অমলেন্দু চন্দ - নীতি স্বার্থ ও তত্ব


সাব-অল্টারন কিছু হলেই ডেমোক্র্যাসির  নতুন এলিট নতুন অভিধা দেবে - জাতে রামেই নেই বুঝিয়ে রাবণের গুষ্টির তুষ্টি করা আঁতেল, সে আবার এক ভেন্ন বাস্তু র ঘুঘুকানে মোবাইল চেপে  ড্রাইভার ডেকে এ সি চালিয়ে  বেঁচে বর্তে থাকার কর্মস্থলে দেখতে পাওয়া যায় তাদেরএই উদ্বাস্তুরা আবার বাতেন বাবুর জাত, অনেক এদের দাম আর মান। এদের এই রয়েছে আছে এই ছিল এই নেই খেলায় তো ইতিহাস কাবার। কারন বুদ্ধিচাছা এলিটিস্মের মাইক তো এধার ওধার সব ধারেই বেজেই চলেছে, এ বলে আমি নীল রক্তের ও বলে আমি বিবর্তনের গল্পে লাল রক্তের এলিট। এদিক ওদিক কিছু লাশ থাকলেই হল ইতিহাসে, সে  ভাঙিয়ে খাবার বন্দোবস্ত চলবে চলছে লড়কে লেঙ্গে বুঝে  নেব, আর তাতে যাদের লাশ তাদের গুষ্টি গোল্লায় গেলেই বা কি করার আছে, সিস্টেম সিস্টেম, - সে সব তো তোমার জানাই আছে, না কি, এখনও বুঝিয়ে বলতে হবে, সে হলেই তো হল, তুমি অপোগণ্ড। ~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~

নীতি স্বার্থ ও তত্ব
অমলেন্দু চন্দ

যে ব্যাপারগুলো আমাদের একি সাথে রিজন দেয় বিশ্বাসের ভিত্তি দেয়, সেগুলোই কখনো কখনো ভীষণ মৌল প্রশ্ন হয়েও সামনে এসে দাঁড়ায় খোঁচায়। Nietzsche ' র ভাষায় উই নীড টু সাপ্লিমেন্ট রিয়ালিটি বাই অ্যান আইডিয়াল অফ আওয়ার ওউন ক্রিয়েসান - খুব স্বাভাবিক কারনেই প্রশ্নটা উঠে আসে যে মূল্যবোধ কি অ্যাবসলিউট কিছুভাল খারাপ বা এথিক্যাল ইসু মানে ঠিক ভুল এগুলো আপাতদৃষ্টিতে মানুষের একটা ইন্সটিঙ্কটিভ ইচ্ছাচেতন দুনিয়ার ভাবনা, তার পারিপার্শ্ব কে তার নিজের ফ্রী উইলে'র সঙ্গে সাযুজ্য রেখে দেখবার জন্য তৈরি করা মাপদন্ড। প্রশ্ন উঠতে পারে ফ্রী উইল টা কতটা ফ্রী।

 কথা হচ্ছে কতদুর পর্যন্ত এই সত্যি যাচাইয়ের সীমারেখা টানা হয় বা থাকে সেটা একটা বিশাল ইসু, কারন প্রত্যেকের লজিক আর রিয়েলিটির ধারনা আর ইন্টারপ্রিটেসান যে কনভারজ করবে এটা তো বিশ্বাস্য নয়, তাহলে? সেখান থেকে বোধহয় এসে পড়বে এই ডাইভারজেন্স কোথায় নিয়ে দাঁড় করাতে পারে। কারন সাধারন অর্থে আমরা রিয়াক্সানের সময় ইন্সটিঙ্কট থেকে রিয়াক্ট করি আর তার পর যখন ইভ্যালুয়েসানের মুখোমুখি হই নিজের আয়নায় তখন শুরু করি রেস্পন্স, অর্থাৎ ভ্যালু আর রিয়্যালিটির কোহেরেন্স খোঁজা, র্যা সনালাইজেসান। উল্টোদিকে ক্যাওস না হলেও কনভারজেন্স এর অভাব দূরত্ব বাড়ায়। বিভাজন রেখার বিন্যাস ক্রমাগত বদলায়। শুরু হয়ে যায় ভাষা রাজনীতি। আর এটা মনে করার কোন কারন নেই যে এই রাজনীতিতে যার স্থানিক দাপট বেশী শুধু সেই কল্কে নিয়ে চলে যায়।

