দেউলিয়াপনা
অমলেন্দু চন্দ
আপনি কি মার্ক্সসিস্ট হিসেবে
অ্যাকোমোডেটিভ হয়ে থাকতে চান! অথেন্টিক মার্ক্সসিজম এর বৈপ্লবিক চেতনাবাদীতা র
সঙ্গে বরাবরের একটা আনব্রিচেবল দুরত্ত্ব থেকে গেছে এ দেশীয় বিপ্লববাদের। শ্রেনীকে নিজবাচক নিছক একটা
অর্থনৈতিক ক্যাটেগরি করে নেওয়া সেই
শ্রেনীর ক্ষমতার আর সীমাবদ্ধতার এক্সপ্লয়টেসন, এটা
সম্পুর্ণ ভুলে গিয়ে যে মার্ক্সের চিন্তা ভাবনায় শ্রেনী একটা রাজনৈতিক আর দার্শনিক
ভাবধারার অঙ্গ আর অংশ, তারপর
সেটাকে একটা অদ্ভুত রাজনৈতিক মনস্কতার বাদামী (সাদা বা কালো নয়) স্পেস দিয়ে
ডিসকোর্সের আলো আঁধারীতে অবস্থান বজায় রাখার অ্যাকোমোডেসন।
পুঁজিবাদের বাস্তব ইতিহাস আর গতিপ্রকৃতির মধ্যে যেতে না
পারার অক্ষমতা (কারন পুঁজিবাদ সে অর্থে আমাদের দেশখণ্ড কালখণ্ড তে আজকের
সময়ের আগে ডেভলপ করা শুরু করে নি) ঢাকবার চেষ্টায় একটা সর্বরোগহর ভঙ্গীতে অন্য সব কিছুর তুলনায় নিজেদের অবস্থা এবং অবস্থান
উন্নততর এবং চিরন্তন প্রমাণ করার বিভ্রান্তি এর আরেকটা রুপ। এ রোগে এঁরা আজও ভুগে
চলেছেন,
আর সবচাইতে ক্ষতি সম্ভবত সেইখানে হচ্ছে যেখানে নিবেদিত
বিশ্বাস বহু মানুষ এই রোগে ভুগছেন। এঁরা বুঝতেই চান না যে মার্ক্সবাদ নিজেকে বা
কোনও কিছুকেই চিরন্তন স্থির বিষয় হিসেবে দেখে নি যার প্রমাণ এঙ্গেলস তার “ইউটোপিয়ান ভার্সাস সাইন্টিফিক কমিউনিজম” বহুভাবে
রেখে গেছেন। “The
problem is with what kind of Socialism that these workers of the world
should unite! This is much like an
ideology an entity with several intricate and fractured interpretation of its
tenets. Two such interpretations are utopian socialism and scientific
socialism”. আর ইউটোপিয়ান সোস্যালিজম মার্ক্স এঙ্গেলস এর থেকেও পুরনো।
ফ্রেঞ্চ রেভলিউশনের চিন্তা ভাবনার কথা উপলব্ধির কথা অক্টোবর বিপ্লবের চতুর্থ বর্ষপূর্তি উপলক্ষে
(১৯২২ সালের অক্টোবরে) দেওয়া লেনিনের
ভাষণে বহুভাবে উঠে এসেছে। তিনি বলেন অক্টোবর বিপ্লবের প্রস্তুতিপর্বে তারা ১৮৭১ এর প্যারি কমিউনের বহু ভুল ভ্রান্তির থেকে
শিক্ষা নিয়ে এগিয়েছেন তবু অক্টোবর ১৯১৭ র
থেকে জানুয়ারি ১৯১৮ র মধ্যে অক্টোবর বিপ্লবের লক্ষ্য থেকে বুর্জোয়া গণতন্ত্রী
উদারনীতিক ক্যাডেত রা আর পেটি বুর্জোয়া
গণতন্ত্রী মেনশেভিক সোস্যালিস্ট রেভলিউশন্যারি রা ক্ষতিকর ভাবে সরে যান যার
কারেক্সন বহুদিন ধরে করতে হয়েছে।
অক্টোবর বিপ্লব তো শুধু জারের ক্ষমতার (নিকোলাস II) অ্যাবডিকেসন
দিয়ে পরিপূর্ণ হয় নি। জার ক্ষমতা ছাড়েন এপ্রিল ২০১৭। লেনিন ২০১৭ জুলাই তে আণ্ডারগ্রাউন্ডে যেতে
বাধ্য হন। সেটা কেরেন্সকির রাজত্বকাল। ১৮৯৫ এর একতা (কুড়িটিরও বেশী মারক্সীয়
চক্রের এক জায়েগায় এসে রাশিয়ান মারক্সিস্ত পার্টির জন্ম হওয়া) ১৯০৩ এই ভাঙনের মুখ
দেখাল –
বলশেভিক আর মেনশেভিক হিসেবে আর এক কংগ্রেসে বেলজিয়ামে। পাতি
নয় পাতি কে ব্যবহার করে পূর্ণ বুর্জোয়া শক্তি তার কাজ করে চলেছের প্রমাণ এসব।
এভাবেই তো ভাঙনের শুরু হয়। ভাঙনের পূর্ণতার দিকে আর এক ধাপ এগিয়ে দেওয়ার কাজ হল
১৯০৫ এ –
নিকোলাস ঘোষণা করল
সিভিল লিবার্টির আর ইলেক্টেড ড্যুমা কে ক্ষমতা দেওয়া। এই শুরু পরিস্কার টানা
পোড়েনের –
কোথায় ক্ষমতার কতোটা বিলি ব্যবস্থা হবে। ১৯১২ তে
পাকাপাকিভাবে বলশেভিক আর মেনশেভিক রা পার্টি হিসেবে আলাদা হয়ে গেল। একটু ভেবে
দেখুন ---------------
এদিকে এ দেশী বামপন্থা জেন্যারালি একটা অদ্ভুত স্ট্র্যাটেজি নিয়েছিল - সেটা হল সেই
শরৎচন্দ্রের ভাল জমিদার আর খারাপ জমিদারের
মধ্যে একধরনের পার্থক্যসুচক ইন্ডেক্স তৈরি করে যাদের কে তাদের মনে হয়েছে
"প্রোগ্রেসিভ বুর্জোয়া" তাদের সঙ্গে আঁতাত। কুড়িয়ে নেওয়া অভিজ্ঞতার
সুত্রে এঁরা বোধহয় বুঝে ফেলেছিলেন যে মার্ক্সবাদ কোনও অখণ্ড প্রত্যয় নয় বিশেষ করে বৈপ্লবিক গণতন্ত্রের রুপরেখা কি
হবে তাই নিয়ে সেই ষাঠের দশকে এত কণ্ঠস্বর এত কথা এসে পড়েছে {একদিকে রাশিয়া অন্যদিকে চীনের সাহচর্যের স্বীকৃতি যেটা সি পি আই আর সি প আই
(এম) এর ভাঙনের মুলে কাজ করেছে} যে সি পি আই এম নিজেদের দলীয়
কন্সটিটিউসন বদল করার বিরাট চাপ অনুভব
করেছিলেন। নাকি ক্ষমতার অলিন্দে এসে দাঁড়াবার জন্য সেটার দরকার ছিল। আমার মতে ওটা
সেই রাজনৈতিক মনস্কতার বাদামী স্পেসের আলো আঁধারীর অ্যাকোমোডেসন ।
এ ব্যপারে একটা বিশাল ফ্যলাসির সুত্র
হল আজ থেকে অনেক পিছিয়ে থাকা ষাঠের দশকের একটা
দেশ এই মুহুর্তে বিশ্বের প্রথম
পুঁজিবাদী অর্থনীতি কে চ্যালেঞ্জ করছে রাজনৈতিক অর্থনৈতিক এবং এক নম্বর অর্থনীতি
হয়ে ওঠার দিকে আগুয়ান একটা ক্ষমতা হিসেবে
সেই অস্তিত্ব টার প্রতি এদের আনুগত্যের অদ্ভুত চরিত্র। তাই ভাগের বা ভাঙনের
একটা পর্যায়ে এদেরই একটা খণ্ডাংশ বলে চিনের চেয়ারম্যান আমাদের চেয়ারম্যান।
পাশাপাশি আজও এঁরা একটা অখণ্ড অসম্ভব সম্ভাবনার সর্বহারাত্ব ঘোচানোর কথা বলায়
স্বস্তি বোধ করেন এটা নির্বিবাদে ভুলে গিয়ে যে এ সংক্রান্ত সেন্টিমেন্টাল
ইমোসন্যালিজম আর ‘ফিল করছি’ এই ভঙ্গীর অহংকার একই সাথে সেন্টিমেন্ট আর অহংকার দুটোকেই
চুড়ান্তভাবে ধর্মচ্যুত করে। এবং মানুষ মূর্খ নয়।
ইতিহাস বলে ১৯১৭ বিপ্লবের অনেক আগে অন্তত তিন দশক আগের থেকে ভীষণ সচেষ্ট
কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে শেষতক ১৮৯৫ এর সেন্ট পিটার্সবুর্গ সম্মেলনে অন্তত কুড়িটির
