একটি কথা মানতেই হবে, সকল মানুষের জন্যে সমান অধিকার ও সম সুযোগ, এই ধারণাটি মানুষের প্রত্যয়ে গেঁথে দিতে পেরেছিল মহান অক্টোবর বিপ্লবেরই সুদূরপ্রসারী অভিঘাত। বিশ্বের যে কোন প্রান্তেই হোক, আজকের মানুষ এই কথাটি বিশ্বাস করে অত্যন্ত দৃঢ়তার সাথেই। সেই অধিকার ও সুযোগ কে কি ভাবে বাস্তবায়িত করবে, বা আদৌ করতে সক্ষম হবে কিনা, সেটা অন্য প্রসঙ্গ। কিন্তু এই ধারণাটির নৈতিকতা নিয়ে আজ আর কেউই কোনভাবেই সন্দিহান নয়। বিগত একশ বছরে এইখানেই অক্টোবর বিপ্লবের প্রাণভোমরা সক্রিয় হয়ে থেকেছে। তাই এই বিপ্লবের ঐতিহাসিক গুরুত্ব নিয়ে যাঁরা আজ প্রশ্ন তুলতে চান, বুঝতে হবে জীবনবাস্তবতার সাথে তাদের নাড়ীর যোগ বিলুপ্ত। আবিশ্ব ধনতান্ত্রিক অর্থনীতির জৌলুসে বিমুগ্ধ হয়ে আজকের দিনে যারা অক্টোবর বিপ্লবের প্রাসঙ্গিকতাকেই নস্যাৎ করে দিতে চান, বুঝতে হবে তাদেরও চোখ বন্ধ। বন্ধ বিশ্বায়নের ঠুলিতেই। বিশ্বায়নের এই ঠুলির বিরুদ্ধেই সরব হওয়ার সময় এসেছে আজ।~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
সম্পাদকের কলমে ~শতবার্ষিকীর অক্টোবর বিপ্লব ও প্রাসঙ্গিকতা
একটি কথা মানতেই হবে, সকল মানুষের জন্যে সমান অধিকার ও সম সুযোগ, এই ধারণাটি মানুষের প্রত্যয়ে গেঁথে দিতে পেরেছিল মহান অক্টোবর বিপ্লবেরই সুদূরপ্রসারী অভিঘাত। বিশ্বের যে কোন প্রান্তেই হোক, আজকের মানুষ এই কথাটি বিশ্বাস করে অত্যন্ত দৃঢ়তার সাথেই। সেই অধিকার ও সুযোগ কে কি ভাবে বাস্তবায়িত করবে, বা আদৌ করতে সক্ষম হবে কিনা, সেটা অন্য প্রসঙ্গ। কিন্তু এই ধারণাটির নৈতিকতা নিয়ে আজ আর কেউই কোনভাবেই সন্দিহান নয়। বিগত একশ বছরে এইখানেই অক্টোবর বিপ্লবের প্রাণভোমরা সক্রিয় হয়ে থেকেছে। তাই এই বিপ্লবের ঐতিহাসিক গুরুত্ব নিয়ে যাঁরা আজ প্রশ্ন তুলতে চান, বুঝতে হবে জীবনবাস্তবতার সাথে তাদের নাড়ীর যোগ বিলুপ্ত। আবিশ্ব ধনতান্ত্রিক অর্থনীতির জৌলুসে বিমুগ্ধ হয়ে আজকের দিনে যারা অক্টোবর বিপ্লবের প্রাসঙ্গিকতাকেই নস্যাৎ করে দিতে চান, বুঝতে হবে তাদেরও চোখ বন্ধ। বন্ধ বিশ্বায়নের ঠুলিতেই। বিশ্বায়নের এই ঠুলির বিরুদ্ধেই সরব হওয়ার সময় এসেছে আজ।~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
শামসুজ্জোহা মানিক~ইন্টারনেট এবং আসন্ন বিশ্ববিপ্লব
ইসলাম সম্পর্কে জেনেও যারা এতকাল চুপ করে থাকতে বাধ্য
