মুখোমুখি অনুপম
দাশ শর্মা
সম্পাদক রংরুট: সকলের আগে ত্রৈমাসিক রংরুটের পক্ষ থেকে আপনাকে আন্তরিক
ধন্যবাদ। রংরুটের এই বিশেষ সংখ্যায় আপনাকে স্বাগতম। আপনার লেখালেখির পরিধি
মূলত কাব্যসাহিত্য কেন্দ্রিক। কবিতার প্রতি এই বিশেষ আগ্রহের সূত্রপাত ঠিক কিভাবে?
অনুপম দাশ শর্মা: খুব ছোটবেলা থেকেই পাঠ্যবইয়ের
বাইরের বইগুলির ওপরে প্রবল টান ছিল। টিফিনের পয়সা নিয়ে কিনে আনতাম বিভিন্ন কৈশোর
উপযোগী পত্রিকা। সেখানে ছোট ছোট গল্পের পাশাপাশি পদ্য পড়তেও বেশ লাগত। শুরু করলাম
পদ্য লেখা। প্রাত্যহিক সংবাদপত্রের সাহিত্য বিভাগে। প্রথম লিমেরিক প্রকাশ হয়েছিল
১৯৮২ সালে,
আজকাল সংবাদপত্রে। এরপর স্কুলের পড়া সামলে বিভিন্ন আবৃত্তি
প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া এবং পুরস্কৃত হওয়া। তখন সেই অর্থে ততটা ভালো না বুঝলেও
কবিতার সাথে সখ্যতা গড়ে উঠেছিল।
সম্পাদক রংরুট: আমরা জানি
কবিতা প্রকাশের বিষয়ে আপনি খুবই যত্নশীল একজন মানুষ। নিজের সৃজনশীলতার বিষয়ে অত্যন্ত
বেশি রকমের নিষ্ঠাবান না হলে এই যত্নশীলতা অর্জিত হয় না। এই বিষয়ে আমরা জীবনানন্দ দাশের
কথা স্মরণ করতে পারি। প্রতিটি কবিতার পিছনে আপনার যে পরিশ্রম যে অধ্যাবসায় ও যত্নশীলতা
বর্তমান, তার অনুপ্রেরণার উৎস কি?
অনুপম দাশ শর্মা: কবিতা প্রকাশের আগে নিজেকে
পরিশীলিত করতে হয়েছে লেখাতে। পূর্বজ কবিদের কবিতাগুলি পাঠ করতে করতে মনে হয়েছে
আমিও বা কেন এমন কবিতা লিখতে পারব না? পারতেই হবে। শুরু হল পূর্ণ সময়ের
কবিতা যাপন।
রোজকার নিয়মমাফিক কাজের মধ্যে থেকেই চিন্তায় ধারণ করতাম উঁকি দেওয়া কিছু
পঙক্তি। জীবনানন্দকে
বলা হয় প্রথম আধুনিক কবি। তাঁর কাব্যজীবনের প্রত্যাখাত ঘটনাবলী অবশ্যই আমাকে
উদ্দীপ্ত করেছে কবিতা রচনায়। তবু যাঁকে আমার সার্বিক কবিতা লেখাতে পরম অনুপ্রেরণা
বলে ধরে নিয়ে লিখে চলেছি তিনি শ্রদ্ধেয় কবি শঙ্খ ঘোষ। ওঁর কবিতাই শুধু নয় ওঁর
সামাজিক ক্ষেত্রে এই বৃদ্ধ ও অসুস্থ অবস্থায় সক্রিয়তা আমার কাছে অনুসরণীয়।
সম্পাদক রংরুট: এই প্রসঙ্গে জানতে চাইবো কবিতার
কাঠামোগত দিকের বিষয়ে একজন কবির, নৈর্ব্যক্তিক ও শৈল্পিক ধ্যানধারণা থাকা প্রয়োজন বলে
মনে করেন কি আপনি? কবির ব্যক্তিগত আবেগকে সাহিত্যের নান্দনিকতায় বিকশিত করতে যা খুবই
মূল্যবান? না’কি কবিতা মূলত আবেগের বহিঃপ্রকাশ মাত্র? অনেকেই যেমনটা দাবি করেন আজকাল।
অনুপম দাশ শর্মা: প্রশ্নের একেবারে শেষের লাইনটি
নিয়ে বলি,
নাহ্ কবিতাকে মূলত আবেগের বহিঃপ্রকাশ বলে গণ্য করিনা। আবেগ
তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় নিশ্চয়ই সাড়া দেয় কবিতায়। তবে সেইখানে কবিতা নেহাত অনুভবের
আধার হয়ে ওঠে।
কবিতায় কাব্যচিন্তার পরিধি আরও বিস্তৃত করতে হয়। অনুভবকে
যখন কবিতার কাঠামোতে স্থাপন করা হয় তখন প্রয়োজন হয় শৈল্পিক ধ্যানধারণার, কবিতার
পঙক্তিতে।
কবিও পাশাপাশি নিজের ব্যক্তিসত্ত্বাকে ছাপিয়ে উঠে আসেন এমন
নৈব্যক্তিক প্রকাশে, যেখানে কবিতার রস আস্বাদনে পাঠক আশ্চর্য অনুভূতির অপরুপ রাজ্যে
অবাধে বিচরণ
করতে পারেন।
সম্পাদক রংরুট: আপনার কবিসত্তার ভরকেন্দ্র শাশ্বত মানবিক সংবেদনশীলতায় না’কি নির্মোহ দার্শনিক
বিশ্ববীক্ষায়? কবিগুরু বলতেন, তিনি দার্শনিক নন। তিনি কবি। দর্শন ও সাহিত্যের ভিতর
একটি দ্বন্দ্ব ও সমন্বয়ের পালা চলতে থাকে। অন্তত রবীন্দ্রকাব্যের বিবর্তনের দিকে লক্ষ্য
রাখলে বিষয়টি দেখা যায়। এই বিষয়ে আপনার ব্যক্তিগত অভিমত। জানতে চাইছি বিস্তারিত আলোকপাতে।
অনুপম দাশ শর্মা: কবিতাকে প্রথম থেকেই সাধারণ পাঠকের
মন স্পর্শ করে যাবার উপযোগী হতে হয়। এ কথা তো সার্বিক সত্য যে আমরা প্রতিদিন
ঘটনার ঘাত প্রতিঘাতে আলোড়িত হচ্ছি। সেই সব সংবেদনশীল ঘটনাসমূহকে
প্রকাশ করতে কবিতাই শ্রেষ্ঠ আধার। কিন্তু কবিতা শুধুমাত্র ঘটিত দৃশ্যের চিত্রায়নে
বিশ্বাসী নয়। কবিকে তুলে ধরতে হয়
জীবনপ্রবাহের অন্ধকার সরিয়ে আলোর দিশা। এক অভাবিত ভাবনার সাক্ষাৎ পেয়ে। মনে পড়ে
সেই কথা রবীন্দ্রনাথ যখন পুত্রশোক আত্মস্থ করে কীভাবে অপ্রাকৃতিক চেতনায় তুলে
এনেছিলেন মায়াময় সংগীত "আজ জ্যোৎস্নারাতে সবাই গেছে বনে.." দর্শন ও
সাহিত্যের মধ্যে আমি দ্বন্দ্ব দেখিনা। বরং সুন্দরের সহাবস্থানে জীবনের আবশ্যিক
মূল মন্ত্রের স্বাভাবিক সমাবেশ দেখি। বিভিন্ন কবিতায় তাই তো বৈচিত্র্যময় আঙ্গিকে
চোখে পড়ে দর্শন ও মানবিক সংবেদনশীলতার
অপূর্ব মিলন।
সম্পাদক রংরুট: সাহিত্যসাধনা বা কাব্যচর্চার
প্রসঙ্গে কবি জীবনানন্দ পরিচ্ছন্ন
কালজ্ঞান ও সুস্পষ্ট ইতিহাসচেতনার উপর বিশেষ জোর দিয়েছিলেন। সাহিত্য সাধনার ক্ষেত্রে
একজন কবির জন্য এই পরিচ্ছন্ন কালজ্ঞান ও ইতিহাসচেতনা কতটা জরুরী বিষয় বলে মনে করেন
আপনি? আপনার নিজের কবিতায় এই বিষয়গুলি কতটা প্রাসঙ্গিক ও কিভাবে দেখা দেয়?
অনুপম দাশ শর্মা: সাহিত্য সাধনার ক্ষেত্রে ইতিহাস
চেতনার গুরুত্ব অপরিসীম। ইতিহাস খুঁড়ে যে কত কবিতার জন্ম হয়েছে তার ইয়ত্তা নেই। কবিতায়
যখনই অতীতের সময়কে ধরা হবে তখন অতীত তার বিস্মৃতির ডাল ছেড়ে মিশে যায় বর্তমান
সময়ের অববাহিকায়। অতীত সময়ের সামগ্রিক সামাজিক, রাজনৈতিক
সময়সারণি সত্যতথ্য হিসাবে কবিতাকে বিশ্বাসের মান্যতা এনে দেয় অচিরেই। কবিতায়
বিনির্মাণ হয় অতীতের আধুনিক অবয়ব। আমি চেষ্টায় থাকি সাধ্যমত অতীতকে কবিতায় ভাবনার
শরিক করে কবিতায় ভিন্ন অনুভব ছড়িয়ে দিতে। এই প্রসঙ্গে উল্লেখ করতে পারি
উদাহরণ স্বরূপ,আমার
একটি কবিতায় পূর্ব কলকাতা দিয়ে বয়ে যাওয়া একটি দীর্ঘ খাল যেটি নবাব আলীবর্দী খান তৎকালীন
বর্গীদের অগ্রসর আটকাতে খনন করেছিলেন। সেই খালে নৌকা বাণিজ্যে ব্যবহৃত হত। ইতিহাসখচিত
খালের সেই সময়ের যাপনচিত্রর সাথে বর্তমানের ভঙুর অবস্থান তুলে এনেছিলাম আমার
কবিতায়।
সম্পাদক রংরুট: মহাকবি টি এস এলিয়টের ভাষায়, “No poet, no artist of
any art, has his complete meaning alone. His significance, his appreciation is
the appreciation of his relation to the dead poets and artists. You cannot value him alone; you must set him
for contrast and comparison among the dead.” আপনিও কি
এলিয়টের মতো এই মতে বিশ্বাসী? আপনার নিজের কাব্য সাধনায় কতটা সত্য এই দর্শন? অর্থাৎ
আপনার কবিতার পাঠককেও কি আপনার কবিতা অনুধাবনে এই পথেই অগ্রসর হতে পরামর্শ দেবেন আপনি?
না’কি আপনার অবস্থান কিছুটা ভিন্নমাত্রায়।
অনুপম দাশ শর্মা: মহাকবি এলিয়ট যে দর্শন তুলে ধরেছেন
তার থেকে সম্ভবত কেউই প্রভাবমুক্ত হতে পারেন না। কোন কবিই নিশ্চিত হতে পারেন না যে
তাঁর সৃষ্টি ভীষণভাবে মৌলিক। যেহেতু তাঁর অধিগত জ্ঞানের সীমান্ত কখনোই পূর্বজ
কবিদের পরিধির সব জায়গায় ছুঁয়ে যেতে পারেনা। কোনও কবি অজান্তেই তাঁর কবিতায় পূর্ব
লিখিত কবিতার ভাবরেখা মিশিয়ে দিতে পারেন। আমি যে কবিতাগুলি আন্তর্জালে
প্রকাশ করি সেখান থেকে অনুমতি সাপেক্ষে কোন কোন পাঠক তাঁদের সংগ্রহে রাখার ইচ্ছে
জানালে আমি সম্মতি জানাতে দ্বিধাবোধ করিনা। মনে করি, কবিতার
আঙ্গিক ও উপস্থাপনা মৌলিক হলেও কবিতার বিষয়ের গতিপথ মিলে যেতেই পারে কোন প্রয়াত
কবির কবিতার সাথে।
আমি চেষ্টায় থাকি বহুবর্ণিত বিষয়ের থেকে বরং পরিবেশনের দিকে
পাঠকদের অভিমুখ ঘোরাতে।
সম্পাদক রংরুট: ইংল্যাণ্ডজাত
মার্কিন কবি ডবল্যু এইচ অডেন গভীর ভাবে বিশ্বাস করতেন, একজন কবি সবিকিছুর আগে সেই ব্যক্তি
যিনি তাঁর ভাষার প্রেমে পড়ে গিয়েছেন। আমাদের এত ভালোবাসার এত দুর্দশা পীড়িত তবুও সংগ্রামী
বাংলা ভাষার একজন কবি হিসাবে এই বিষয়ে আপনার অবস্থান সম্বন্ধে যদি আলোকপাত করেন স্পষ্ট
ভাবে। কবিতা কি সত্যই এমন নিবিড় ভাবে বিশেষ কোন ভাষা নির্ভর হতে পারে? না’কি অডেনের
এই মতকে আমরা কবিতার নিজস্ব ভাষা বলে ধরে নেবো। যেমন চিত্রশিল্পের ভাষা, চলচিত্রের
ভাষা ইত্যাদি।
অনুপম দাশ শর্মা: না, এ ব্যাপারে
আমার এতটুকু দ্বিধা নেই যে আমি একজন বাংলাভাষার কবি হিসাবে গর্ব বোধ করব। তবে
কবিতাকে কোন ভাষার একক ছত্রছায়ায় থাকাটা উচিত মনে করিনা। ভিন্ন ভাষার কবিতাগুলি কী
আমাদের ঋদ্ধ করেনা! আমি বরং আমার প্রিয় বাংলাভাষাকে সমধিক প্রয়োগে রেখেই বিষয়ের
খাতিরে বা কখনও ছন্দের মিলের প্রয়োজনে অ-বাংলা ভাষা/শব্দ ব্যবহার করে থাকি।
বলা যেতেই পারে কবিতা মাতৃক্রোড়ে থেকেই বিকশিত হয়, গন্ডীর
বাইরে প্রজ্জ্বলিত হয় দেশের পরিধি অতিক্রম করে। এবং
কবিতাকে সমগ্রতে ছড়িয়ে দিতে গেলে, আন্তর্জাতিক স্তরে বিছিয়ে দিতে
গেলে বাংলা ভাষার কবিতার সমধিক অনুবাদের বিশেষ প্রয়োজন। নাহলে দেশভিত্তিক কাব্যপরিচিতি
ভিন দেশের মনমজ্জায় গ্রহণযোগ্য হবে কী করে। সংস্কৃতির বিনিময় নির্দিষ্ট ভাষার
নির্ভরতা থেকে বেরিয়ে আসুক তাই চাই।
সম্পাদক রংরুট: ভাষার প্রসঙ্গই
যখন উঠলো, তখন বিশেষ করে জানতে ইচ্ছা করছে আমাদের এই বাংলাভাষা আপনার ব্যক্তিগত জীবনসত্যের
সাথে ঠিক কিভাবে জড়িয়ে আছে? না, শুধু মাত্র কবিতা লেখা বা সাহিত্যসাধানার একটি মাধ্যম
হিসাবে নয়। একজন অনুভুতিশীল সচেতন বাঙালি হিসাবে।
অনুপম দাশ শর্মা: কবিতা, গল্প, প্রবন্ধ
এ সবই বাংলা ভাষার এক একটি নান্দনিক রুপ। যাঁরা চর্চা করেন তাঁরাই কার্যত
বাংলাভাষায় যাপন করেন। তাই প্রকাশের মাধ্যম যা-ই থাকুক বাঙালির জীবনকে আষ্ঠেপৃষ্ঠে
জড়িয়ে রেখেছে প্রিয় বাংলাভাষা। বারবার 'প্রিয়' বলি এই
কারণে যে বাংলা ভাষার মত সুমিষ্ট ভাষা সম্ভবত পৃথিবীর আর কোন ভাষা নয়। কিন্তু শুধু
শিল্পচর্চা নিয়ে তো জীবন বাহিত হয় না। জীবনের পথে চলতে চলতে উঁচুনীচু,চড়াই
উতরাই ডিঙোতে গেলে বাংলাভাষাই আমাকে সাহায্য করে সমগ্রে। বর্তমান
সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট নিয়ে ভাবি, দেখি যে
কীভাবে উভয়ের ওপর দূর্গতির আঘাত আর্থিক ক্ষতি বয়ে এনেছে। দেয়ালে পিঠ ঠেকুক কী না
ঠেকুক বাঙালি কিন্তু এখন অপর বাঙালির বিপদে নিজেদের দুয়ার খুলে রাখে। মনের
স্বাভাবিক সংযোগের কারণেও বাংলাভাষার অবদান অনস্বীকার্য।
সম্পাদক রংরুট: সাহিত্য দর্শন
বিজ্ঞান প্রযুক্তির বিবর্তনের পথে আমরা যে অনেক দূর এগিয়ে এসেছি, সে