বেশী বিপ্লবের তত্ত্বে বিশ্বাসী আস্থাশীল এবং কাজ করে চলেছে এমন মার্ক্সবাদী চক্র
গুলো কে একটা দল হিসেবে লেনিন গড়ে তোলেন আর তার নাম দেন লিগ অফ স্ট্রাগল ফর দ্য
এমান্সিপেশন অফ দ্য ওয়ার্কিং ক্লাস। ইতিহাস বলছে যেদিন তারা এই সিদ্ধান্ত নেন তার
এক সপ্তাহের মধ্যে ট্জার সরকার লেনিন কে গ্রেফতার করে। ১৮৯৭ এ লেনিন কে সাইবেরিয়া
তে তিন বছরের জন্য এক্সাইল এ পাঠিয়ে দেয় আর সেই সাইবেরিয়ার মিনক্স এ বসেই রাশিয়ার
প্রথম রাশিয়ান মারক্সিস্ট পার্টির জন্ম হয় ১৮৯৮ তে। সে বছরই পার্টির উদ্যোগে
লেনিনের বিবাহ হয় সেই মিনক্সেই, একটা বিরাট উদাহরণ অফ দ্য
ডিজায়ার টু জেল দ্য ডিজায়ার টু গিভ – এই ডিজায়ার টাও রাশিয়া
তে ধর্মচ্যুত হয়েছিল কিন্তু আবার সরাসরি লড়াইয়ের সুত্রে ঘুরে দাঁড়িয়েছিল।
এ দেশে সিপিএমের জন্ম হয় সি পি আই
ভেঙে। যে সি পি আই অনেক তিল তিল করে গড়ে উঠছিল বিশের দশক
থেকে। এ প্রসঙ্গে মানবেন্দ্রনাথের কয়েকজন সহচর নলিনী গুপ্তা, সিঙ্গারাভেলু
চেট্টিয়ার, সৌকত উসমানী দের নাম উল্লেখযোগ্য। ১৯২৫ এ সি আর দাস মারা গেলেন
কংগ্রেসের মধ্যে থেকে উঠে আসা স্বরাজ্য পার্টিও নিভু নিভু সে অবস্থায় ১৯২৫ এর
ডিসেম্বরে কানপুরে গড়ে উঠল কমিউনিস্ট পার্টি অফ ঈন্ডিয়া। ষাঠের দশকে এসেই সেই
পার্টির মধ্যে ভাঙনের সুত্রপাত, বীজ আগের থেকেই পোতা হয়ে গেছিল। ততদিনে
মানবেন্দ্রনাথ গত, অবশ্য ১৯৩১ থেকে ছত্রিশের মধ্যে দেশে ফিরে আসার পরেই জেলে বসে
অনেক পড়াশুনো আর লেখালেখির সুত্রে মানবেন্দ্রনাথ সরে এসেছেন তার নিজস্ব হিউমায়নিসম
এর তত্ত্বে, মারক্সীয় তত্ত্বের অনেক কিছুই তখন তিনি খণ্ডন করতে আরম্ভ করে ফেলেছেন। ১৯৬৪ তে সি পি আই থেকে সি পি এম আলাদা হয়ে গেল, আর তার পরের অনেক ভাঙনের কথা আমরা জানি। সবই তো ওয়ার্কিং ক্লাসের মুক্তির
সংগ্রামের চালচিত্র – শুধু ভাঙন আর ভাঙন। ঘুরে ফিরে সেই রাজনৈতিক
মনস্কতার বাদামী স্পেসের আলো আঁধারী র বাস্তব। মুক্তি এনে দেওয়ার অধিকারের স্বরুপ
কি এই। ১৯৫৪ তে দেহরাদুনে গত হন কমিউনিস্ত পার্টি অফ ইণ্ডিয়ার
জনক। এর বেশ কিছুদিন আগের থেকেই তার হিউম্যানিজম এর সুত্রে তিনি পলিটিক্যাল পার্ট
র সমালোচনা শুরু করে দেন। তত্ত্বগত দিক থেকেই। তিনি বলেন “ In so far as democracy is not government of the people
by the people, it is not democracy. With the rise of the Party System the idea
of popular sovereignty became a Constitutional fiction. And with the rise of
party system politics became a scramble for power.” কি মনে হয়?
কতোটা রেলিভ্যান্ট? আজকের দিনে?
আমরা দেখতে পাই পোস্ট ইন্ডিপেন্ডেন্স
সেই সি পি আই ই পূর্ণ
রাজনৈতিক সমর্থন জুগিয়েছিল বুর্জোয়া ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস কে। তার মুলে অবশ্য
রাশিয়ার প্রতি সি পি আই এর নৈতিক আনুগত্যের ব্যপারটা কাজ করেছিল।
এদিকে ইণ্ডিয়ান রেভলিউসন্যারি কমিটির অন্যতম সদস্য স্বামী বিবেকানন্দের ভাই
ভুপেন্দ্রনাথ দত্ত জার্মানি থেকে ভারতে ফিরে এসে ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল কংগ্রেসে যোগ
দেন। ভুপেন্দ্রনাথ যুগান্তরের সম্পাদক ছিলেন, কলেজে পড়াকালীন বেঙ্গল ভলান্টিয়ারস এ
যোগ দেন। লেনিনের সঙ্গে প্রথম দেখা হওয়ার
সময়,
১৯১৯ সালে, মানবেন্দ্রনাথের ভাষায় ইণ্ডিয়ান
রেভলিউসন্যারি কমিটির প্রবক্তারা মস্কো তে আসেন যাদের মধ্যে ভুপেন্দ্রনাথ ছিলেন
একমাত্র মেম্বার যিনি প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় থেকেই আই আর কে ‘র প্রবক্তা হিসেবে বার্লিনে ছিলেন এবং এরা মানবেন্দ্রনাথের সঙ্গে নাকি কথাবার্তা
পর্যন্ত বলেন নি। তিনি বলছেন “ they were twelve in number when they arrived in
Moscow, and the new comers totally avoided me…. Hardayal and Bhupendranath had
announced that only they have the right to represent Indian voice before the
comintern … they were greatly influenced by an American lady Agnes Smedley, who
had love for Indian conditions and had worked as secretary of Lajpat Rai”
তাহলে দেখা যাচ্ছে যে সব বিপ্লবের মৌজাতেই শ্রেণীর দর্শনগত বিভাজন শুধুমাত্র
তখনই কাজ করেছে যখন প্রশ্ন এসেছে শ্রেণীগত ক্ষমতার বিলি বন্দোবস্তের। আর এক
জায়েগায় তিনি বলছেন লেনিনের সাথে প্রথম সাক্ষাতকারের ব্যপারে যে “ Then they (IRC) made a great secret move of meeting
Lenin, never saying anything to me, probably they believed that I will stand in their way …. This I came to
know from Lenin himself”
ইতিহাস বলছে ভুপেন্দ্রনাথ রা নয় এই
মানবেন্দ্রনাথই স্ট্র্যাটেজিগত দিক দিয়ে ভাবতে শুরু করেন যে সেই সময়ের মানে ১৯২০-২১ এর কংগ্রেস এর ভেতরের লিব্যারাল সোশ্যালিস্ট গ্রুপ গুলোকে কমিউনিস্ট আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত
করে নেওয়ার এবং পাশাপাশি কংগ্রেসের ভেতরের এই গোষ্ঠী গুলোই যাতে নেতৃত্ব হাতে তুলে
নিতে পারে আই এন সি’ র তার জন্য পরিকল্পনা করার। এ ব্যাপারে তিনি
শ্রীপাদ ডাঙ্গেকে কয়েকটি চিঠিও লেখেন মস্কো থেকে। তার অভিমত ছিল কংগ্রেসের এই
পরিবর্তিত রুপের নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষমতাসম্পন্ন মানুষ হলেন সি আর দাস। ইতিহাস বলছে
১৯২৫ এ মারা যাওয়ার আগে পর্যন্ত সি আর দাস’ মানবেন্দ্রনাথের বাইরে থেকে
(রাশিয়া,
বের্লিন,জুরিখ ইত্যাদি) পাঠানো বহু চিঠি
আরটিকল পত্র পত্রিকার মাধ্যমে কংগ্রেসের ভেতরের সোস্যালিস্ট চিন্তা ভাবনা কে এগিয়ে
নিয়ে যান। সেই সময়ে ডাঙ্গে র সঙ্গে তার সক্রিয় যোগাযোগ ছিল মানবেন্দ্রনাথের
সুত্রে। পরবর্তী পর্যায়ে কংগ্রেসের মধ্যে থেকেই সি আর দাস মোতিলাল রা স্বরাজ্য
পার্টি তৈরি করেন, যেটা সি আর দাসের মৃত্যুর পরে পরেই ভেঙে যায়
মোতিলাল কংগ্রেসে ফিরে যান।
আই এন সি’ র গয়া
কংগ্রেসেই ১৯২২ এ সর্বসম্মতিক্রমে কংগ্রেসের শ্রমিক কৃষক উইং তৈরি করার রেসলিউশন
পাশ হয়,
যা এক অর্থে এম এন রায়ের চিন্তাভাবনার এবং সি আর দাসেদের
সক্রিয় কাজ কর্মের ফসল।
পরবর্তীকালে সি পি আই এর আঁতুড় ঘর
থেকে কাজ করে যাওয়া সেই এম এন রায় সক্রিয় রাজনীতি থেকে সরে গেছেন। কারন ততদিনে এম
এন রায়ের চিন্তা ভাবনায় অনেক বদল এসে গেছে, তিনি
ভাবতে শুরু করেছেন what’s after Marxism। ১৯৩১ থেকে ১৯৩৬ শে দেশে
ফিরেই তিনি জেলে ব্রিটিশ গভামেন্টের
গ্রেফতারের সুত্রে। এর আগে স্টালিনের এম এন রায়ের
প্রতি মনোভাব এবং কাজকর্ম - সেটা ১৯২৭ থেকে ১৯২৯ এর মধ্যের কথা। ১৯২২ থেকেই শ্রীপাদ ডাঙ্গের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ
সম্পর্ক ছিল,
একসাথে লেখালেখির কাজ আর বিনিময় করেছেন ডাঙ্গে আর
মানবেন্দ্রনাথ। এই এম এন রায় যখন স্তালিন
কে ভারতের কমিউনিস্ট আন্দোলন কে বৃহত্তর সমর্থন যোগানোর লক্ষে সাহায্য করতে বলেন
স্তালিন দেখাই করেন নি। তখন স্তালিনের শোধনবাদ
চলছে তুঙ্গে। সময়টা ১৯২৭।
ব্রাহ্মণ পরিবারের সন্তান এম এন রায়। জন্ম সুত্রে নরেন্দ্র নাথ ভট্টাচার্জি
সেই বাল্যকাল থেকেই বিপ্লবী কাজ কর্মের সঙ্গে জড়িয়ে ছিলেন। অনুশীলন সমিতিতে যোগ
দেন ১৪ বছর বয়েসে, তার পর থেকে এক টানা বিভিন্ন বৈপ্লবিক কাজ
কর্ম পুলিশের তাড়া খাওয়া পালানো, জাভা তে নেতাজির মতই ব্রিটশ
তাড়ানোর স্বপ্নে পালিয়ে যাওয়া, তারপর সেখান থেকে আবার পালানো, যখন সান ফ্রান্সিস্কো তে আশ্রয় নিলেন পুলিশ জেনে গেল, তাই
বাধ্য হয়ে নাম বদলালেন নরেন ভটচাজ্জি হয়ে গেলেন মানবেন্দ্রনাথ রায়। ততদিনে তার মানসিক বদল ঘটেছে তাই চিন্তা ভাবনার
নতুন অধ্যায়ের শুরু সেটা বোধহয় ১৯১৬। আলাপ হল এভেলিন ট্রেন্ট এর সাথে, পরে এঁরা বিয়ে করেন। অতঃপর লালা
লাজপত রায়ের সাথে বিদেশের মাটিতে আলাপ। ১৯১৯ এ মেক্সিকো তে মাইকেল বোরোডিন এর
সঙ্গে আলাপ ও সাহচর্য তারপর এই বোরোডিনের সুত্রে রাশিয়ান কমিউনিস্ট আন্দোলনের সাথে
গভীর পরিচিতি। ১৯২০ সালের রাশিয়া তে
সেকেণ্ড কমিন্টার্ণে যোগ দেন লেনিনের আগ্রহে, কারন
লেনিন তাঁকে লিখেছিলেন নিজের “ড্রাফট থিসিস অন কলোনিয়াল
কোয়েশ্চন” এর পক্ষে বা বিপক্ষে মতামত তৈরি
করতে,
যেমন বলেছিলেন স্টালিন কে। এদের দুজনেরই কাউন্টার থিসিস
লেনিন রাশিয়ান কলোনিয়াল কমিশনের কাছে পাঠিয়ে দেন স্টাডির জন্য।
সম্ভবত এখান থেকেই (লেনিনের যথেষ্ট ইম্পরট্যান্স দেওয়ার কারন থেকেই) সুত্রপাত
স্টালিনের মানবেন্দ্রনাথ সম্পর্কে
বিরাগের। ১৯২৪ এ লেনিন প্রয়াত। ইন্টারন্যাশনাল কমিন্টার্ণ চায়েনার রাজনৈতিক অবস্থা
কে প্রাধান্য দিচ্ছে, ১৯২৭ মানবেন্দ্রনাথ ইন্টারন্যাশনাল
কমিন্টার্নের ডেলিগেট হিসেবে চীন ঘুরে এসে ভেবে বসলেন তাহলে এবার তিনি স্টালিন কে
ভারতের কমিউনিস্ট আন্দোলনের সমর্থনে বোঝাতে পারবেন। স্টালিন দেখাই করলেন না। ১৯২২ এ লেনিন তার শেষ টেস্টামেন্টে স্টালিনের বিরুদ্ধে সাবধান হতে বললেন, তখন স্টালিন কমিউনিস্ট পার্টির সেক্রেটারি, আর এর একটা প্রতিলিপি নাকি