হয়েছিলেন তাদের অনেকে এখন মুখ খুলতে শুরু করেছেন। বলার জন্য আছে ইউটিউবের মত
মাধ্যমও। স্বনামে হোক ছদ্মনামে হোক তারা এখন লিখছেন, বলছেন। পাশ্চাত্যে থেকে যেমন
তেমন সেটা কিছু করে হলেও ইসলামী পৃথিবীর ভিতর থেকেও। তারা পরস্পরের সঙ্গে মতবিনিময়
করছেন। এবং তাদের বক্তব্য ইন্টারনেটের সাহায্যে সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়ছে। ফলে
ইসলাম সম্পর্কে প্রশ্ন এতকাল যতই নিষিদ্ধ থাক এখন সেটা ছড়িয়ে পড়ছে সমস্ত ইসলামী সমাজেই।
প্রশ্ন জাগছে সর্বত্র এবং এটা ক্রমবর্ধমান ঝড়ের গতিতে। এটা স্পষ্ট যে, সুনামির
মত বিশালতা এবং প্রচণ্ডতা নিয়ে ধর্মের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ আছড়ে পড়তে যাচ্ছে মুসলিম
পৃথিবীর দেশে দেশে। ত্রাস সৃষ্টির মাধ্যমে ইসলামকে রক্ষার দিন ফুরিয়েছে। কারণ
ইন্টারনেটকে কোনও আঘাত দিয়েই ঈমানদার মুসলমানদের পক্ষে হত্যা কিংবা স্তব্ধ করা
সম্ভব নয়।~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
অনির্বাণ বন্দ্যোপাধ্যায় ~নারীর ক্ষমতায়ন এবং উত্থানের ইতিহাস
ট্যাবু ভেঙেও বেরতে হবে।
ট্যাবু ভেঙে বেরতে না-পারলে দাসত্ব মানতেই হবে পুরুষকেও, নারীকেও।
মুক্তি শুধু নারীই প্রয়োজন নেই, মুক্তির প্রয়োজন নারী-পুরুষ
উভয়রেই। পুরুষতন্ত্রই যেহেতু নারীর শোষক, তাই সামাজিক বিপ্লবের
ফলে পুরুষ কিছুটা মুক্তি পেলেও, নারী কিছুই পায় না। মার্কসীয়
ধারণায় –
পুঁজিবাদ এবং পুরুষতন্ত্র অবিচ্ছেদ্য। একটি আর-একটিকে
শক্তিশালী করে। ব্যক্তিমালিকানার বিলুপ্তির দ্বারাই নারী-শোষণ বন্ধ করা সম্ভব।
শোষণের সমাজকাঠামো পালটে মানুষের সাম্য প্রতিষ্ঠিত হলেই সম্ভব নারী-পুরুষের সাম্য।
সমাজকাঠামো পালটালে নারীমুক্তি এমনিই আসবে। মার্কসীয় নারীবাদে পরিবার সংগঠনটির
মৌলিক পরিবর্তনের কথা বলা হয়েছে। পরিবারের সমস্ত রকম আর্থিক দায়-দায়িত্ব বহনের ভার
রাষ্ট্রের। ফলে স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক মালিক ও দাসীর হবে না। সাম্যবাদে এক
স্বামী-স্ত্রীর পরিবার থাকবে। তবে তা থাকবে সামাজিক একক হিসাবে। সাম্যবাদের বিবাহে
থাকবে না কোনো আর্থিক চুক্তি, না-থাকবে কোনো ভরণপোষণের
দায়িত্ব নেওয়ার চুক্তি। মোদ্দা কথা হল, নারীকে মুক্ত হতে হলে
সমাজের সবরকম কর্তৃত্বে নির্দ্বিধায় অংশ নিতে হবে। গভীর আত্মপ্রকাশের মধ্য দিয়েই
আসবে স্বাধীনতা।~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
