্ত হয়ে কুকুরের মত পেছন থেকে ধরলে আমি হেসে
বলতাম;-gay
man!
লোকটা কোনো তাচ্ছিল্য গায়ে মাখতো না। গোল হয়ে গেলে গোলকিপারের মত নেতিয়ে পড়তো
গ্রাউন্ডে।
লোকটা আর আসে না। এখন সে আলাস্কার নিত্য খদ্দের। কেন আসবে। গল্ফের মাঠ পেলে কেউ কি বাস্কেট বলের নেটে বল
জড়াতে আসে। প্রায় এক হাজার মেয়েছেলে প্রতি দিন আমস্টারডামে কাজ
করে,এবং তাদের মধ্যে মাত্র কয়েকশো জন জানালায় দাঁড়াতে সমর্থ হয় এই রেড লাইট
ডিসট্রিক্টে। The
others work in clubs, brothels, for escort services or from home.সম্পূর্ণভাবে,
শহরের প্রায় চারশো টি জানালা রয়েছে, যার
মধ্যে বড় বড়গুলি রেড লাইট জেলার ওয়ালেন এ অবস্থিত!অন্যান্য উদ্যোক্তাদের মত
আমাদের ও ট্যাক্স দিতে হয়। I’m also registered at the Chamber of Commerce.
পর্ব-৯
একমাত্র চোদনে কেউ ক্লান্ত হয় না এই পৃথিবীতে। রোজ নতুন নতুন পদ্ধতি খোঁজে। নতুন নতুন পোজ। কোনও এক ঘেয়েমি নেই। কৃত্রিম যোনি, ফ্ল্যাশলাইট,প্রস্টেট ম্যাসাজর ,রোবট,টেংগা,ভেনাস ২০০০ নতুন নতুন উপকরণ—হ্যাঁ উপকরণ খেলনা। এর বেশি আমরা কি!
কুকুর কুকুরের মতো….
ঘোড়া ঘোড়ার মতো……শিম্পাঞ্জী শিম্পাঞ্জির মতো। হোমোসেফিয়ানের বংশ
ধরেরা একমাত্র প্রতিটি বন্য পশুর মতো চুদতে জানে। কীটপতঙ্গও মানুষের কাছে হার মানে। বিষাক্ত সাপের কত সঙ্গম দেখেছি আমার এই ছোট্ট
কেবিনে তার হিসাব নেই। মেয়ে
মাকড়সার মত এক এক সময় আমার মনে হয় এক একটা খদ্দের কে আমার কেবিনে এনে উপভোগ
করার পর খেয়ে ফেলি। পরক্ষণেই ভাবি আমিতো শরীর উপভোগ করিনা উপভোগ করি ইউরো। খদ্দের খেয়ে ফেললে
উপার্জন হবে কি করে। ‘ফাকড আপ’ব্লাডি হেল এই জীবন। অলক্ষ্যে বসে সান
অব-আ বিচ; ভগবান তুমি কি উপভোগ করছ!আমার প্রচণ্ড কান্নাপায় আজকাল। কিন্তু এক ফোঁটাও
চোখের জল পড়ে না। শরীর বিরক্ত হয়, মন বলে ঘাটের মরাগুলো কতক্ষণে বিদায়
হবে। mother
fucker snakes in the mother fucker plain!
তবুও আর্যনঃ লেইব নামের ইহুদি হাঁটুর বয়সী
ছেলেটা আমার মাইয়ের বৃন্তে চিমটি কাটলে বলতে হয়—silly; Naughty boy!লেইব আরও
উৎফুল্ল হয়ে শিশুর মতো আমার নিপল খানা চুষতে থাকে। আর কয়েক মিনিটের মধ্যেই বীরত্ব ঘোঁচে। ছোকরাদের লম্প ঝম্প
সার। আর বুড়ো গুলর
দাঁড়াতেই চায়না ঘাপটি মেরে নেতিয়ে পড়ে থাকে। সিমেন আউট হবার পর লোকগুলো মুখ থেকে আঃ ...
বলে যে পরিতৃপ্তির আওয়াজ বের করে মনে হয়,বাইবেলের এক ছত্র পাঠ হবার পর বলছে
আমেন !
-ও-ইতো জেসাসের মত নীল চোখের এক
উজ্জ্বল যুবক ভিড় ডিঙ্গিয়ে এগিয়ে আসছে এদিকে। এই হিরো যাবে?
ছেলেটা আমার প্যান্টিতে দুই ফোটা রক্তের দাগ
দেখে স্থগিত দিল। টয়লেটের দরজা বন্ধের মত প্যান্টের চেন টানে; উন্মুক্ত
জানালায় পর্দা টানার মত পটপট করে বুকের এক একটা বোতাম এটে চলেছে।
কড়কড়ে ইউরো গুলো কি রিটার্ন চাইবে? ও মাই গড!। মাসিকে জানালার ভাড়া দিতে হবে। কিছু খাবার ওতো কিনতে হবে। ফ্রিজে যা ছিল সব শেষ!
-ইউরো ফিরত দিতে পারবো না।
-দরকার নেই!
-কিন্তু কাজ না করে পারিশ্রমিক নিই
কিভাবে। আমি ওরাল সুখ
দেব।
-না থাক!
-তবে?
-তুমি গান জানো?
-হ্যাঁ! কিন্তু তাতে কি! তুমি তো গান
শুনতে আসনি।
ছেলেটার মুখে দেবদূতের মত এক উজ্জ্বল হাসি
ফুটে উঠল।
-সুখ একতরফা নয়। দাতা গ্রহীতা দুজনেই সুখ পেলে তবেই সুখ। নাও গাও।
আমি সেদিনের সেই ভুল প্রার্থনা গানটা; আজ আমি
নির্ভুলভাবে গাইছি। আমার
সামনে নীল চোখের জেসাস বসে আছে। ঠ্যাঙের ওপর ঠ্যাঙ তুলে। হাঁটুটা শক্ত করে ধরে দুই হাতে। হ্যাঁ!---ওই----ওই
তো ভগবান!চোখ ভিজে উঠছে। পতিতার
শুকিয়ে যাওয়া চোখের জল পতিত হচ্ছে। তবে
এই চোখে নির্ভুল ঈশ্বরকে দেখছি—চার্চে নয়—গড আমার কেবিনে
প্রেমিকের মত গান শুনছে!
গান শেষ হতেই বুক পকেট থেকে বের করে একটা
দেশলাইয়ের বাক্স দেয় ছেলেটা। আর বাক্স টা খুলতেই তার থেকে ডানা ঝাপটাতে
ঝাপটাতে একটা প্রজাপতি কেবিন ময় উড়ে বেড়াতে লাগলো। মুহূর্তের মধ্যে ছেলেটার নীল চোখের দিকে চেয়ে
আমি গভীর দৃষ্টিতে। আমার থেকে কয়েক বছরের ছোট ও চুপচাপ সেদিনের সেই আইরিশ
ছেলে প্যাট্রিক নাকি এ! নাম জিজ্ঞেস করা কি খুব জরুরি। মানুষের নামে ভগবান
তুমি এসে দাঁড়াও বার বার জীবনে। নামে কি এসে যায়।
(উৎসর্গ বন্ধু এলমিরা ট্রিপ্লেট ও
গাব্রিয়েলা কাশ্মিসকা কে)
অলভ্য ঘোষ
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন