স্টেথোস্কোপের পাণ্ডুলিপি * শুভ্র ভট্টাচার্য্য

স্টেথোস্কোপের পাণ্ডুলিপি” সোনালির পেশাগত অভিজ্ঞতা আর সংবেদনশীল মননশীলতার গর্ভজাত। পেশায় চিকিৎসক সোনালি তাঁর দীর্ঘ কর্মজীবনের অভিজ্ঞতার আলোতে আমাদের চারপাশের সমাজকে অত্যন্ত কাছ থেকে স্পষ্ট আলোতে দেখে চলেছেন। সেই দেখার প্রিজমেই বিচ্ছুরিত অনবদ্য কটি গল্পের উপহারে সমৃদ্ধ তাঁর প্রথম গল্পগ্রন্থ। আবার এইটি শুধুমাত্র একটি গল্পগ্রন্থও নয়। আর পাঁচটি গল্পের বই থেকে এর গোত্র আলাদা। আবার এটি শুধুমাত্র ডাক্তারী অভিজ্ঞতার দলিলও নয়। আর সেইখানেই স্টেথোস্কোপের পাণ্ডুলিপির বিশেষত্ব। বস্তুত বাংলা সাহিত্যে এই ধারার সাহিত্য এখনো নবীন। সোনালীর এই প্রয়াস যে সেই ধারাকেই সমৃদ্ধ করবে সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। গল্পের মধ্যে দিয়ে পাঠক এই সমাজে মেয়েদের অবস্থান,পুরুষতন্ত্রের দূর্মর প্রভাব;আর সেই প্রভাবের সাথে নারীর ব্যক্তিজীবনের নিরন্তর সহবাসের না বলা কাহিনীর আদিগন্তে কিছুটা হলেও অবগাহন করতে পারবেন।~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~

সোনালির মরমী স্টেথোস্কোপে জীবনের পাণ্ডুলিপি
শুভ্র ভট্টাচার্য্য

মানু্ষ আর তার সংসার, রোজকার জীবনযাপন এই নিয়ে গড়ে ওঠে আমাদের সমাজ। সেই সমাজের পরতে পরতে মানুষের আটপৌরে গল্প। যার অন্দরমহলের আদিগন্ত ভুবনের রূপকার কথাসাহিত্যিকদের কুশলী কলমের অক্ষরবিন্যাসে আমরা দেখতে শিখি মানুষকে, দেখতে শিখি আমাদের চারপাশের সমাজকে। আর গড়ে উঠতে থাকে আমাদের নিজস্ব চেতনার সামাজিক ভুবন। তৈরী হতে থাকে দেখার চোখ। সমৃদ্ধ হতে থাকে আমাদের জীবনবোধের ভিত। সেখানেই সাহিত্যের মূল্য। এই যে সমাজকে দেখা আর দেখানো, এইটিই তো কথাসাহিত্যিকের  আসল কাজ। আর সেই কাজে একজন চিকিৎসক যদি তার পেশাগত অভিজ্ঞতাকে ধরতে থাকেন অক্ষর বিন্যাসের রঙমহলে, ধরতে থাকেন তাঁর সাহিত্যিক বোধের পরিমিতিতে, ধরতে থাকেন তাঁর সংবেদনশীল মননশীলতায়, তখন গল্পের রঙে ঝিলমিল করে ওঠে পাণ্ডুলিপির সব আয়োজন। সেই আয়োজনেরই সার্থক রূপ সাহিত্যিক সোনালির প্রথম গদ্য গ্রন্থ, “স্টেথোস্কোপের পাণ্ডুলিপি

স্টেথোস্কোপের পাণ্ডুলিপিসোনালির পেশাগত অভিজ্ঞতা আর সংবেদনশীল মননশীলতার গর্ভজাত। পেশায় চিকিৎসক সোনালি তাঁর দীর্ঘ কর্মজীবনের অভিজ্ঞতার আলোতে আমাদের চারপাশের সমাজকে অত্যন্ত কাছ থেকে স্পষ্ট আলোতে দেখে চলেছেন। সেই দেখার প্রিজমেই বিচ্ছুরিত অনবদ্য কটি গল্পের উপহারে সমৃদ্ধ তাঁর প্রথম গল্পগ্রন্থ। আবার এইটি শুধুমাত্র একটি গল্পগ্রন্থও নয়। আর পাঁচটি গল্পের বই থেকে এর গোত্র আলাদা। আবার এটি শুধুমাত্র ডাক্তারী অভিজ্ঞতার দলিলও নয়। আর সেইখানেই স্টেথোস্কোপের পাণ্ডুলিপির বিশেষত্ব। বস্তুত বাংলা সাহিত্যে এই ধারার সাহিত্য এখনো নবীন। সোনালীর এই প্রয়াস যে সেই ধারাকেই সমৃদ্ধ করবে সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই।

স্টেথোস্কোপের  পাণ্ডুলিপির দশটি গল্পের মধ্যে দিয়ে পাঠক এই সমাজে মেয়েদের অবস্থান, তাদের শরীর মন আত্মার উপর পুরুষতন্ত্রের দূর্মর প্রভাব; আর সেই প্রভাবের সাথে নারীর ব্যক্তিজীবনের নিরন্তর সহবাসের না বলা কাহিনীর আদিগন্ত আবহমান ভুবনে কিছুটা হলেও অবগাহন করতে পারবেন। সমাজজীবনে মেয়েদের অবস্থান আসলেই পিতৃতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থারই নিদারুণ এক প্রতিচ্ছবি। কিন্তু সেই ছবিটিই প্রস্ফূটিত কারার কার্যে কথাসাহিত্যিক হিসেবে সোনালি কোন নারীবাদী স্লোগান সর্বস্ব একাডেমিক বিশ্লেষণের পথে হাঁটেন নি। সাহিত্যিক হিসেবে সেটা তার কাজও নয়। তাঁর কর্মজীবনের আলোতে সমাজিক পরিসরে নারীজীবনের অবস্থানকে তিনি যে ভাবে দেখেছেন, সেই দেখার ছবিটিকে তিনি তাঁর গল্গগ্রন্থে উন্মোচিত করেছেন মানবিক সংবেদনশীলতায় ও সাহিত্যেক পরিমিতিতে। সেখানেই এই গ্রন্থের মূল বৈশিষ্ট।

মানুষের সভ্যতায় নারীর মূল্য কি শুধুই বংশরক্ষার কাজে প্রজননে? ‘স্টেথোস্কোপের পাণ্ডুলিপিহয়তো সেই প্রশ্ন তোলে না সরাসরি, কিন্তু অভিনিবেশী পাঠকের মনে পাঠের শেষে সেই প্রশ্নটিই যেন জারিত হতে থাকে মননের অন্তর্লীন সংবেদনে। ঠিক এইখানেই কথাসাহিত্যের মূল্য। এইখানেই কথাসাহিত্যিক হিসেবে সোনালির স্বর্ণালী দ্যুতির উজ্জ্বল বিচ্ছুরণ। চিকিৎসক হিসেবে দৈনন্দিন কাজের পরিসরে নিরন্তর যে অভিজ্ঞতায় অন্তর্দীপ্ত হয়ে উঠেছে সোনালির সংবেদনশীল মনন, সাহিত্যিক হিসেবে, সেই সংবেদনশীল মননশীলতার অন্তর্দীপ্ত অভিজ্ঞতাকেই শব্দের বিন্যাসে সাহিত্যের বিভঙ্গে উন্মুক্ত করতে পেরেছেন সোনালী তার কলমের ঝর্ণাধারায়। স্টেথোস্কোপের পাণ্ডুলিপিরসমৃদ্ধি ঠিক সেখানেই।

