অরুণিমা মন্ডল দাস~নারীবাদ ও পুরুষতন্ত্র

মূলত পুরুষতন্ত্র বলতে কিছু মহিলাদের সাহিত্যের ভাষায় পুরুষদের একচেটিয়া অধিকারকেই বুঝি --মেয়েরা এখন তো অশিক্ষিত নেই--সবাই ইন্টারনেট ইউজ করছেন--স্বাধীন ভাবে থাকছেন মেয়েদের বাড়িতে থাকছেন মেয়েরা জব করছেন --- চ্যাটে হাই হ্যালো করছেন --নিজের নামে অনেক সম্পত্তি ব্যাঙ্ক ব্যালেন্স আছে ইচ্ছে করলেই একা কাটাতে পারবেন অনায়াসে তাহলে পুরুষের কাছে আসছেন কেন? সেক্সটয় আছে? পুরুষজাতিকেই বা অনেকের মতে অসুরজাতিটারই বা দরকার কি? তাই নয় কি? কিন্তু বেশীরভাগ নারী ই পুরুষের অধীনে থাকতে স্বাচ্ছ্যন্দ্য বোধ করেন --উচ্চ শিক্ষিত মহিলাদের ও ভয় থাকে --তাঁদের ও সিকিউরিটি র প্রয়োজন? সেক্স নয় প্রকৃত ভালোবাসার প্রয়োজন-- একটা ছেলে একটা মেয়ের মধ্যে কিছু তো পার্থক্য আছে যাতে পুরুষকে একজন শক্তিশালী রোবট বানানো হয় পরিবারের প্রধান মেনে নেওয়া হয় --মানে কে? সেই একজন মেয়ে? মা---পরিবারের মায়ের আদেশেই প্রধান পুরুষগন সংসার প্রদেশ চালনাচালনা করে থাকেন থাকেন--

  
নারীবাদ ও পুরুষতন্ত্র
অরুণিমা মন্ডল দাস


আমাদের সমাজব্যবস্থা দুই শ্রেণীর মানুষ দিয়েই গঠিত --১)নারী ২)পুরুষ
একটু লক্ষ্য করে দেখুন আগে কিন্তু নারী বলা হচ্ছে পরে পুরুষ --সাধারণত আমরা নারী পুরুষ বলি পুরুষ নারী কখনো বলি না --যেমন ভাবে “--লেখাপড়া
পড়ালেখা কিন্তু বলছি না?
তাহলে কি দঁাড়ালো নারী ই প্রথম নারী ই আদ্যাশক্তি নারী ই সৃষ্টির মূল নারী কামিনী নারী ই লীলাময়ী নারী যেমন ধ্বংসের দেবী তেমন প্রেমের দেবী সৃষ্টির দেবী --একজন পুরুষের জীবনে শুরুতেও যেমন নারী শেষতেও নারী--  পরিপূর্ণ একজন সফল পুরুষের পিছনে একজন নারীর হাত /অবদান অনস্বীকার্য--আবার একজন সফল নারীর পিছনে একজন সৎ ভালো পুরুষের অবদান থাকবেই---

নারী--পুরুষ---একে অপরের যথার্থ পরিপূরক! একজন আর একজনকে ছাড়া বড্ড অসহায় ও বেমানন বলা যেতেই পারে--
নারীকে অবহেলা কিন্তু পুরুষতন্ত্র নামে যন্ত্র করছে--পুরুষরা কি করছেন? পুরুষতন্ত্র মানে শুধু পুরুষ সব পুরুষকে কি বোঝায়? আপনি যদি পুরুষ হন আপনি কি চাইবেন আপনার মা ,বোন খারাপ থাকুক বা যন্ত্রনায় অবহেলায় বঁাচুক! আপনি যদি সত্যিকারের পুরুষ মানুষ হলে বা হিঁজড়ে ও যদি হয়ে থাকেন আপনি কোনো দিনই চাইবেন না আপনার রক্তের সম্পর্কের কারোর কোনো অসম্মান হোক বা ক্ষতি হোক!