সেই এক কুয়োতলার ব্রাহ্মণের দেওয়া সুর্যপ্রণাম স্তোত্রের ব্যাখ্যায় যখন একটু নিঃস্পৃহ হয়ে ডুব দেই বুঝি তার অক্ষরজ্ঞানে তার অর্থ বোধে রয়েছে তার জীবনচর্যার নির্যাস - সে ব্রাহ্মণ তার কাজ সঙ্গতিপূর্ণ যোগসূত্র বা সিঁড়ি তৈরি করা তাই জবা কুসুম টা জবা ফুল আর কর্ম সূত্রে সেও চায় ধনের উপলব্ধি, তাই তো সে অম্লান অর্থ বলে - জবা ফুল হাতে নিয়ে মহা তেজা কাশ্যপ মুনি স্মরণ করলে আর সূর্য প্রণাম সারলে ধন লাভ হয় - আর বামুন যেহেতু কারুকে পুজো না করলে কি আর ধন লাভ হয়, নিজের টা নিজের হাতেই থাকে, মানে জবা ফুল টা।

সেই ব্রাহ্মণের র্যাধসনালাইজেসানে কোন আপাত বিরোধ নেই তাই সে অম্লান, মুস্কিল হয় অল্প বিদ্যে ভয়ঙ্করীর সেপাই দের, ওই ভাইরাস এমন যে হার্ড ডিস্ক ফেলে দিয়ে নতুন করা ছাড়া রেমেডি নাই। জপাকুসুম সঙ্কাশম কাস্যপেয়ম মহাদ্যুতিম তমঘ্নম সর্বপাপঘ্নম প্রনহতোস্মি দিবাকরম - যতই অর্থ বুঝি অবস্থা সেই বড়ে মিয়াঁ 'র গানের পাত্রের মতন - ক্যা করু সজনী আয়ে না বালম, ধন্দ যে আর কাটে না  দয়াল।

এসে গেল বাউল প্রেম। থেকে থেকেই তালপুকুরের ঘটি না ডোবা জলে ঘাই মারতে গিয়ে মাছ মরে যাওয়ার গপ্পো, তা সে অন্তত বার কয়েক তো হবেই এ জীবনে, মরছি আর অন্য মাছের পেটে গিয়ে তারপর ডিম ফুটে আবার মাছ, নতুন হতে না হতেই সে আবার মাছ ধরাদের ভোগে।
     
 সরল মন সরল রৈখিক গতিতে ধায়, যেন শিমুলতুলো, বাতাসের দাব যেদিকে সেইদিকে উড়ে যাবে, তো ঘূর্ণিপাকে পড়লে যেমন নাচায় তেম্লি নাচো। তুলো তুমি তুলোই রইলে, শুধু খানিক গতর বদলে গেলো, ছিঁড়ে খুঁড়ে। সেই শিকড়ের কথা এসে গেলো, গাছের শিকড়, মানুষের শিকড়, সে থাকে কোন জমিতে, আজ এত বছর পরেও কি তার হদিশ হয়েছে, নিজভুঁয়ে উদ্বাস্তু আর ঘর শিবির, আর - শেকড়ের গল্প এসে পড়লেই ভয় হয়, হেজিয়ে যাওয়া পরান আর কত সহ্য করবে?