কথা হয়তো বলাই যায়। কিন্তু সমাজ সংসার বিবর্তনের পথে বিগত দুই হাজার
বছরের হিসাবটুকুই যদি ধরি খৃষ্টাব্দের সূত্রে- তাহলে সত্যই
কতটুকু এগোলো মানুষের সমাজ সংসার সভ্যতা? আপনার মূল্যায়ন।
অনুপম দাশ শর্মা: সমাজ, সংসার
বিবর্তনের পথে গত দুই বছরের হিসাব মেলাতে গেলে হতাশ হয়ে পড়তে হয়। দেশের রাষ্ট্রব্যবস্থার
নতুন সমীকরণের বিষময় প্রভাব দারিদ্ররেখাকে নিম্নগামী করেছে। মধ্যবর্তী জীবন যাপনে
যারা তাঁরা দেখছেন কীভাবে আর্থিক স্বচ্ছলতা দমিয়ে রাখবার জন্য বিপনন করা হচ্ছে
লাভজনক সংস্থাগুলিকে। বাঙালির গর্বের 'বেঙ্গল কেমিকেল' লাভের
হিসেব দেখানো সত্ত্বেও উঠিয়ে দেবার ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। সুতরাং গত দুই বছরে
সমাজ, সংসার
বিবর্তনের ধারা অনেকটাই নিম্নগামী হয়েছে বলা যেতেই পারে।
সম্পাদক রংরুট: সবশেষে
এসে জানতে চাইবো আপনার ব্যক্তিগত সাহিত্য সাধনার পাশাপাশি সমসাময়িক
কার কার কবিতাচর্চা আপনাকে বিশেষ ভাবে উদ্বুদ্ধ করে, যেখান থেকে বাঙলা কাব্যসাহিত্যের
অদূর ভবিষ্যৎ সম্বন্ধে আপনি প্রবল ভাবে আশাবাদী ভুমিতে অবস্থান করতে পারেন।
অনুপম দাশ শর্মা: সত্যি বলতে কী আরেকজন শঙ্খ ঘোষ, জয়
গোঁসাই কিংবা উৎপল কুমার বসুর যোগ্যতার
সম্ভাবনা নিয়ে কবিতা যাপন করছেন এমন নতুন প্রজন্মের কাউকেই মনে করতে পারছি না। এইটুকু
বলতে পারি কবি শ্যামল কান্তি দাশ এবং কবি বিভাস রায় চৌধুরীর কাব্যসৃষ্টির মধ্যে
দিয়ে বাংলা কাব্যসাহিত্যের সমৃদ্ধির আলো ছড়াবে বলে আমার অনুভূত হচ্ছে।
অনুপম দাশশর্মা জন্মাবধি কলকাতায়
বাস। পারিবারিক সাংস্কৃতিক আবহে বড় হওয়ার সুবাদে
কৈশোর থেকেই
সাহিত্যের প্রতি টান। স্কুল, কলেজের গন্ডীতে থেকেই একটু আধটু লেখার অভ্যেস
গড়ে ওঠে। অন্তর্জালে এসে ২০১২ তে প্রথম কবি হিসাবে স্বীকৃতি প্রাপ্তি। এরপর কবিতা প্রকাশ দেশ পত্রিকা,
মাসিক কৃত্তিবাস, কবিসম্মেলন সহ বিভিন্ন পত্রিকায়। এই পর্যন্ত ৫টি কাব্যগ্রন্থ প্রকাশিত। ২০১৯-এ 'যদি আড়াল সরে'-কাব্যগ্রন্থটি যথাক্রমে "নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী
স্মৃতি" পুরস্কার ও 'অনিলাদেবী স্মৃতি পুরস্কারে সম্মানিত হয়েছে। এই বছর ২০২০ কলকাতা
বইমেলায় কাব্যগ্রন্থ "রাত্রির চর্যাপদ' প্রতিষ্ঠিত 'ধানসিড়ি প্রকাশন'
থেকে প্রকাশিত।
কপিরাইট রংরুট কর্তৃক সংরক্ষিত
ভালো লাগল
উত্তরমুছুনধন্যবাদ। আমি অনুপম।
মুছুনঅনেক কিছু জানলাম।কবিতার ক্ষেত্রে ও কাজের ক্ষেত্রে এই আলোচনা অনেক উপকারী হবে।রংরুট ও কবি উভয়কেই অভিনন্দন ও ধন্যবাদ।আশা করছি আগামিতেও এইরকম সাক্ষাৎকার আরো পড়ার সুযোগ পাব।
উত্তরমুছুন