পুরুষতন্ত্র বলতে মূলত গুটিকতক পুরুষ আর তঁার মাথার উপর বড় বড় মহিলাদের ছড়ি ঘোরানাকেই বুঝি? আসলে মেয়েরাই পুরুষদের চাকায় বসিয়ে পুরুষতন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছেন আপনি একটু লক্ষ্য করুন সমাজব্যবস্থা তাহলেই বুঝতে পারবেন --- মেয়েরাই পুরুষতন্ত্র কে টিকিয়ে রাখতে চায় তঁারা পুরুষের মাথায় নাচানো আ্যগ্রেসিভ মুড পুরুষের পাগলামি ছঁ্যাচড়ামি কে আদর ভেবে সারাজীবন চুমু খান আর রাণী মন্দোদরী হয়ে সিংহাসনে বসে থাকেন ।  সীতাদের কান্না মন্দোদরীর কানে ঠিকমতো পৌঁছলে রাবণের সাহস বাড়ত না পরস্ত্রী শৃ্ঙ্গারের খেলায় নিজেকে মদমত্ত করার---একদিকে নারীরা নিজেদের অসহায় বোধ করে কিন্তু আ্যকচুয়ালি অসহায় দুর্বল কখনো নয় !
পুরুষতন্ত্র কি---

  “  পুরুষতন্ত্র”   কথাটাই কেমন মরদ মরদ বা গম্ভীর একরোখা পুরুষ পুরুষ ভাব লাগে --কিন্তু এই পুরুষতন্ত্র টা কি শুধুই পুরুষদের নিয়ে চলছে বা নারীদের একদম রোহেঙ্গা বানিয়ে দিনের পর দিন পারিবারিক ধর্ষন চলছে--সেরকম সব পুরুষরাই করছেন কি? তা তো মনে হচ্ছে না---করছেন কারা? বেশীরভাগ ক্রিমিনাল টাইপ মানুষ,মানসিক রোগাক্রান্ত মানুষ , আর আছেন পেশাদার ধর্ষক গুন্ডা সমাজের একশ্রেণীর ডাস্টবিন পুরুষ বলা যায় --!


ধর্ষন কেন হয়--------    ১) রেপ বা ধর্ষন আমাদের বিশ্ব দরবারের একটি নিত্যকার ঘটনা বলা যেতেই পারে --প্রথমত ধর্ষন হয় পুরুষের আক্রোশ ,কামনার ক্ষুধা নোঁরা পাশবিক সুখ কে চরিতার্থ করার জন্য ধর্ষন হয়ে থাকে --অত্যাধিক রক্ষনশীলতা ধর্ষনের জন্য দায়ী মনে করি----মেয়েটি খোলাখুলি চলুক ক্যারাটে শিখুক বক্সিং শিখুক দশ জায়গায় যাক --বলিষ্ঠ স্মার্ট চেহারা মন হলে কারোর ক্ষমতা নেই তঁাকে ধর্ষন করার --স্মার্ট মানে খোলামেলা পোশাক উত্তেজিত পোশাক পরবেন সেটা কিন্তু বলছি না ----ইচ্ছে করে ডেসপারেট এক্সপোজার হওয়ার কোন দরকার আছে বলে মনে করি না ---
২) আপনি বিপদে পড়তে পারেন তঁার আশঙ্কা থাকলে অন্তত আধঘন্টা আগে পুলিশকে লোকেশান ম্যাসাজ করে প্রস্তুতি নিতেই পারেন-- ধরুন বডি স্প্রে চোখে দিয়ে পালানো --ধারালো কিছু দিয়ে আঘাত করা শরীরের বেশ কিছু এমন --সেখানে আঘাত করলে মানুষ সংগে সংগে অজ্ঞান হয়ে যায় --সেখানে আঘাত করা --সর্বোপরি ঘাবড়ে না গিয়ে নিজেকে প্রানপন উদ্ধার করা--
৩) পশ্চিমের দেশগুলি মাতৃতান্ত্রিক ---মেয়েদেরকে ছেলেরাই ভয় পায় --গায়ে হাত দেওয়া অপমান করা দূরে থাক তঁারা মেয়েদের যথেষ্ট সম্মানীয় বলে মনে করেন--  স্বাবলম্বী না হওয়া ---যার কারনে অনেক প্রকার টরচারের স্বীকার হতে হয় --শুধুমাত্র অপরিচিতরাই যে ধর্ষন করে তা নয় মেয়েদের নিজ অসহায়তার সুযোগে পরিচিতরাও দিনের পর দিন ধর্ষন করে যায় যার কোনো প্রমান নেই আর থাকলেও অনেক মেয়েরা এড়িয়ে যাওয়াই ভালো বলে মনে করেন।