রওশন আরা বেগম~নারীবাদ ও স্বাধীনতা
এই সামারের শেষের দিকেও দেখা যায় মেয়েরা শর্ট, স্লিপলেস, টিউপ্টপ,টেনটপ, হলটার, স্ক্রাপ্ট পড়ে দিব্যি রাস্তা দিয়ে হেটে যাচ্ছে কেউ ফিরেও
কৌতূহল বশত তাকায় না। এটাই তো নারীর পোশাকের স্বাধীনতা। যদি কেউ নারীর শারীরিক
সৌন্দর্য দেখে মুগ্ধ হয় ভদ্র ভাবে বলবে you look beautiful. এর বেশি কিছু নয়। এতে মেয়েটি খেপে যায় না। বরং খুশি হয়। কিন্তু আমাদের সমাজ? সেখানে কি চলছে? নারী কি পোশাক পড়বে আর কি পোশাক পড়বে না তা নির্ধারণ করে দেবে পুরুষ। তাহলে
নারীর কোন স্বাধীনতা থাকে? যে
সমাজে নারীর সব কিছু পুরুষ দ্বারা নির্ধারিত হয় সেই সমাজ পশ্চাৎপদ ও
পুরুষতান্ত্রিক সমাজ। আর সেখানে ধর্ষণের মাত্রাও বেশি। পুরুষ যৌন লালসা তখনি বেড়ে
যায় যখন নারীদের বন্দি করে রাখার চেষ্টা করা হয়। প্রাপ্ত বয়স্ক প্রতিটি মানুষের
যৌন স্বাধীনতা রয়েছে পুরুষের পাশাপাশি। কানাডার এই সমাজে নারীর শারীরিক সৌন্দর্য তা
তার পোশাক নির্বাচনের স্বাধীনতার মধ্য দিয়ে ভোগ করে।~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
অরুণিমা মন্ডল দাস~নারীবাদ ও পুরুষতন্ত্র
মূলত পুরুষতন্ত্র বলতে কিছু মহিলাদের সাহিত্যের ভাষায় পুরুষদের একচেটিয়া
অধিকারকেই বুঝি --মেয়েরা এখন তো অশিক্ষিত নেই--সবাই ইন্টারনেট ইউজ করছেন--স্বাধীন
ভাবে থাকছেন মেয়েদের বাড়িতে থাকছেন মেয়েরা জব করছেন --- চ্যাটে হাই হ্যালো করছেন
--নিজের নামে অনেক সম্পত্তি ব্যাঙ্ক ব্যালেন্স আছে ইচ্ছে করলেই একা কাটাতে পারবেন
অনায়াসে তাহলে পুরুষের কাছে আসছেন কেন? সেক্সটয় আছে? পুরুষজাতিকেই বা অনেকের মতে অসুরজাতিটারই বা দরকার কি? তাই নয়
কি? কিন্তু বেশীরভাগ নারী ই পুরুষের অধীনে থাকতে স্বাচ্ছ্যন্দ্য
বোধ করেন --উচ্চ শিক্ষিত মহিলাদের ও ভয় থাকে --তাঁদের ও সিকিউরিটি র প্রয়োজন? সেক্স নয় প্রকৃত ভালোবাসার প্রয়োজন-- একটা ছেলে একটা মেয়ের মধ্যে কিছু তো
পার্থক্য আছে যাতে পুরুষকে একজন শক্তিশালী রোবট বানানো হয় পরিবারের প্রধান মেনে
নেওয়া হয় --মানে কে? সেই একজন মেয়ে? মা---পরিবারের
মায়ের আদেশেই প্রধান পুরুষগন সংসার প্রদেশ চালনাচালনা করে থাকেন থাকেন--
শামসুজ্জোহা মানিক~ধর্ম আর জাতপাতের সীমানা পেরিয়ে
একদিকে হিন্দু ধর্মের
সংস্কার করে জাত-পাতের অবসান ঘটানো, অপর দিকে হিন্দু ও মুসলমানে