আমাদের জীবনে আমরা সমাজের যে যে স্তরে ঘোরা ফেরা করি, সেই স্তরের জীবনযাপন প্রণালীর প্রিজমেই আমরা সামজকে দেখে থাকি ও উপলব্ধি করি প্রধানত। কিন্তু তার বাইরেও পড়ে থাকে সমাজের এক বৃহত্তর অংশ। আরও ভিন্ন ভিন্ন স্তরের সমাজিক জীবন প্রবাহ। সাধারণ ভাবে যে চিত্রগুলি আমাদের দেখার পরিসরের বাইরেই পড়ে থাকে। চিকিৎসক হিসেবে সোনালি সেই ভিন্ন ভিন্ন সামাজিক স্তরের জীবন প্রবাহের অভিজ্ঞতার শরিক হয়ে ওঠার সুযোগ পেয়েছেন বিগত তিন দশক ব্যপি কর্মজীবনের সুবিস্তৃত পরিসরে। আর সেই সুযোগে তাঁর সংবেনশীলতায় তিনি এই ভিন্ন ভিন্ন সামাজিক স্তরের জীবনকে ধরতে পেরেছেন তাঁর সাহিত্যিক সত্ত্বায়, কুশলী কলমের জাদুতে। সমৃদ্ধ হয়ে উঠেছে তাঁর সাহিত্যসাধনার দিগন্ত। স্টেথোস্কোপের পাণ্ডুলিপিসেই দিগন্তেরই বিস্তৃত ক্যানভাস।

এই যে বিভিন্ন স্তরের সমাজজীবন, যার পরতে পরতে পিতৃতান্ত্রিক ক্ষমতা বিন্যাসের নিয়ন্ত্রণে নারীর অবস্থান, সেই অবস্থানের একটি তুলনামূলক চিত্রের হদিশ পাবেন পাঠক এই গল্পগ্রন্থের পাতায় পাতায়। ধাত্রীবিদ্যায় বিশেষজ্ঞ সোনালি লক্ষ্য করেছেন সমাজের যে কোন স্তরেই নারীর মূল্য নির্ধারিত হয় তার প্রজনন ক্ষমতায়। আবার সেই ক্ষমতার উপর অধিকারের নিয়ন্ত্রণও  থাকে পিতৃতন্ত্রের হাতেই। এবং এই ক্ষমতা ও নিয়ন্ত্রণের দ্বৈরথে কি ভাবে আবর্তিত হতে থাকে নারীর ব্যক্তি জীবনের আদল সেই অভিজ্ঞতাগুলিও তিনি প্রস্ফূটিত করেছেন তাঁর সাবলীল গদ্যশৈলীতে। এই গ্রন্থপাঠে পাঠকও সামিল হতে পারবেন সেই অভিজ্ঞতায়।

স্টেথোস্কোপের পাণ্ডুলিপি শুরুই হয় হাড়হিম করা গল্প প্রাণদিয়ে। পাঁচ সন্তানের জননী যখন তাঁর পরপর পাঁচটি কন্যসন্তানের পরও ষষ্ঠ কন্যাসন্তানের জন্মকে আর মেনে নিতে পারে না, তখন সমাজের নীচুতলার দারিদ্র্যকে ছাপিয়েও পিতৃতন্ত্রের পুত্রসন্তান কামনার উদগ্র বাসনা ও বংশরক্ষার পিতৃতান্ত্রিক আবহমান সংস্কৃতিই আমাদের শিহরিত করে তোলে ঘটনার পরিণতিতে। পাঁচ পাঁচটি কন্যাসন্তানের জননীর আর্তস্বর যেন গোটা পিতৃতন্ত্রকেই দাঁড় করিয়ে দেয় মানবাধিকারের কাঠগড়ায়। এইসমাজে শৃঙ্খলিত সেই নারীসত্ত্বার আর্তনাদে তখন খসে পড়তে থাকে আমাদের সভ্যতার এক একটি খোলস। প্রাগ্রসরতার খোলস। আধুনিকতার খোলস। নারীবাদের খোলস। সংস্কৃতির খোলস। ভারতীয় সভ্যতার ঐতিহ্য ও উত্তরাধিকারের খোলস। আর আমরা শিহরিত হয়ে মুখ আয়নায় আবিস্কার করি নিজেদেরকেই। কে যেন ফিসফিস করতে থাকে অলক্ষ্যে, ‘রাজা তোর কাপড় কই?’