মানবেন্দ্রনাথ কে পাঠিয়েছিলেন। ১৯২৬ পর্যন্ত ইন্টারন্যাশনাল কমিন্টার্ন এর সমস্ত
পলিসি মেকিং বডির সদস্য ছিলেন মানবেন্দ্রনাথ। স্টালিন ১৯২৭ এ বোধহয় এর শোধ তুললেন, এম এন রায়ের সঙ্গে দেখা না করে, আর তার যুক্তি হিসেবে তিনি নাকি
বলেন নিকটস্ত লোকজনদের যে ভারতে কমিউনিস্ট
আন্দোলনের মাটিই তৈরি হয় নি। অতএব সাব্যস্ত যে মানবেন্দ্রনাথের সাথে দেখা করার
কোনও কারন নেই।
স্তালিন এখানেই থামেন নি, ১৯২৯ এ তিনি সক্রিয় ভাবে
মানবেন্দ্রনাথের ইন্টারন্যশনাল কমিন্টার্নের সমস্ত সদস্য পদ খারিজ করান। এর এক বছর আগে মানবেন্দ্রনাথ মস্কো থেকে বার্লিন পালিয়ে আসেন অসুস্থতার
কারন দেখিয়ে, সেই বোরোডিন আর বুখারিন এর সাহায্যে, যে দুজনকে পরে স্টালিন
এক্সিকিউট করেন কাউন্টের রেভলিউশ্যনারি হওয়ার অপরাধে। ১৯৩০ এ মানবেন্দ্রনাথ ভারতে ফিরে আসেন। এই সময়ে
এভেলিনের সঙ্গে তার বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে, এভেলিন ভারতে আসেন নি। অবশ্য তার পেছনে অন্যতম কারন বলা হয় মানবেন্দ্রনাথের সঙ্গে অন্য কয়েকজনের
জার্মান মহিলার সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি হওয়া। ফিরে আসা মাত্রই গ্রেফতার ১৯৩১এ ছ বছরের জন্য, এই ৩১ থেকে ৩৬ পর্যন্ত তিনি অনেক পড়াশুনো আর লেখালেখি করেন যার বেশির ভাগ
লেখাই পাব্লিশ হয় নি, সে সব লেখা নাকি দিল্লীর নেহেরু মেমোরিয়াল
মিউজিয়াম অ্যাণ্ড লিটারারি আরকাইভস এ সংরক্ষিত রয়েছে আজও।
সি পি আই এর সেই নেহেরু গান্ধীর কংগ্রেস কে
সমর্থনের পথের বিভিন্ন ভঙ্গিমা অ্যাপ্রোচ বা স্ট্যান্স আজকের ইতিহাস সে আলোচনায় যাওয়ার আর কোন অর্থ
নেই। ৬৪ তে ভেঙে সি পি এম হল। ৬৭ তে যুক্ত ফ্রন্ট আর ৬৯ এ নক্সালবাড়ি আন্দোলন, সি পি এম কি করেছিল বা কি করতে বাকি রেখেছিল সেটা ইতিহাস, তাই আবার ভাঙল, এল এম এল, তার
থেকে আবার মাওবাদি। এদের ধোপভাঙা কর্পোরেট প্রজ্ঞা হল সাধারণ মানুষ মাত্রেই যেহতু
সর্বত্রই শৃঙ্খলিত (একটি পরিচিত বিখ্যাত কোটেশনের কে আগা মুড়ো আলদা করে জুড়ে
ব্যবহার করে) বুদ্ধিমান মাত্রেই স্বাধীনতার স্বাদ নিতে পারে – চিন্তাচেতনায় শৃঙ্খলমোচন করে।
কথা হল যে সেই সময়ে উত্তরবঙ্গে চা
বাগানের শ্রমিক দের অপ্রেশানের বিরুদ্ধে ওই অঞ্চলের সেই সি পি আই আর সি পি এম এর
লোকেরাইে প্রাণপাত করে কাজ করেছিল, একটা ঐক্যবদ্ধ লড়াই তৈরি করার।
চারু মজুমদার সেই সব সময়ের একটু আগে থেকেই সিপিএম এর মধ্যে থেকেই সিপিএম এর কড়া
সমালোচনা করে চলেছেন। নক্সালবাড়ি সেই জমিনেই তৈরি হয়েছিল, আর
ক্ষমতায় থাকা সি পি এম এর কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব তাকে সি আই এর দালাল দের চক্রান্ত
বলেছিল,
বলেছিল ওরা কাউন্টার রেভলিউশন্যারি। দুটো কারন পরিষ্কার
প্রথম ও প্রধান কারন প্রোগ্রেসিভ
বুর্জোয়ার মানে সোস্যাল ডেমোক্রেটিক্যাল ভিউ পয়েন্টের সঙ্গে আঁতাত বজায় রাখার
প্রয়োজন এবং সেই প্রয়োজনের থেকে ওই
আন্দোলনের একটা ব্যখ্যা তৈরি করা অ্যাজ এ জাস্টিফিকেসান। চারু মজুমদারের প্রতি