মিলনের বহু চেষ্টা হয়েছে। কিন্তু এটা বাস্তব সম্মত নয় বলে সাফল্য আসে নাই। প্রথমত, হিন্দু ধর্মকে মেনে নিয়ে জাত-পাতের অবসান ঘটাবার স্বপ্ন যেমন আকাশ-কুসুম
কল্পনা তেমন হিন্দু ও ইসলাম ধর্মকে রেখে হিন্দু ও মুসলমানের মিলন ঘটানোর
স্বপ্নও অবাস্তব স্বপ্ন। সুতরাং এই দুই
ধর্ম থেকে বাংলা এবং উপমহাদেশের মানুষকে মুক্তির পথ অন্বেষণ করতে হবে। এধরনের কোনও
চেষ্টা অতীতে কম-বেশী হলেও বিজ্ঞান-প্রযুক্তির পশ্চাৎপদতা এবং সেই সঙ্গে সমাজেরও
পশ্চাৎপদতা এবং বহিঃশক্তির হস্তক্ষেপ (অব্যাহত মুসলিম আগ্রাসন এবং সবশেষে ব্রিটিশ
সাম্রাজ্যবাদীদের আক্রমণ-আগ্রাসন ও দুইশত বৎসরের আধিপত্য) ইত্যাদি নানাবিধ কারণে
সেগুলি সফল হয় নাই। তবে পৃথিবী আজ অনেক এগিয়েছে। এইসব অলোকবাদী, অন্ধ,
পশ্চাৎপদ, প্রতিক্রিয়াশীল এবং অমানবিক
ধর্মের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের মাধ্যমে এগুলিকে উৎখাত করে আধুনিক যুগোপযোগী বিকল্প
সামাজিক আদর্শ ও নীতি-নৈতিকতা প্রতিষ্ঠা করা আজ সম্ভব। এভাবে মানুষের বৃহত্তর
মিলনও সম্ভব।~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
নাসির ওয়াদেন~রংরুট সাক্ষাৎকার
আমরা জানি যে, পুঁজির নিয়মই হচ্ছে দেশের নতুন নতুন ক্ষেত্রে অনুপ্রবেশ করা এবং দেশীয় অর্থনীতির কাঠামো ভেঙে ফেলা ও শোষন উপযোগী কাঠামো সৃষ্টি করা। এতে মানুষের যে সকল মৌলিক অধিকার, মৌল দাবী সুরক্ষিত ছিল, তা ধ্বংস হয়ে যাওয়া। জনগণের অর্থনৈতিক ও সামাজিক জীবনে বিপর্যয় নামিয়ে আনে, বিদেশী পুঁজির অনুপ্রবেশ ঘটে। সমাজতন্ত্রের সমাজব্যবস্থা, সাম্যবাদী সমাজ কল্পনা করা কিংবা আদিম সাম্যবাদী সমাজ ব্যবস্থার ব্যাখ্যা কিছুটা সান্ত্বনা পর্যায়ের, পুঁজির বিনাশ না ঘটা অবধি, পুঁজিবাদের কেন্দ্রীভবন যতদিন থাকবে, ততদিন সমাজতন্ত্র কল্পনার স্তরে রয়ে যাবে। অসম পুঁজির বিকাশ যেমন জাতীয় জীবনে চরম সংকট ডেকে আনে, তেমনি একটা সময়ে ভেঙেচুরে যাওয়ার প্রবল সম্ভাবনার বীজ লুকিয়ে থাকে। ফলে মানুষ এক সময় তার মৌলিক অধিকার পুনরুদ্ধারের প্রচেষ্টা করে যাবে, তাতে সমাজতন্ত্রের ছত্রছত্রছায়ায় হতে পারে, কিংবা অন্য ভাবেও••••~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
সুমেরু রায়চৌধুরী~রংরুট সাক্ষাৎকার
পশ্চিম
বঙ্গে বামপন্থার প্রচলন প্রায় শত বর্ষের। তার মানে এই নয় বাঙ্গালীরা বামপন্থী।