পাথরপ্রতিমাগল্পে লেখিকা যেন আমাদের সামাজিক জীবনের মূল্যবোধের সলতেতেই আগুণ লাগিয়ে দিয়ে আমাদের পাথরের মতোই মূক করে দিয়ে যান। বাঘে খাওয়া স্বামীর সন্তানকে গর্ভপাত করাতে রাজী নয় উনিশ বছরের অন্তসত্ত্বা মেয়েটি। দাদা বৌদির ইচ্ছে বোনের আবার নতুন করে বিয়ে দেওয়ার। আর তাই গর্ভপাত করাতে নিয়ে আসা ডাক্তারের কাছে। কোথায় দাঁড়িয়ে আমরা? সুসভ্য এই সভ্যতা? যেখানে অন্তসত্ত্বা নারীর গর্ভপাত ছাড়া বিবাহ অসম্ভব! অথচ অন্তসত্ত্বা মেয়েটি, তখন ভাবছে এই তো দুটো মাস। কী যে ভালো দুটো মাস। এইটুকু তো রইল আমার ভিতর, আর এইটুকু তো এখনও বেঁচে আছে……পারবে কি সে বাঁচিয়ে রাখতে সেই একান্ত ভালোবাসাটুকুকে? আমাদের এই সামাজিক পরিসরে? ব্যক্তি নারী কি সত্যই পারে সেই ন্যূনতম অধিকারটুকুকে রক্ষা করতে? সেই উত্তর আজ হোক কাল হোক দিতে হবে এই পাথরপ্রতিম সমাজকেই।

যে সমাজে নারীর মূল্য নির্ধারিত হয় তার প্রজনন ক্ষমতায়, ‘প্রজননগল্প; সেই সমাজকেই লেখিকা মনে করিয়ে দিতে চান; “সন্তান মানে একটা নতুন প্রাণ। একটা গোটা মানুষ। মানুষ কি যন্ত্র? একটা পাইপ দিয়ে কিছু জীবনের কণা একটা কোষ ভরতি থলিতে ঢুকিয়ে দিলেই জীবন্ত কোষ তৈরী হবার কথা। কিন্তু মন? মানসিক আনন্দ ছাড়া মানুষ তৈরী হবে কি? ‘মনআর হুঁশলাগবে না মানুষ বানাতে?” পিতৃতন্ত্র কবে স্বীকার করবে সে কথা?

সেই মন আর হুঁশের সঠিক পরিচর্যার অভাবে আজকের ভারতবর্ষের আনাচা কানাচে ধর্ষকাম প্রবৃত্তির বাড়বড়ন্ত থেকে যখন রেহাই পায় না অবোধ শিশুও তখন সমাজ রাষ্ট্রের কাঠামোর আগাগোড়াটাই যে ঘূণে ধরে গিয়েছে সেটাই সুষ্পষ্ট রূপে প্রতীয়মান হয়। পীড়নগল্পে সেই চিত্রটাই তুলে ধরেন সোনালি। তাঁর তীক্ষ্ণধি পর্যবেক্ষণে উঠে আসে আরও এক বড়ো সত্য, ধর্ষণ কেবল যৌনতারণার পাশবিক প্রবৃত্তিই নয় শুধু, “ধর্ষণ মানুষকে যন্ত্রণা দেওয়ার একটি পদ্ধতি। ধর্ষণ মানুষের আত্মসম্মান কেড়ে তাকে আতঙ্কে কুঁকড়ে দিয়ে, সেই ভয় পাওয়াটাকেই তারিয়ে তারিয়ে উপভোগ করার একটা রাস্তা