পার্টির বিরুপতাও ছিল একটা কারন, বিষদ থাক,
এর পরে ৭৭ এ পুর্ন ক্ষমতা আর ৭৯ তে মরিচঝাঁপি, সেই একই কারন সেই একই ব্যবহার।
কিন্তু প্রসঙ্গ তো নক্সালবাড়ি বা মরিচঝাঁপি নয়, প্রসঙ্গ
কি ভাবে একটা ইডিওলজি তার মাটিচ্যুত হয়ে যায়, নাকি
দেশ কাল পাত্রে র মাটিতে কোনোদিনই শেকড় গজাতে পারে না? অবশ্য
শুধু এ দেশের মাটির কথাই বা কেন, জারের রাজত্বের এক অন্যতম
সেনাবাহিনীর জেনারেল এবং অবশ্যই একজন অ্যারিস্টোক্র্যাট কে লেনিন তার প্রথম
রাসায়নিক শিল্পের মন্ত্রী করেছিলেন কারন ইনিও একজন প্রোগ্রেসিভ বুর্জোয়া র
লক্ষণযুক্ত মানুষ ছিলেন। এবং অবস্থান ভিত্তিক চিন্তা ভাবনায় এ হয়ত ছিল লেনিনের
মুক্ত চিন্তার উদাহরণ, কারন এই লোকটি (রসায়ন শিল্পমন্ত্রী) ভুসম্পদ
এক্সপ্লইটেশনের কথা লেনিন কে বলেন ও রোডম্যাপ নাকি তৈরি করেন যা সে অবস্থায়
রাশিয়ার শিল্পবিকাসের জন্য অপরিহার্য ছিল। মার্ক্স এঙ্গেলস ভেবেছিলেন ইউরোপ
ইংল্যাণ্ডের মাটিতে শিল্পবিপ্লবের পথেই অপরিহার্য শ্রমিক বিপ্লব আসবে। আসে নি, এসেছে চিন্তাভাবনার ব্যবহারিক রাজনৈতিক দলগত বিভাজন আর তাদের রাজনৈতিক
অবস্থানের স্বীকৃতি।মার্ক্স এঙ্গেলস এর বলে যাওয়া বুর্জোয়া আর্থসমাজব্যবস্থা শেষ
হয়ে যায় নি রাশিয়ার মাটিতেও। এবং এটাও বোধহয় বললে ভুল
হবে না মানবেন্দ্রনাথের অ্যাপ্রোচ টু পলিটিক্স অ্যাজ ইট ওয়াজ ডিউরিং ১৯২০জ অ্যাণ্ড ১৯৩০জ ডিড অলসো পেভ দ্য ওয়ে ফর ইট। যে
ভুল টা তিনি চল্লিশের দশক থেকে অনুভব করতে শুরু করেন। সে সব সময়ে তিনি কি বলেন
পার্টি আর পলিটিক্স সম্পর্কে তা আগেই বলেছি।
এ দেশে যা যা ঘটেছে তার মধ্যে একটা হল
দলটা কৃষক শ্রমিক থেকে শ্রমিক কৃষক এর দল হয়ে যেতে শুরু করে। অথচ এই বাম দলের মৌল
কাজের খতিয়ানের নিরিখে একটা মাইলস্টোন হল ভাগ চাষীর সমস্যা কে সল্ভ করতে চাওয়ার
সদিচ্ছার কাজ - মার্জিন্যাল ম্যান এর জন্য একটা কিছু করা যার সুদ ভাঙিয়ে ফ্রন্ট
খেয়েছে চৌত্রিশ বছর। কৃষি প্রধান দেশে একটু আধটু নেহেরুর আমলে শুরু হওয়া
ইন্ডস্ট্রিয়ালাইজেশানের সুত্রে পাওয়া নতুন সিলেক্টেড বেস তাকে বদলাতে শুরু করে
দিল। আর এই ব্যপারে তো বলশেভিজম এর এক ঐতিহাসিক সিদ্ধান্তের ভুল এদের মদদ
যুগিয়েছিল - বলশেভিক রা বিশেষ লেনিন নিজেই মনে করতে আরম্ভ করেন এবং সেটাই দলের
নীতি হয়ে যায় যে পেজ্যান্ট্রি নয়, প্রলেতারিয়েটরাই রাশিয়া তে
বিপ্লব নিয়ে আসবে, সুতরাং, হাতুড়ি
প্রাধান্য পেতে শুরু করল।
মদেশীয় এক মার্ক্সবাদি চিন্তাবিদ এর
ভাষায় - "the
industrial working class alone apparently has both the material interest in
liberating and expanding the socialized production based on collectivized
economy, and the social power to carry out the necessary revolution"! কি হাস্যকর রকমের অদ্ভুত যেন অ্যাগ্র্যারিয়ান ইকনমির চাষা গুলোর এ ব্যাপারে
কিছু বলার থাকলেও সেটা বিশেষ বিচার্য বিষয় নয়! এবং এরা হলেন বিপ্লবের তাত্ত্বিক চাষ
করা পরবর্তী প্রজন্ম, এ দেশের মাটিতে আমদানি করল সেই বিপ্লববাদ যা
গোড়াতেই একটা অদ্ভুত নীতি তে আস্থাবান হয়ে গেল!