শতবর্ষ প্রাচীন যে বাম আদর্শ পশ্চিমবঙ্গ ধরে রাখতে পারল, তার
ছিটেফোঁটাও পূর্ব বঙ্গ পেল না কেন? এর কারন ধর্মান্ধতা ও
ধর্মান্ধতার অভাবের মধ্যে লুকিয়ে। পূর্ব বঙ্গে ধর্মান্ধতার আধিপত্য বামপন্থাকে
রুখে দিয়েছে। সেদিকে পশ্চিম বঙ্গে বাম পন্থা চিন্তাধারার আধিপত্য থাকাতে
ধর্মান্ধতা এতোকাল মাথা তুলতে পারেনি। বামপন্থার বাংলার বাইরে বিস্তারের অভাবে
যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামতে এখন আমরা তার ফল ভগ করছি। গত কয়েক বছর পশ্চিম থেকে আগত
দক্ষিনপন্থি ধর্মান্ধ শক্তি যে ভাবে পশ্চিমবঙ্গে ঢুকে পড়েছে তাদেরকে বেড় করে না
দিতে পারলে,
বামপন্থিদের এ রাজ্যে ফেরা প্রায় অসম্ভব। এর জন্য দরকার
সমস্ত দক্ষিনপন্থি ধর্মান্ধ বিরোধী শক্তিকে এক হওয়া। দক্ষিনপন্থি ধর্মান্ধ শক্তিকে
বিতাড়নের পর-ই আমরা ঠিক করতে পারব বামপন্থা কোন রাস্তায় চলবে। ~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
জোবায়েন সন্ধি~রংরুট সাক্ষাৎকার
এখানকার বাম বলে পরিচিতরা আসলে বাম নয়। এদের কোন কোন ধারা বাঙালির আত্মপরিচয় নামক যে জিনিশকে বিশেষত্ব দিতে পেরেছে বলে মনে করে, তা আসলে কোন বাঙালি আত্মপরিচয় নয়। বস্তুত বাঙালিত্ব বলে এখানে কোনকালেই কোন কিছু ছিল না। ওটা কতিপয় ইউরোপিয়ান ধ্যানধারণাজাত সুবিধাবাদী অভিজাতের ইউটোপিয়া। বাম আন্দোলন বলে আর কোন জিনিশের পূণরাভূত্থান হচ্ছে না, হবার সম্ভাবনাও দেখিনা। তবে জগৎ যেভাবে লেংচে লেংচে চলছে সেভাবেও আর বেশিদিন চলবে বলে মনে হয় না। ভোগ
মানুষের সহজাত প্রবৃত্তি, এমনকী তার আকাঙ্ক্ষাও। মুখে ঠুসি দিয়ে কুকুরকে বিষ্ঠা ভক্ষণ থেকে বিরত রাখা যায় না, সেটা করাটাও একটা অমানবিক ও অনধিকার চর্চা। ভোগ বস্তুত মানুষের অধিকারও। তবে এটা ঠিক যে, একটা ভূল ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে পৃথিবী আগাচ্ছে তাতে কোন সন্দেহ থাকার কথা নয়। কিন্তু আকাশ থেকে একটা দৈত্য এসে এটাকে শুধরিয়ে দিবে এই আশা ঘোরতর অলীক বিশ্বাসীও করেন না। তো মানবিক মূল্যবোধ-এর মত জিনিশ কোথা থেকে কীভাবে আসবে?~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
ফাল্গুনী মুখোপাধ্যায়~নাট্যমঞ্চের তিন দীপ্তিময়ী
নাট্যাভিনয়ে মেয়েদের অংশগ্রহণের পথটা মোটেই মসৃন ছিল না। দুশো বছর আগের বাংলার সমাজ