তথাকথিক নারী স্বাধীনতার স্বরূপ উদ্ঘাটনেও সোনালি তার সাহিত্যিক সত্ত্বার নিরপেক্ষতার পরিচয় রেখেছেন স্টেথোস্কোপের পাণ্ডুলিপিতেগর্ভের ওপর গর্ভধারিণীরই প্রথম অধিকার……কিন্তু সন্তান তো একা একা তৈরী করা যায় না। সেই তৈরী করার পদ্ধতিতে যে আমার শয্যাসঙ্গী ছিল, তাকে না জানিয়ে, লুকিয়ে গর্ভপাত করাটা কি স্বাধীনতা? আমার জীবনসঙ্গীর সঙ্গে সম্পর্কে এইটুকু সততার দাবী থাকার জায়গা নেই? সন্তানের অস্তিত্বকে গোপন করা এবং বিনা আলোচনায় হত্যা করার অধিকারকেই কি স্বাধীনতা বলে? এটা কি প্রতারণা নয়?” এই প্রশ্নটাই পাঠকের সামনে তুলে ধরেছেন সোনালী তার প্রতারকগল্পে। পরকীয়াগল্পে সোনালী শুনিয়েছেন আর এক নারীর ভণ্ডামীর গল্প, যিনি তাঁর সচ্চরিত্র স্বামীর আড়ালে পরকীয়ায় মেতে এক দূর্লভ যৌনরোগের সংক্রমণ বাধিয়ে ফেলেছেন। আর তখনই আমাদেরকে এক অমোঘ প্রশ্নের সামনে দাঁড় করিয়ে দেন লেখিকা, “কোন পাপের পাল্লা বেশি ভারী? ভণ্ডামি, না পরকীয়া? এইভাবেই এক একটি গল্প সমাজদর্পণের ফ্রেমে ধরতে থাকে ভিন্ন ভিন্ন সামাজিক স্তরের  প্রতিচ্ছবিকে সোনালির সবল কলমের মরমী জাদুতে।

সোনালির কলমের সাবলীল গতি পাঠককে একটানা ধরে রাখে পাণ্ডুলিপির পাতায়। সাহিত্যিক সোনালির মরমী স্টেথোস্কোপে সমাজের অসুখগুলি এইভাবেই পাঠকের চেতনায় অনুরণন ঘটাতে থাকে। আর সেইখানেই এই গ্রন্থের সার্থকতা। তবুও সাহিত্যের দিগন্তে কালোত্তীর্ণ সাহিত্যের পরিমিতির নিরিখে কোথাও যেন একটু অভাববোধ থেকে যায় পরিশিলীত পাঠকের চেতনায়। সাহিত্য মূলত সমাজদর্পণ হলেও সাহিত্য একটা শিল্প, যাকে প্রচলিত পরিভাষায় আমরা আর্ট বলে থাকি। সোনালির লেখা পড়ে এটি বুঝতে অসুবিধে হয় না, তিনি আর্ট ফর আর্টস শেকএই আপ্তবাক্যের সীমানায় হয়তো ধরতে চাননি তাঁর পান্ডুলিপির ক্যানভাসকে। কিন্তু সাহিত্যের যে সর্বকালীন আবেদন, সকল দেশে সকল সময়ে বর্তমান, যে আবেদনের সার্থক রসায়নে সৃষ্টি হয় কালোত্তীর্ণ সাহিত্য; ‘স্টেথোস্কোপের পাণ্ডুলিপিপাঠকের সেই দাবিকে কি পূরণ করতে পারবে? কিংবা কতটা পূরণ করতে পারবে, সময়ই হয়তো সে কথা বলবে। আমরা শুধু এইটুকু বলতে পারি, সাহিত্যের যে সামাজিক দায়বদ্ধতা, যতটুকু দায়িত্ব, সোনালির প্রথম গল্পগ্রন্থ সেই কাজটি সম্পন্ন করেছে অত্যন্ত বলিষ্ঠ ভাবেই। আর সেখানেই যে স্টেথোস্কোপের পাণ্ডুলিপিসোনালি স্বাক্ষর রেখে গেল, এ কথা বললে অতিশয়ক্তি হয় না মোটেও।

স্টেথোস্কোপের পাণ্ডুলিপি:
সোনালি:
সপ্তর্ষি প্রকাশন:
৫১, সীতারাম ঘোষ স্ট্রীট। কলকাতা ০৯
মূল্য ১০০ টাকা
শুভ্র ভট্টাচার্য্য