৪) দারিদ্রতা--অভাবের কারনে বেশীরভাগ মহিলাকেই শহরে আসতে হয় কাজের জন্য যার কারনে অনেকেই বেশ্যাবৃত্তিতে জড়িয়ে পড়েন আবার অনেকে ধর্ষনের স্বীকার হয়ে মুখ লুকিয়ে বেঁচে থাকেন--

৫) সমাজের কুসংস্কার গোঁড়ামির জন্য ও অনেককে ধর্ষনের স্বীকার হতে হয়--
৬)সবচেয়ে বড় কথা উপযুক্ত নারীশিক্ষার অভাব --
৭)সামাজিক বর্ণবৈষম্য

পুরুষতন্ত্রের অবদান-----

---------------------
১)  পুরুষতন্ত্র কি? কেন? কিভাবে? অনেক কিছুই বলা যেতে পারে-- মূলত পুরুষতন্ত্র বলতে কিছু মহিলাদের সাহিত্যের ভাষায় পুরুষদের একচেটিয়া অধিকারকেই বুঝি --মেয়েরা এখন তো অশিক্ষিত নেই--সবাই ইন্টারনেট ইউজ করছেন--স্বাধীন ভাবে থাকছেন মেয়েদের বাড়িতে থাকছেন মেয়েরা জব করছেন --- চ্যাটে হাই হ্যালো করছেন --নিজের নামে অনেক সম্পত্তি ব্যাঙ্ক ব্যালেন্স আছে ইচ্ছে করলেই একা কাটাতে পারবেন অনায়াসে তাহলে পুরুষের কাছে আসছেন কেন? সেক্সটয় আছে? পুরুষজাতিকেই বা অনেকের মতে অসুরজাতিটারই বা দরকার কি? তাই নয় কি?
কিন্তু বেশীরভাগ নারী ই পুরুষের অধীনে থাকতে স্বাচ্ছ্যন্দ্য বোধ করেন --উচ্চ শিক্ষিত মহিলাদের ও ভয় থাকে --তঁাদের ও সিকিউরিটি র প্রয়োজন? সেক্স নয় প্রকৃত ভালোবাসার প্রয়োজন-- একটা ছেলে একটা মেয়ের মধ্যে কিছু তো পার্থক্য আছে যাতে পুরুষকে একজন শক্তিশালী রোবট বানানো হয় পরিবারের প্রধান মেনে নেওয়া হয় --মানে কে? সেই একজন মেয়ে? মা---পরিবারের মায়ের আদেশেই প্রধান পুরুষগন সংসার প্রদেশ চালনাচালনা করে থাকেন থাকেন--


তাহলে কি দাঁড়ালো পুরুষদের গালিগালাজ করে কিছুই না শুধু আক্ষেপ আর নজরে এসে বেশী ভালোবাসা পাওয়া প্রকৃতপক্ষে মেয়েলি কিছু পুরুষদের ব্যাপার আলাদা--উনাদের  কাজই হল ভদ্র মোলায়েম ব্যবহার দিয়ে মেয়েদের সংগে ফ্রি সেক্স করা আর বাইরে বড় বড় গর্জন করে মেয়েদের এই চাই সেই চাই গলাবাজি করে পত্রিকার ব্যবসা বাড়ানো-?
কিছু মেন্টাল ধর্ষকের জন্য পুরো পুরুষজাতি তো ধর্ষক হয়ে যেতে পারে না--আবার মেন্টাল মহিলা ধর্ষকের জন্য মহিলা জাতি ও ধর্ষক নন?
তশলিমা নাসরিন পুরুষদের পাশবিকতার দিক সমাজের কুসংস্কারের দিক তুলে ধরেছেন---তিনি কখনোই সব পুরুষদের পোড়ানোর কথা বা পুরুষ মাত্রই খারাপ সেটা কিন্তু বলেননি--তাছাড়া ব্যক্তিগতভাবে তিনি একজন নির্যাতিতা বলেই মনে করি ! তসলিমা নাসরিনের জায়গায় দঁাড়িয়ে দেখুন তিনি একটুকুও কাউকে অসম্মান করছেন না--শুধুই বাস্তব তুলে ধরেছেন--? এবারে পশ্চিমবঙ্গে হোক আর বাংলাদেশে হোক এইটুকু অধিকার সবার থাকা উচিত বলে মনে করি---