মেয়েদের গান করা বা নাট্যাভিনয় করা অনুমোদন করতো না। রুশ যুবক গেরেসিম লেবেদেফের উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত
বেঙ্গলি থিয়েটারে ১৭৯৫এর ২৭শে নভেম্বর ‘কাল্পনিক সঙ বদল’ নামে যে প্রহসনটি মঞ্চস্থ করেছিলেন সেটিই
বাঙালির প্রথম নাট্যাভিনয়। লেবেদেফের ভাষা শিক্ষক গোলকনাথ দাস কলকাতার বারাঙ্গণা পল্লী থেকে তিন
বারাঙ্গনা কন্যাকে সংগ্রহ করে দিয়েছিলেন সেই নাটকে নারী চরিত্রে অভিনয়ের জন্য। আমাদের জানার কোন উপায় নেই
কারা ছিলেন বাংলা নাটকের প্রথম নারী অভিনেত্রী কিংবা কেমন ছিল সেই অভিনয়! বাঙালির
সেই প্রথম নাট্যাভিনয় কোন ধারাবাহিকতা সৃষ্টি করতে পারেনি। ইংরেজরা লেবেদেফের থিয়েটার
পুড়িয়ে দিয়ে তাকে সর্বশান্ত করে দেশ থেকে বিতাড়িত করেছিল। পরের ৩৮ বছর বাঙালির কোন
নাট্যাভিনয়ের সংবাদ পাওয়া যায় না। ইতিহাস লেবেদেফকে বাঙালির প্রথম
নাট্যাভিনয়ের সূচনাকর্তার স্বীকৃতি দিয়েছে। আরো একটি কারণে সেই থিয়েটার ঐতিহাসিক স্বীকৃতির দাবি রাখে তা হ’ল বাংলা নাট্যাভিনয়ে মেয়েদের
অভিনয়ের অপরিহার্যতা, যার জন্য পরবর্তী আশি বছর
সমাজপতিদের রক্তচক্ষুর বিরুদ্ধে অনেক সংগ্রাম করতে হয়েছিল।~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
ইমাম গাজ্জালী~মহান অক্টোবর বিপ্লব প্রসঙ্গে
অক্টোবর বিপ্লবের ফলভোগীও সারাবিশ্ব। কিন্তু অক্টোবর বিপ্লব কার্যত অসমাপ্ত। বিশ্বব্যাপী পুঁজিবাদ-সাম্রাজ্যবাদ উচ্ছেদের মধ্যেই অক্টোবর বিপ্লবের বিজয়ী হওয়ার শর্ত নিহিত ছিল। বড় ধরণের ঝড় তুললেও পরিণতির দিকে যাওয়ার আগেই সেটা দিকভ্রান্ত হয়ে মিলিয়ে যায়। পৃথিবী ফের চলে যায় পুরোনো জায়গায়। অক্টোবর বিপ্লবের পশ্চাদপসরণের কারণে বিশ্বব্যাপী একচেটিয়া সাম্রাজ্যবাদ, একচেটিয়া শোষণ, একচেটিয়া আধিপত্য ও লুটতরাজ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। শোষণ-লুটতরাজ চলছে আগের যে কোনো সময়ের চেয়ে আরো বেশি, আরো হিংস্র, আরো নিষ্ঠুর, আরো বর্বরোচিতভাবে। নানা ছল-ছুতোয় চলছে যুদ্ধোন্মাদনা, সেই
সঙ্গে ধর্মীয় উন্মাদনা। নির্যাতন, হত্যা, গুম, খুন চলছে বিচারহীনভাবে। গণতন্ত্র ও বাকস্বাধীনতা হরণ, নতুনরূপে ফ্যাসীবাদ প্রতিষ্ঠা পেয়েছে। ফলে যে কারণে অক্টোবর বিপ্লব সংঘটিত হয়েছিল, তার আবেদন এতটুকু ফুরায় নি। বরং তা অনুভূত হচ্ছে আরো শতগুণে।~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
এতে সদস্যতা:
পোস্টগুলি (Atom)