ওই সেই কে যেন বলেছিল মনে পড়ে শেকর উধার, শাখা প্রশাখা ইধার, সেই রকম আর কি, গল্প তাই সেই ইধর উধার ছেড়ে আর ডিঙোয় না শুধু তাহাদের ঐতিহ্যের নিশান পত পত করে উড়ে বেরায়।

 সে ছাড়া সাব-অল্টারন কিছু হলেই ডেমোক্র্যাসির  নতুন এলিট নতুন অভিধা দেবে - জাতে রামেই নেই বুঝিয়ে রাবণের গুষ্টির তুষ্টি করা আঁতেল, সে আবার এক ভেন্ন বাস্তু র ঘুঘুকানে মোবাইল চেপে  ড্রাইভার ডেকে এ সি চালিয়ে  বেঁচে বর্তে থাকার কর্মস্থলে দেখতে পাওয়া যায় তাদেরএই উদ্বাস্তুরা আবার বাতেন বাবুর জাত, অনেক এদের দাম আর মান। এদের এই রয়েছে আছে এই ছিল এই নেই খেলায় তো ইতিহাস কাবার। কারন বুদ্ধিচাছা এলিটিস্মের মাইক তো এধার ওধার সব ধারেই বেজেই চলেছে, এ বলে আমি নীল রক্তের ও বলে আমি বিবর্তনের গল্পে লাল রক্তের এলিট। এদিক ওদিক কিছু লাশ থাকলেই হল ইতিহাসে, সে  ভাঙিয়ে খাবার বন্দোবস্ত চলবে চলছে লড়কে লেঙ্গে বুঝে  নেব, আর তাতে যাদের লাশ তাদের গুষ্টি গোল্লায় গেলেই বা কি করার আছে, সিস্টেম সিস্টেম, - সে সব তো তোমার জানাই আছে, না কি, এখনও বুঝিয়ে বলতে হবে, সে হলেই তো হল, তুমি অপোগণ্ড।

শ্রেণীসচেতনতা। সমাজ, রাষ্ট্র, পরিবেশ, প্রতিবেশ, অর্থনীতি, এবং সামাজিক বিভিন্ন সুক্ষ অতিসুক্ষ সব স্তরের ঘাত প্রতিঘাত থেকে উঠে আসা জীবন চরিত। শিল্পী সাহিত্যিক ধরেন তাদের সাহিত্যে শিল্পে আর বাতেন বাবুরা ধরেন - না ধরলেন আর কই, শুধু ভাঙিয়ে খেলেননিবিড় পাঠ আর শিল্প মূল্য। কি দিয়েছেবর্জ্য পদার্থ, মল মূত্র, শ্লেষ্মা। আসলে সবটাই কোন না কোন ভাবে প্রতিষ্ঠান বিরোধিতার সূত্রে হয়ে ওঠা এক অন্য প্রতিষ্ঠানের গল্প। আর এই সব কথা উঠলেই তো সাহিত্যে বামপন্থা নামক টপিক টি অনিবার্য এক উপস্থিতি, সে জানান দেবেই, তা সে এও এক দায়বদ্ধতা যে, যতক্ষণ না নামান যাচ্ছেকষ্ট যে নামেই এমন নয়, ফলে বিষফোঁড়ার মত কিছু টিস টিসে ভাব থেকেই যায়, কষ্ট। ফলে মুখিয়েই থাকতে হয়, প্রতিবাদী চরিত্র কি না সে ছাড়া তো দক্ষিণ মধ্য উত্তর বা নিম্নোত্তর পন্থিরাও আছেন। এখান থেকেই তো সেই যাকে বলে ভিন্ন কল্পে আরেক প্রতিষ্ঠান ডিমে তা দেয়।

"the Politics of colonization is not a matter of doctrine, but of dreams. It does not originate from theories, but from longings, which of course take shape through contentions of politics...and all forms of politics based on dreams are inherently hazardous. Dreams can only stare towards an abyss that sooner or later would give rise to a sovereign authority..."

উদ্বাস্তু সমস্যার এর থেকে সুন্দর ব্যাখ্যা আর হয় না, কারন অ্যাস্পিরেসান এর অতল অজুদ মারিয়ানা ট্রেঞ্চ কে পূর্ণ করতে চাওয়ার ইতিহাস দেশ কাল স্থান পাত্রে কি কাহিনী লিখেছে এই উপমহাদেশে সে বিচার তো চলছেই। সেই কলোনাইজেসানের জেরে এসে পড়া অভিজ্ঞান। সমস্যা তার মেরুকরণ ও তাকে ব্যাবহার, নিরন্তর কলোনাইজেসানের ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি। শিল্প সাহিত্যেও বিশেষ কবিতাতেও কলোনাইজেসানের জের এসে পড়েছে, না পরিচিত উদ্বাস্তু সমস্যার কথা বলছিনা, বলছি একটা অ্যাবিস তৈরি হওয়া আর সেই অ্যাবিস থেকে উঠে আসা সভারেইন্টির কথা।

নিও কলোনাইজেসনের একটা বৈশিষ্ট হল ক্লাস কোলাবোরেসন। পপুলার ডেমোক্রেসির সঙ্গে বিরোধিতার সুত্রে জন্ম হয় র্যানডিক্যালাইজেসনের। প্রতীকী সেন্স অফ ন্যাশনালিজম এর কনফ্লিক্ট। যেহেতু কনফ্লিক্ট এর মাধ্যম হল  আইডেন্টিটির বিরোধ খুব যুক্তিসঙ্গত প্রশ্ন আসে যে সব আইডেন্টিটিই কি র্যা শন্যাল ও খুব যৌক্তিক সঙ্গতিপূর্ণ? ফাণ্ডামেন্টালিজম এর ক্ষেত্রে বিশেষ করে এই প্রশ্নটা খুবই যৌক্তিক। আমার ধারণা ফান্ডামেন্টালিজম এর মুলে রয়েছে এক ধরণের হু অ্যাম আইএর নিরিখে নিজেকে নিজের বোধ বুদ্ধি বিশ্বাস কে যাচাই করার প্রয়াস। সেখান থেকে এসে পরে নিজের রেলিভ্যান্স কে যাচাই করার ইচ্ছে। সময়ের অগ্রগতির সাথে যখন বিজ্ঞান প্রযুক্তি আর র্যারসনালিজম এর বাঁধন এগিয়েছে  ততই মানুষের নিজের সত্তা সম্পর্কিত ধারণা অস্বচ্ছ হয়েছে ততই সে ফরগেটিং অফ বিইং এর খপ্পরে পড়েছে। আত্মানুসন্ধানের প্রসঙ্গ এলে সে এর উত্তর র্যাাসনালিজম এর সুত্রে পাচ্ছে না, আর এই না পাওয়ার ছটফটানিকে অবলীলায় ব্যবহার করে ফেলছে রিলিজিয়াস এথনিক আইডেন্টিটি, যেটা কোনওমতেই আইডেন্টিটি পার সেনয়, হু অ্যাম আই এর অনুসন্ধানের ফসল নয়। সে একটা এথনো রিলিজ্যাস মোবিলাইজেসনের অঙ্গ হয়ে যাচ্ছে। সঙ্কীর্ণ সহজগ্রাহ্য পপুলার অভীধা অনুযায়ী এথনিসিটি হল মুলে রেসিয়াল বা ভাষাভিত্তিক গ্রুপের ক্যারেকটারিস্টিক। এথনিক কনফ্লিক্ট এর যুক্তিগ্রাহ্য বুদ্ধিগ্রাহ্য ব্যখ্যা খুঁজতে চাইলে একটা উত্তর ভেসে ওঠে সেলফ ইন্টারেস্ট পলিটিক্যাল ক্ষমতার দ্বন্দ, অর্থনৈতিক বেনিফিট, সারভাইভ্যালের লড়াই এ সবই এক বা একাধিক কারণ সেই কনফ্লিক্ট এর মুলে থাকে।

আর এইখানেই এথনিসিটির স্ট্র্যাটেজিক্যাল ম্যানিপুলেসনের প্রসঙ্গ এসে পড়ে। এথনিসিটির মোবিলাজেসন পোটেন্সিয়াল নির্ধারন করে দেয় কোন এথনিসিটি ম্যানিপুলেটেড হবে আর কোনটা হবে না। এইজন্যই সাঁওতাল আদিবাসী এথনিসিটি মোবিলাইজড হয় না কিন্তু হিন্দু মুসলমান সিয়া সুন্নী সাদা কালো কাস্ট পলিটিক্স মোবিলাইজড হয়। পক্ষ প্রতিপক্ষের খেলা শুরু হয়, আইডেন্টিটির ক্রাইসিস সারভাইভ্যালের ক্রাইসিসে বদলে যায়।

অমলেন্দু চন্দ