খবর তৈরি হচ্ছে? করতে হচ্ছে? খবর হতে হচ্ছে ? যাই হোক একটা বিজনেস মাইন্ড এখানে কাজ করছে? সাংবাদিকদের ও একটু নাচানাচি দরকার তাই না শুধু সেলিব্রিটি নায়ক নায়িকা কবি লেখকরাই নাচবে তঁাদের ও একটু নাচার ইচ্ছে হয় ---তঁার ও চায় লোকে তঁাদের মুখ বারবার দেখুক আর থুথু গুলো ক্যামেরার বাইরে পড়ুক---


পুরুষতন্ত্রের বিরুদ্ধে নগ্ন ভাষায় আক্রমন তসলিমা নাসরিন কে কারা মাথায় তুলে রেখেছেন---সেই পুরুষরাই কিন্তু---কারা তাড়িয়েছেন সেই পুরুষরাই--১)  উদারপন্থী পুরুষজাতি  ২) কট্টর মৌলবাদী

মদত কারা দিচ্ছেন সেই আর একপদের অনুঘটক পুরুষদল---উনারা কোথায় আছেন--না তসলিমা পক্ষ না মৌলবাদী পক্ষ---তসলিমার পোস্টে কি হল! কি হল! হায় হায় করছেন আবার পিজনে মৌলবাদ উসকাচ্ছেন-- অণ্যের মেয়েকে প্যান্টিতে দেখে মজা নিচ্ছেন আর নিজের মেয়েকে রবীন্দ্রসংগীতের রস বোঝাচ্ছেন--? এটাই পুরুষতন্ত্র  ?----আবার কিছু মহিলা তসলিমা নামক উত্তেজনা র চমকে নিজের প্যান্ডেল সাজাচ্ছেন---সেটা কেমন বলুন তো --- আমি এই আমি সেই আমি নারী হিসেবে কষ্ট পেয়েছি লম্বা জিরাফের হুঙ্কার পুরুষজাতি ভালো নয় এই ওই --- রাতের বেলা কোথায়---জানু, কাছে এসো না আমি তোমাকে ছাড়া বঁাচব না--- আমি না আমি না বিপ্লবকে ছেড়ে দিয়েছি তোমার জন্য , তুমি ছাড়া আমি কি করে ভালো থাকি বল--”--- এই হচ্ছে আদর্শ নারী চরিত্র--?
আরো শুনুন উনারাই পিছনে মৌলবাদ উস্কিয়ে কি বলে থাকেন---তসলিমা নাসরিন ! ওই নারীবাদী বেশ্যা ডাক্তার ! তুমি কি করে বুঝলে আমি ওকে পক্ষ দেই---আমি তো জাস্ট কমেন্ট করেছি”---- এই হচ্ছে একপদের ঢঙি মহিলাবাহিনী---


তাহলে পুরুষতন্ত্র মাতৃতন্ত্রে কেন রূপান্তরিত কেন হচ্ছে নাপ্রথম ও লাস্ট পারফেক্ট উত্তর হল গোঁয়ার গোবিন্দ মেয়েরাই হতে দিচ্ছেন না--? তসলিমা নাসরিনকে আমি মন থেকে ভালোবাসি --সেটা কখনোই লোকদেখানো নয় ---বাইরেও যেমন ভিতরেও তেমন--তসলিমা নাসরিনকে বেশ্যা বলা সত্যিই লজ্জা!   কারা সেটা মেনে নিচ্ছে সেই ঢঙি মহিলা সমাজ আর তঁার অনুচরেরা--

নির্যাতিতা অসহায় মহিলা দের বেশ্যা বলা যায় না হায়নার স্বীকার  বলা যায় --? বেশ্যা মিনস নিজের ইচ্ছায় শরীর বিক্রী ? কিন্তু যারা পরিবেশের চাপে ধর্ষিতা তঁাকে তঁাকে কোন আ্যঙ্গেলেবেশ্যাবলবেন বলুন তো? কাল আপনার মেয়ে রাস্তায় ইভটিজিং বা ধর্ষন বা যেকোনো ফঁাদের স্বীকার হলে তঁাকে কি পরবর্তীকালে বেশ্যা বলবেন না বেশ্যালয়ে পাঠাবেন?

তাই পুরুষতন্ত্রবলে চেঁচাবেন না !পারলে মাতৃতন্ত্র তৈরী করুন কুমোর মুচি মেথর কৃষক জেলে সবার বৌ মেয়েদের হাতে কলম ধরিয়ে দঁাড় করান--বোঝান যে বিয়ে বাচ্চা জন্ম দেওয়া ছাড়াও মেয়েদের আলাদা একটা অস্তিত্ব আছে আলাদা একটা জগত আছে--যেখানে তঁারা স্বাধীন আর স্বাধীন কোন হঙ্কার কোন লক্ষীর ব্রত করবাচক ব্রত একাদশীর ব্রত করতে হয় না--মায়ের হুমকি শুনতেও হয় না---
কিছু পুরুষদের হুঙ্কার আর কট্টরপন্থী মনোভাব সমাজকে পুরুষবিদ্বষী করে তোলে ---------কোন তরুণী ধর্ষন হলে সেটা যেমন হেডলাইন হয়ে যায় তেমনি কোন ছেলে  মেয়ের হাতে ধর্ষন হলে সেটা কখনোই হেডলাইনে আসে না--? কারন সেই পুরুষ নাকি পুরুষজাতির লজ্জা--? পুরুষসিংহ রা কখনোই নাকি দুর্বল হতে পারেন না--?

আবার কোন অপরিচিত গরিব অনামা মেয়ে যদি কোন নামী লোকের নামে আরোপ আনেন তখন তঁার ই মহিলা ফ্যানরাই অস্বীকার করে তুড়ি মেরে মেয়েটিকে অপদস্ত অপমান  এমনকি সাংঘাতিক ক্ষতি করতেও পিছপা হন না---এই হচ্ছে বাংলার নারী---এখানে মেয়েরা ছেলেদের অন্যায় ঢেকে রাখে শুধুমাত্র শারিরীক তৃপ্তি বা ভালোলাগা বা ফেক ভালবাসার কারনে--বাঃরে পুরুষ সিংহ তোমার জন্য একশো মহিলা প্রাণ রাখতে পারে বাজি--” 

একদিকে এই সিস্টেমের জন্য গরিব মহিলা ও পুরুষরাই বেশী শোষিত হচ্ছেন? গরিবীতে আটকে এদের জীবন বিষময় জ্বলন্ত অঙ্গার ! না পারছে সিস্টেমকে মানতে না পারছে সিস্টেমকে ছাড়তে--এক দূরবীন ভবিষ্যত কাজ করছে --যার দুদিক ই ফঁাকা ---শুধুই দেখা আর দেখা--?


নারীবাদ ----------
----------------

আমি নারীবাদী”--- এই কথাটি বলতে কতশত উচ্চশিক্ষিত মহিলাগন লজ্জা পান।  সবকিছু পারেন কিন্তু প্রকাশ্যে নারীবাদী বলে স্বীকার করতে পারবেন না---আসলে নারীবাদ জিনিসটা কি সেটা অনেকের কাছে বোধগম্য নয়।  নারীবাদ বলতে অনেকেই পুরুষদের ঘৃণা করা অস্পৃশ্য ভাবা হেয় করা নারীর আন্দোলন ই বোঝেন--আদপে নারীবাদ বলতে সেটা কিন্তু নয় --“-নারীবাদ বলতে অসহায় নির্যাতিতা নারীদের অধিকার লড়াইয়ের জন্য আন্দোলন-- মোটকথায় একশ্রেণীর অবহেলিত সম্প্রদায়ের মানুষকে সম্মান ও মর্যাদা আদায়ের আন্দোলন ই নারীবাদ----নারীবাদী হলেন তঁারাই যারা সেই লড়াশইয়ের অংশীদারী---প্রশ্ন কারী? সমাজের জঞ্জালস্বরূপ কট্টর নারী-নীচুকারী প্রথার বিদ্রোহী---?
আবার নারীবাদীদের ভাগ ও করা যায় ---১)ভালো নারীবাদী ২)খারাপ নারীবাদী

একজন মেয়ে নারীবাদী কখন হবেন ?--কেন হবেন ? যখন তিনি পুরুষের সব কিছু জানবেন যেকোনো পুরুষকে ভালোবাসবেন কাছে থাকবেন--সংস্পর্শে থাকবেন--আম মিষ্টি কি টক কি ঝাল কখন জানব যখন আমটি খাব দেখব গন্ধ শুঁকব?--নারীবাদী মানেই যে একরোখা পুরুষহীন জীবনযাপন নয়---পুরুষের সংগে থেকেও সংসারে থেকেও আপনি নারীবাদী হতে পারেন --মেয়েদের অধিকারের জন্য লড়াই করে যেতে পারেন--¡

নারীবাদী হওয়া মানেই যে লেসবো জীবনযাপন বা একঘরে বঁাচা নয়---কিছু মহিলা নিজেকে নারীবাদী বলেন না পাছে পুরুষের বুকে মাথা রাখতে অসুবিধা হয়?
একজন ব্রিটিশ লেখিকা রেবেকা নারীবাদের ব্যাখ্যা খুব সহজ ভাবেই দিয়েছিলেন----নারীবাদী বলে আমার কিছু জানা নেই তবে আমিকে যখন আবিষ্কার করি আর পাপোষ মোছার জীবন,বেশ্যা হওয়া থেকে নিজেকে আলাদা রাখি তখন আমাকে সবাই নারীবাদী বলে ওঠে---!

নারীবাদী ওপুরুষতন্ত্র-------
------------------------------

সবার উপরে মানুষ সত্য তাহার উপরে নাই---”-------মানবধর্ম ই সব ধর্মের মূল ধর্ম--মানুষকে ভালোবাসা ই যেকোনো ধর্মের যেকোনো রাষ্ট্রের মূলমন্ত্র হওয়া উচিত।
পুরুষতন্ত্রের উপর নারীবাদী আন্দোলনের প্রভাব সূদূর প্রসারী--মেয়েরা কোন ধর্ম ই যদি না মানে /নিজেকে সবাই স্বাধীন ভাবে সমাজের নীচু স্তরের সামাজিক কাঠামো য় চূড়ান্তকারী পরিবর্তন ঘটতে বাধ্য---
১) কিছু নারী দাবিয়ে রাখা প্রথার অবসান ঘটবে -- মেয়েরা মুক্ত বিলাসবহুল জীবনযাপন করবে ঠিকই অনেকে বিপথে চলে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে---গোঁড়া ধার্মিক মহিলা পুরুষদের আঁতে ঘা লাগার সংগে মৌলবাদ সমাজ থেকে উঠে যাবে।
২) সামাজিক অভিযোজনে এক শ্রেণীর নারীর জন্ম হবে যঁারা না ছেলে না মেয়ে---
পারিবারিক পরিকাঠামো বিপর্যস্ত হয়ে পড়বে।

৩)যতদিন মেয়েরা থাকবে ,ততদিন পুরুষতন্ত্র থাকবে থাকবেই --মৌলবাদ , ধার্মিক গোঁড়ামি উচ্ছেদ হতে  পারে,হিজাব ঘোমটা  শাখা সিঁদুর তালাক বিবাহ প্রভৃতি সমাজে থাকবে না--
৪) এক আধা আধুনিক ব্যবস্থায় আমরা পর্যবসিত হব যেখানে একশ্রেণীর মানুষই সবরকম সুযোগ সুবিধা খ্যাতি যশ পাবেন--গরিব মধ্যবিত্তদের মধ্যে জটিল অবস্থা দেখা যাবে--! অভাগীর স্বর্গ মর্তেই বিদ্যমান থাকবে--?
নারীবাদী কোন আগুনের ছাই---যা অনেক আগে থেকেই পুরুষতন্ত্রের আগুনে পোড়া দলা পাকা পিন্ড---?
অরুণিমা মন্ডল দাস