যে দেশে এখনও এক বর্ষায় ঠিকমত বৃষ্টি না হলে ইকনমি তেরোটা বাজার মুখে এসে
দাঁড়ায়,
কি না এবারে চাষের অবস্থা খুব খারাপ, সে দেশে শুধুমাত্র ইন্ডাস্ট্রিয়াল প্রলেতারিয়েতের হাতেই রয়েছে কালেক্টিভাইজড
ইকনমির লিবারেশান আর এক্সপ্যানসনের ক্ষমতা! ক্ষি গেড়ো মাইরি! এ বারেও দু জন
পলিটব্যুরোর নতুন মুখ হল সিটু র মুখপাত্র – কতোটা
নেতা সেটা অবশ্য এরাই জানেন।
আসল কথাটা হল এই ব্যাপক কর্মকান্ডের স্বপ্নের গল্পে সোশ্যাল পাওয়ার এর
কাছাকাছি হওয়ার এর থেকে সহজতম পন্থা কিছু ছিল না কারন এ দেশের পেজ্যান্ট্রি র
কাছাকাছি না হতে পারার একটা দারুন তর্ক প্রস্তুত হল যে এই পেজ্যান্ট্রি ভীষণ
লেয়ারড,
এবং এতটাই ছড়িয়ে ছিটিয়ে এত বড় একটা দেশের মধ্যে রয়েছে যে
তাদের এককভাবে একটা চিন্তা চেতনার ছায়ায় নিয়ে আসা এবং আস্থাবান করে তোলা
ইম্প্রব্যাবল বা বলেই ফেলা যে এটা একটা ইউটোপিয়ান ধারনা, সুতরাং
ও ভাবে নয়,
বরঞ্চ বলশেভিজম এর ধারনাই ঠিক প্রযোজ্য এ দেশে। বৈচিত্রের
বাহারের রংধনুর টঙ্কার এখানেই শেষ নয় - সোশ্যাল পাওয়ারের বিলি বন্টন ব্যবস্থায়
আস্থাশীল এই ইয়ং জেনেরেশান জ্যোতি বসু কে প্রাইম মিনিস্টার হতে দেয় নি। যুক্তি যা
ছিল সে আর নতুন করে চিবোবার মত আখ নয়! অবশ্যই এটাও স্বীকার্য যে মেনে নিলেও যে
বিরাট কিছু হতে পারত বা সম্ভাবনা ছিল এমন নয়! এতে করে একটা কারুকৃতির আখরই চিত্রিত
হয়ে ওঠে তা হল এ দেশের বিপ্লববাদের ক্ষমতার অলিন্দে দাঁড়িয়ে থাকার পৌষ ফাগুনের
পালা।
এ সব ধ্যান ধারনার ক্রাইসিস এর
স্বরুপ - তাকিয়ে দেখুন পলিটব্যুরোর দিকে, কতগুলো নামের প্রসঙ্গে
কিছু না বলাই বোধহয় বেশী অর্থবহ - শ্রীমতি কারাত, সুর্য কান্ত মিশ্র, বিমান
বসু,
এম এ বেবি নিরুপম সেন ইত্যাদি, বাকি
যে কজন রয়েছেন পদ্মনাভন সিটু নেতা, কারাত ইয়েচুরি পিল্লাই ভিজায়ান সবাই স্টুডেন্টস ইউনিয়ন করে
উঠে আসা লোক যাদের লোকজনের সঙ্গে পলিটিক্যাল পর্যায়ের যোগসূত্র তাঁরা পার্টির
সিলেক্টেড লোক,
মাস বেস তাতে যা বা যেটুকু - সেইটাই তাদের জমিনের সাথে
যোগাযোগ,
একমাত্র রাঘভুলু র যোগাযোগের ইতিহাস একটু আলাদা স্টুডেন্ট
রাজনীতি সে অর্থে কখনও করেন নি কিন্তু স্টুডেন্ট থাকাকালীনই সরাসরি রাজনীতিতে এসে
পড়েন,
আন্ধ্র রাজনীতিতে লোকটাকে মনে করা হয় মাটির সঙ্গে যোগাযোগ
রয়েছে,
নিজের একটা বেস আছে। আর হ্যাঁ বিমান বোস কে পার্টির কিছুদের
প্রয়োজনেই ৭৫ পেরিয়ে যাওয়া সত্ত্বেও আর এ ব্যাপারে পার্টির নীতি সত্ত্বেও
সেন্ট্রাল কমিটি আর পলিটব্যুরোতে বেঙ্গল এর রিপ্রেজেন্টেটিভ হিসেবে রেখে দেওয়া
হয়েছে। বেঙ্গল এ পার্টির দুরবস্থার ব্যাশিং বয় হিসেবে।
এই মাটির সংলগ্নতার আর যোগাযোগ থাকা
বা না থাকার লড়াইয়ের নমুনা তো খুব ইদানীংএর ঘটনাক্রমেও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে, নামোল্লেখ না করলেও সবাই বুঝবে। আসলে আমার ধারনা মতবাদের আন্দোলন টা গোটাটাই
ইউজারপড হয়ে গেছে। নব্য বাম বাদের জন্ম একমাত্র হতে পারে হয়ত বা যদি এই শেকরবিহীন
সুন্দর অর্কিড গুলোকে সমুলে তুলে ফেলে দিয়ে নিজের জোরে দাঁড়িয়ে থাকা গাছ গুলোকে
লালন করা হয় তাহলেই হয়ত সম্ভব হবে - নচেৎ, ওই
যেমন কংগ্রেস গেলেও যেহেতু দলটা আদ্যপান্ত
অপরচুনিস্ট দের দল তাই ডাইন্যাস্টি কে এরা সযত্নে বাচিয়ে রাখবে একদিন আবার ফিরবে
এই ভরসায় এবং এরা জানে যে এরা একে অপরের নেতৃত্ব মানে না, তেমনি
বাম পন্থাও থেকে যাবে, যদি একদিন আবার সেই সোশ্যাল পাওয়ারের বিলি
বন্টন ব্যবস্থার সঙ্গে কোথাও জড়িয়ে পড়া যায় সেই ভেবে - ততদিন বন্ধুগন শুধুই থারড
ফ্রন্টের গল্প শুনে যান
অমলেন্দু
চন্দ
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন